নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২১
মোট পাঁচটি শ্রেণিতে চার হাজারের বেশি ব্যক্তি, সংগঠন ও গোষ্ঠীকে ঘৃণা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর অভিযোগের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ করা সংগঠন ও ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
ফেসবুকের প্রকাশ করা এই তালিকার নাম বিপজ্জনক ব্যক্তি ও সংগঠন (ডেঞ্জারাস ইন্ডিভিজ্যুয়াল অ্যান্ড অর্গানাইজেশন-ডিআইও)। আর এই তালিকাটি প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দি ইন্টারসেপ্ট। যেখানে ঠায় পেয়েছে বাংলাদেশ-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠন ও একজন ব্যক্তির নাম।
ফেসবুকের তালিকার পাঁচটি শ্রেণি হচ্ছে ঘৃণা, সশস্ত্র সামাজিক আন্দোলন, সহিংস অরাষ্ট্রীয় সংগঠন, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ। এ তালিকায় বিভিন্ন ধর্ম ও মতাদর্শের উগ্রপন্থী হিসেবে পরিচিত সংগঠনের পাশাপাশি রয়েছে রাজনীতিক, আন্দোলনকর্মী, লেখক, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ও বিদ্বেষমূলক সংগীতদলের সদস্যসহ অনেক ব্যক্তি।
বিশ্বের সব প্রধান উগ্রপন্থী সংগঠনসহ বহুসংখ্যক সংগঠনের নাম রয়েছে তালিকায়। এর মধ্যে রয়েছে আল-কায়েদার সেন্ট্রাল কমান্ড এবং এর আঞ্চলিক শাখাগুলো, ইসলামিক স্টেট, আল শাবাব, বোকো হারাম, আল নুসরা ফ্রন্টসহ অনেক সংগঠন। লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মুহাম্মদসহ ভারত ও পাকিস্তান তথা দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠনের নামও রয়েছে। আছে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের শিখ ও বৌদ্ধ ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠনের নাম। পাশ্চাত্যের শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী সংগঠনের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কু ক্লাক্স ক্লান (কেকেকে) এবং যুক্তরাজ্যের ইংলিশ ডিফেন্স লীগ ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকার বহু সংগঠন ও বাহিনীর নাম।
তালিকার সন্ত্রাস শ্রেণিতে রয়েছে আল মুরসালাত মিডিয়া। বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশ ও ভারত অঞ্চলে সক্রিয় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আছে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ ও জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের নাম। বলা হয়েছে, প্রথম সংগঠনটি আল-কায়েদার কেন্দ্রীয় কমান্ডের সঙ্গে যুক্ত।
তালিকায় আরো রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানভিত্তিক জেমাহ ইসলামিয়া ও আল-কায়েদা কেন্দ্রীয় কমান্ডের সঙ্গে যুক্ত সাহাম আল হিন্দ মিডিয়ার নাম। এটি আল-কায়েদার মিডিয়া উইং বলে তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। তালিকায় ব্যক্তি হিসেবে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের জনৈক তরিকুল ইসলামেরও নাম রয়েছে। আছে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত বলে কথিত আব্দুল রউফ আবু জাহিদ মোহাম্মদ হামজা এবং হরকাতুল মুজাহিদীনের ফজলুর রহমান খলিলের নাম।
দি ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিকার একটি বড় অংশ মার্কিন সরকারবিরোধী ডানপন্থী মিলিশিয়া, যাদের প্রায় সবাই শ্বেতাঙ্গ। প্রতিবেশী দেশ ভারত, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কার কয়েকটি ধর্মীয় ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নামও এ তালিকায় স্থান পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকের এই তালিকা প্রকাশের জন্য দাবি জানিয়ে এলেও কম্পানিটি বলে আসছিল, এতে করে তাদের কর্মীরা ঝুঁকিতে পড়বেন। তবে কম্পানিটির নিজেদেরই ওভারসাইট বোর্ড জনস্বার্থে তালিকাটি প্রকাশের সুপারিশ করেছিল।
ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিসের স্বাধীনতা ও জাতীয় নিরাপত্তা কর্মসূচির সহপরিচালক ফাইজা প্যাটেল বলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কঠিন এক অবস্থায় ফেলেছে। তারা বলছে যে বিপজ্জনক সংগঠন ও ব্যক্তি সম্পর্কে পোস্ট করা যাবে না, কিন্তু কোন সংগঠন বা ব্যক্তিকে ফেসবুক বিপজ্জনক মনে করে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে না।
ফেসবুকের বিপজ্জনক ব্যক্তি ও সংগঠন নীতি অনুসারে মাধ্যমটির কোনো ব্যবহারকারী এসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর পক্ষে কিংবা সমর্থন অথবা প্রশংসা করে কিছু লিখতে পারবে না।
ফেসবুকের সন্ত্রাস দমন ও বিপজ্জনক সংগঠন বিষয়ক নীতিবিষয়ক পরিচালক ব্রায়ান ফিশম্যান টুইটে বলেন, ‘কম্পানি এই তালিকা গোপন রাখে, কারণ এটি একটি বৈরিতাপূর্ণ ক্ষেত্র। আমরা সন্ত্রাসী, বিদ্বেষী গোষ্ঠী ও অপরাধী সংগঠনকে এ প্ল্যাটফর্মে চাই না।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকের কালো তালিকার ৫৩.৭ শতাংশ নাম সন্ত্রাসবাদ, ২৩.৩ শতাংশ সশস্ত্র সামাজিক আন্দোলন, ১৭ শতাংশ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানো, ৪.৯ শতাংশ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং ১ শতাংশ সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সৌরমণ্ডল বা সৌরজগতের পৃথিবীসহ যে ৭টি গ্রহ সূর্য নামক নক্ষত্রটিকে ঘিরে আবর্তন করছে, সেই সূর্য নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীদের গবেষণার উৎসাহ বিস্তর; কিন্তু সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত এই নক্ষত্রটির সাম্প্রতিক একটি ঘটনা রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। সেই ঘটনাটি হচ্ছে- সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে একটি বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে নক্ষত্রটির উত্তর মেরুতে সরে এসে বিশাল এক ঘূর্নিঝড়ের সৃষ্টি করেছে।
মহাকাশে ভ্রমণরত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ গত সপ্তাহে সূর্যের যে ছবি পাঠিয়েছে, সেখানেই ধরা পড়েছে এই চিত্র। নাসার কর্মকর্তা ও স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ড. তামিথা স্কোভ নিজের টুইটারে সূর্যের সেই ছবিটি শেয়ার করেছেন।
ড. তামিথা স্কোভ- এর টুইট বার্তা।
ছবিটির ক্যাপশনে ড. তামিথা স্কোভ বলেন, ‘সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে সরে যাওয়া অংশটি নক্ষত্রের উত্তর মেরুতে বিশাল এক ঝড়ের সৃষ্টি করেছে।’
মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কয়েক বছর আগে এই টেলিস্কোপটি উৎক্ষেপণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(নাসা)।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে তার কোনো অংশ ভেঙে পড়া বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। গত ৬-৭ দশকে কয়েক বার এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে নাসা। তবে সূর্যের কোনো অংশ ভেঙে পড়ে বাতাসে ভেসে নক্ষত্রটির প্রান্তে ঝড়ের সৃষ্টি করার ঘটনা নাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এই ব্যাপারটিই অবাক করেছে মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানীদের।
সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র সূর্যের পুরোটাই আসলে গ্যাসীয় তরল। পৃথক এক টুইটবার্তায় ড. তামিথা স্কোভ বলেন, সূর্যের যে অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরপ্রান্তে সরে এসেছে, সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৮ ঘণ্টার মধ্যে। এ সময় সূর্যপৃষ্টের ওই অংশে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৬ হাজার মাইল।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এ সম্পর্কিত আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তারা।
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব আনুমানিক ১৪ কোটি ৯৬ লাখ কিলোমিটার বা ১৫ কোটি কিলোমিটার। তবে এই দূরত্ব সবসময় একই থাকে না। অনুসূর অবস্থানে পৃথিবী সূর্য থেকে ১৪.৭ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকে।আর অপসূর অবস্থানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫.২ কোটি কিলোমিটারে।
তবে পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের কিছু বিস্ময়কর সম্পর্ক রয়েছে। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, কয়েক বছর আগে সূর্যে বড় এক সৌরঝড় হয়েছিল। সেই ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পৃথিবীর মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ড. তামিথা স্কোভ টুইট বার্তা সূর্য মহাকাজ সৌরমণ্ডল
মন্তব্য করুন
নতুন বছরে নতুন
কিছু করতে প্রস্তুত ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন। এবার সূর্যকে নিরীক্ষণের
জন্য দেশের প্রথম ডেডিকেটেড মিশন আদিত্য-এল১ লঞ্চ করার লক্ষ্য তৈরি করা হয়েছে। চলতি
বছরের অক্টোবরে শঙ্করসুব্রহ্মণ্যন কে -কে আদিত্য-এল১ মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে
মনোনীত করা হয়েছিল।
২০১৫ সালের
অ্যাস্ট্রোস্যাটের সফল উৎক্ষেপণের পর এটি হবে ভারতের দ্বিতীয় মহাকাশ ভিত্তিক প্রকল্প।
কী উদ্দেশ্যে আদিত্য-এল১ উৎক্ষেপণের কথা ভাবা হয়েছে? এই মিশনের নামই বা আদিত্য কেন?
উল্লেখ্য, সূর্যের
একাধিক নামের মধ্যে পড়ে আদিত্য। সেই নামানুসারে এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আদিত্য-এল১।
এর পেছনে রয়েছে আরেকটি কারণ। এই মিশনের মূল লক্ষ্যই হল, সৌরজগতের কেন্দ্রে উপস্থিত
সূর্যকে ভালোভাবে নিরীক্ষণ করা। যদিও প্রথমে এর নাম ছিল আদিত্য-১ কিন্তু পরবর্তীতে
এর নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
‘বাংলা হান্ট’
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ
ভেহিকেল মারফত অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে এটি উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। আসন্ন বছর
ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ ফ্লাইট- গগনযান প্রকল্পের উপর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাক্ষী
থাকবে।
আদিত্য-এল১
নিয়ে বেঙ্গালুরুর জাতীয় মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, এই মহাকাশযানটি সূর্য – পৃথিবী
সিস্টেমের প্রথম ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট, এল১-এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে অবস্থান
করবে। যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে। যেখানে সূর্য এবং
পৃথিবীর সম্মিলিত মহাকর্ষীয় টান একটি মহাকাশ যানকে সূর্যের কাছে স্থির অবস্থায় রেখে
দেবে।
মিশনের তাৎপর্য-
প্রসঙ্গত, আদিত্য-এল১
-এ সাতটি পেলোড রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি পেলোড ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল১-এ ইন-সিটু কণা
এবং ফিল্ড স্টাডি পরিচালনা করে। আর বাকি চারটি পেলোড সরাসরি এল১-এর ইউনিক ভান্টেজ পয়েন্ট
থেকে সূর্যকে দেখতে পাবে। এই সাতটি পেলোড আলোকমণ্ডল, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং সূর্যের সবচেয়ে
বাইরের স্তরগুলি অধ্যায়নে সাহায্য করবে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এবং পার্টিক্যালস ডিটেক্টর
ব্যবহার করে। মূলত আদিত্য-এল১ মিশন সূর্যের গতিশীল প্রক্রিয়াগুলির একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ
জ্ঞান প্রদান করবে এবং সৌর পদার্থবিদ্যার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার উত্তর দেবে।
আদিত্য-১ ভারত মহাকাশ অভিযান সূর্য
মন্তব্য করুন
এলিয়েন (ভিনগ্রহবাসী) পৃথিবী ভ্রমণ করেছে কিংবা দুর্ঘটনায় পড়ে অবতরণ করেছে -লোকমুখে এমন প্রচলিত কথার এখন পর্যন্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ পায়নি পেন্টাগন। আকাশে অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু তথা ইউএফও নিয়ে নতুন এক গবেষণা নিয়ে এ কথা বলেছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। খবর আল-জাজিরার।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, তবে মহাকাশে, আকাশে কিংবা পানির নিচে যেখানেই হোক না কেন, অস্বাভাবিক ও অজ্ঞাত বস্তুগুলোর তদন্তের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পেন্টাগন। তাদের সামনে কয়েক শ’ নতুন ঘটনা এসেছে, যা এখন তদন্ত করা হচ্ছে বলে গতকাল শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত বছরের জুনে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০২১ সাল নাগাদ ১৪৪টি ইউএফও দেখা যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮০টি অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও - Unidentified flying object) একাধিক সেন্সরে ধরা পড়েছিল।
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি রোনাল্ড মোলট্রি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। আমরা এমন কিছু পাইনি যে আমরা যেসব বস্তু দেখেছি, তার কোনো একটির উৎস এলিয়েন হতে পারে বলে আমাদের মনে হতে পারে।’
দেখা যাওয়া অজ্ঞাত বস্তুগুলোর তদন্তে পেন্টাগন অল-ডোমেইন অ্যানোমালি রেজল্যুশন অফিস (এএআরও) নামে একটি নতুন বিভাগ গঠন করে। এএআরও পরিচালক শন কির্কপ্যাট্রিক বহির্জাগতিক জীবনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেননি।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি এ গবেষণার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণ করছেন।’
এএআরও পরিচালক শন কির্কপ্যাট্রিক আরও বলেন, ‘আমি শুধু বলব, আমরা আমাদের বিশ্লেষণকে খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং বলিষ্ঠভাবে কাঠামো দিয়েছি। আমরা পুরো বিষয়টি সবিস্তার বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখব।’
ইউএফওর ওপর এক বছরের বেশি সময় মনোযোগ দেওয়ার পর গত জুলাইতে এএআরও প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসব ইউএফও মার্কিন সামরিক বাহিনীর পাইলটরা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। কিন্তু লজ্জার মুখে পড়তে পারেন, এ ভয়ে কোনো কোনো সময় বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাতে তাঁরা ইচ্ছুক ছিলেন না।
এএআরও প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কির্কপ্যাট্রিক বলেন, ‘আমরা এ ধরনের আরও অনেক ঘটনার তথ্য পেয়েছি।’ সম্ভাব্য ইউএফও দেখা যাওয়ার নতুন কতগুলো তথ্য পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়েক শ’।
কর্মকর্তারা জানান, ২০২১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউএফও দেখা যাওয়ার কতগুলো তথ্য পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে চলতি বছরের শেষ দিকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের দপ্তর থেকে হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হতে পারে।
প্রায় অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ের মধ্যে গত মে মাসে ইউএফও নিয়ে প্রথমবারের মতো শুনানির আয়োজন করে মার্কিন কংগ্রেস। এতে এসব বস্তু এলিয়েন নাকি চীন, রাশিয়া বা সম্ভাব্য অন্য কোনো বিরোধী পক্ষ নতুন অজ্ঞাত কোনো প্রযুক্তি উড়িয়েছে, এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন একাধিক কংগ্রেস সদস্য। অজানা বস্তুগুলো নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করেছে।
এসব অজ্ঞাত বস্তুর বাইরেও অনেক নতুন প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন স্টিলথ (রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম) বোমারু ও যুদ্ধবিমান, ড্রোন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের এসব প্রযুক্তি রয়েছে। ভুল করে এগুলোকেও ইউএফও মনে করা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের তালিকায়
১ থেকে ২৫ নম্বরে থাকা (উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি) উর্ধ্বতন সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে
দুর্নীতির কোনো অভিযোগ থাকলে তা
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এ রায় দিয়েছেন।
৫ হাজার টাকার ঘুষ গ্রহণের মামলায়
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির টেকনিশিয়ান আব্দুর রহিমকে
দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে হাইকোর্ট এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে এটি অত্র আদালতের কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, দুদক হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ৫শ’/৫ হাজার টাকার অতি সাধারণ দুর্নীতির পেছনে জনগণের লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছে। পত্র-পত্রিকায় এটি দেখা যাচ্ছে যে, ৫ হাজার টাকার একটি মোকদ্দমার জন্য দুদকের ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। এখন জনগণের কষ্টের টাকা এই ৫ হাজার টাকার একজন দুর্নীতির প্রতিরোধের জন্য মামলা দায়ের থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় করা কতটুকু সমীচীন প্রশ্ন রেখেছেন আদালত।
এছাড়া রায়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে হাইকোর্ট
বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ক্যাডার
সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া উচিত। সরকারকে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগে যে প্রক্রিয়ায়
বিচারক নিয়োগ হয় সে প্রক্রিয়ায় দুদকের সব অফিসার নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে একটি
নিয়মতান্ত্রিক ক্যাডার সার্ভিসে পরিণত করার পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের
চেয়ারম্যান এবং সদস্য হবেন আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট
বিভাগের সুনাম এবং দক্ষতাসম্পন্ন প্রাক্তন
বিচারপতিগণ থেকে নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেন হাইকোর্ট।
মন্তব্য করুন
সৌরমণ্ডল বা সৌরজগতের পৃথিবীসহ যে ৭টি গ্রহ সূর্য নামক নক্ষত্রটিকে ঘিরে আবর্তন করছে, সেই সূর্য নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীদের গবেষণার উৎসাহ বিস্তর; কিন্তু সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত এই নক্ষত্রটির সাম্প্রতিক একটি ঘটনা রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। সেই ঘটনাটি হচ্ছে- সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে একটি বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে নক্ষত্রটির উত্তর মেরুতে সরে এসে বিশাল এক ঘূর্নিঝড়ের সৃষ্টি করেছে।