নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২১
মার্কিন সিনেটের সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল শিশুকিশোরদের ওপর ইনস্টাগ্রামের ক্ষতিকর প্রভাববিষয়ক শুনানিতে অংশ নিতে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গকে তলব করেছেন।
গতকাল বুধবার (২০ অক্টোবর) জাকারবার্গকে লেখা চিঠিতে ফেসবুক সিইও কিংবা ইনস্টাগ্রামপ্রধানকে উপস্থিত থাকতে বলেন তিনি।
ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেনের ফাঁস করা গোপন নথির উদ্ধৃতি দিয়ে ব্লুমেনথাল লিখেছেন, ‘শিশুকিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য ও আসক্তি নিয়ে ফেসবুক আমাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছে বলে মনে হচ্ছে। গত আগস্টে যখন আমি ইনস্টাগ্রাম ও টিনেজারদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছিলাম, ফেসবুক আমাকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে, যা এখন মিজ হাউগেনের বক্তব্য সরাসরি নাকচ করে দেয়।’
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সেস হাউগেনের ফাঁস করা নথির সূত্র ধরে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সেপ্টেম্বরে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইনস্টাগ্রাম কীভাবে কিশোর বয়সী লাখো ব্যবহারকারীদের মানসিক চাপে ফেলছে, তা নিয়ে গত তিন বছর গবেষণা করেন ফেসবুকের গবেষকেরা। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্ল্যাটফর্মটি বিশেষ করে টিনেজারদের মানসিক স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এবং নিজেদের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন ও আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে নতুন করে চাপ আসায় নিজেদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে ইনস্টাগ্রাম। ১৩ বছরের কম বয়সীদের জন্য একটি অ্যাপ ছাড়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত করা হয়। ব্লুমেনথালের বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটিতে ফেসবুকের হেড অব সেফটি অ্যান্টিগন ডেভিসের শুনানির দিন কয়েক আগে সেটি স্থগিত করা হয়।
শুনানিতে ডেভিস অভ্যন্তরীণ গবেষণা লুকানোর ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন বলে জানান ব্লুমেনথাল। তিনি বলেন, ফেসবুক নথি ব্যবহারের সুযোগে বাধা দিচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে সরাসরি প্রশ্নের জবাবে মিজ ডেভিস বলেছেন, তাঁর জানামতে এমনটা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো পরিবর্তন আসে, তবে আমার কার্যালয়ে যোগাযোগ করবেন।’ কিন্তু গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয় ফেসবুক ইনটিগ্রিটি দলের কাছ থেকে নথি গোপন করেছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটি স্বচ্ছতার পথ বেছে না নিয়ে সমালোচনা ঠেকাতে এমনটা করেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন