ইনসাইড সাইন্স

মার্ক জাকারবার্গকে শুনানিতে অংশ নিতে তলব সিনেটের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

মার্কিন সিনেটের সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথাল শিশুকিশোরদের ওপর ইনস্টাগ্রামের ক্ষতিকর প্রভাববিষয়ক শুনানিতে অংশ নিতে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গকে তলব করেছেন।

গতকাল বুধবার (২০ অক্টোবর) জাকারবার্গকে লেখা চিঠিতে ফেসবুক সিইও কিংবা ইনস্টাগ্রামপ্রধানকে উপস্থিত থাকতে বলেন তিনি।

ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেনের ফাঁস করা গোপন নথির উদ্ধৃতি দিয়ে ব্লুমেনথাল লিখেছেন, ‘শিশুকিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য ও আসক্তি নিয়ে ফেসবুক আমাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছে বলে মনে হচ্ছে। গত আগস্টে যখন আমি ইনস্টাগ্রাম ও টিনেজারদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছিলাম, ফেসবুক আমাকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে, যা এখন মিজ হাউগেনের বক্তব্য সরাসরি নাকচ করে দেয়।’

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সেস হাউগেনের ফাঁস করা নথির সূত্র ধরে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সেপ্টেম্বরে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইনস্টাগ্রাম কীভাবে কিশোর বয়সী লাখো ব্যবহারকারীদের মানসিক চাপে ফেলছে, তা নিয়ে গত তিন বছর গবেষণা করেন ফেসবুকের গবেষকেরা। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্ল্যাটফর্মটি বিশেষ করে টিনেজারদের মানসিক স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এবং নিজেদের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন ও আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে নতুন করে চাপ আসায় নিজেদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে ইনস্টাগ্রাম। ১৩ বছরের কম বয়সীদের জন্য একটি অ্যাপ ছাড়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত করা হয়। ব্লুমেনথালের বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটিতে ফেসবুকের হেড অব সেফটি অ্যান্টিগন ডেভিসের শুনানির দিন কয়েক আগে সেটি স্থগিত করা হয়।

শুনানিতে ডেভিস অভ্যন্তরীণ গবেষণা লুকানোর ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন বলে জানান ব্লুমেনথাল। তিনি বলেন, ফেসবুক নথি ব্যবহারের সুযোগে বাধা দিচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে সরাসরি প্রশ্নের জবাবে মিজ ডেভিস বলেছেন, তাঁর জানামতে এমনটা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো পরিবর্তন আসে, তবে আমার কার্যালয়ে যোগাযোগ করবেন।’ কিন্তু গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয় ফেসবুক ইনটিগ্রিটি দলের কাছ থেকে নথি গোপন করেছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটি স্বচ্ছতার পথ বেছে না নিয়ে সমালোচনা ঠেকাতে এমনটা করেছে।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

এবার চাঁদের পথে জাপানের মহাকাশযান স্লিম

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

তিনবার বিলম্বের পর অবশেষে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো জাপানের মহাকাশযান স্লিম। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব তৈরি এইচ-আইআইএ রকেটে চড়ে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দিকে যাত্রা শুরু করেছে জাপানি মহাকাশযানটি। এর ফলে চন্দ্রজয় করা পঞ্চম দেশ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে জাপানের সামনে।

জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী রকেটটি দক্ষিণ জাপানের তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উড্ডয়ন করে এবং সফলভাবে স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (স্লিম)-কে উন্মুক্ত করেছে।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত মাসে এক সপ্তাহে তিনবার স্থগিত করা হয়েছিল জাপানি মহাকাশযানের মহাকাশযাত্রা।

জাপানের লক্ষ্য, চন্দ্রপৃষ্ঠে লক্ষ্যস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে ‘মুন স্নাইপার’ ল্যান্ডারকে অবতরণ করানো। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহাকাশযানটি চাঁদে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পে জাপানের খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার (১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা প্রায়)।

চাঁদের মাটিতে ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে অবতরণের মাত্র দু’সপ্তাহ পরেই এই চন্দ্রাভিযান শুরু করলো জাপান। ওই মিশনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ এবং চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত।

এর আগে, গত বছর চাঁদে অবতরণের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল জাপানের। গত নভেম্বরে ওমোতেনাশি ল্যান্ডারের সঙ্গে জাক্সার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ভেস্তে যায় চাঁদে অবতরণের চেষ্টা। এছাড়া এপ্রিল মাসে চাঁদের পৃষ্ঠে নামার সময় বিধ্বস্ত হয় জাপানি স্টার্টআপ ইস্পেসের তৈরি হাকুটো-আর মিশন ১ ল্যান্ডারটি।

বৃহস্পতিবারের এইচ-আইআইএ রকেটটি ল্যান্ডারের পাশাপাশি এক্স-রে ইমেজিং এবং স্পেকট্রোস্কোপি মিশন (এক্সআরআইএসএম) স্যাটেলাইটও বহন করছে। এটি জাক্সা, নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার একটি যৌথ প্রকল্প।

রকেটটি তৈরি তরেছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। এর উড্ডয়নও পরিচালনা করেছে তারা। এ নিয়ে ২০০১ সালের পর থেকে ৪৭টি এইচ-আইআইএ রকেট উৎক্ষেপণ করলো জাপান। মহাকাশযানটির এবারের চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


জাপান   মহাকাশযান   স্লিম   চন্দ্রজয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তার কি মানবসভ্যতার জন্য হুমকি?

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ২৬ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

একদিকে ক্রমশ বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অন্যদিকে ক্রমশ কমছে মানুষের বুদ্ধি। যা রীতিমতো উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের, ঘোর সংকটে ফেলে দিয়েছে মানবসভ্যতাকেও।

ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অব ব্রেন কেমিস্ট্রি অ্যান্ড হিউম্যান নিউট্রিশনের প্রফেসর মাইকেল ক্রফোর্ড সতর্ক করেছেন এই বলে যে, গত ৫০ বছরে মানুষের মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলোর সংখ্যা যেভাবে কমেছে, তাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই।

অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান উদ্বিগ্ন। তাদের ৬১ শতাংশই মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সভ্যতাকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।

মূলত সফটওয়্যারজাত বুদ্ধিমত্তা, যা মানুষ বা বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তার সাথে এখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা বুদ্ধিমত্তার প্রতিফলন, স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠা মানবচিন্তা ও তার পরিধি কি পরাজিত হয়ে হারিয়ে যাবে তার সৃষ্ট কোনো ঊনমানুষরূপী অতিমানবের কাছে?

চ্যাটজিপিটির মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রভাবশালী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একে অপরের অর্জনগুলো ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ঘোষণা এর বাস্তবতা। মাত্র গত মে মাসে সিলিকন ভ্যালিতে কর্মচ্যুত হয়েছেন তিন হাজার ৯০০ লোক।

ফুড ফর দ্য ব্রেন ফাউন্ডেশন নামের এক ওয়েবিনারে প্রফেসর ক্রফোর্ড বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকেই আইকিউ কমছে। এটি খুবই ভয়ের বিষয়। এভাবে চলতে থাকলে হোমো সেপিয়েন্স নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে এবং সেদিন বেশি দূরে নয়।

নতুন চ্যাটবট মানুষকে সঙ্গ দিচ্ছে, কথা বলছে, শিশুদের খেলার সাথী হচ্ছে, বয়স্কদের প্রমোদ সঙ্গী হচ্ছে। এ সব কিছু একজন ব্যক্তিকে সমাজবিমুখ করে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। পরিবার ও সমাজ বিচ্ছিন্ন অবস্থান তৈরি করছে। এখানে সমাজবিজ্ঞান, মানুষ ও বিজ্ঞান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মুখোমুখি হচ্ছে।

তাই মানুষ ভবিষ্যতে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনরূপী তার সৃষ্টিকে অপার সম্ভবনার পৃথিবীতে স্বাগত জানাবে নাকি আপন সৃষ্ট ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের হাতে সংহারিত হবে তা এখন বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   মানবসভ্যতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

ইতিহাস গড়ার সন্ধিক্ষণে ভারত, সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চন্দ্রযানের অবতরণ

প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ২৩ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

ইতিহাস গড়ার সন্ধিক্ষণে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় চন্দ্রযান ৩। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার মডিউল বিক্রম। অবতরণের আগে খাড়াই মোড় ঘুরবে ল্যান্ডারটি। চাঁদ প্রদক্ষিণরত বিক্রম সন্ধ্যায় দিক বদল করে নীচের দিকে নামতে শুরু করবে। তার ভিতরেই আছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে চন্দ্রযান ৩। চাঁদে পৌঁছাতে ৪০ দিনের মতো লাগছে ভারতীয় মহাকাশযানের। আজ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কথা রয়েছে বিক্রমের।

ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা মহাকাশযানটির। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অবতরণের দিনে ল্যান্ডার বিক্রম যখন চাঁদের মাটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে, তখন ল্যান্ডার মডিউলটি পালকের মতো করে চাঁদের মাটির দিকে নামতে শুরু করবে। এর জন্য লাগবে মোট ২০ মিনিট।

আজ ধাপে ধাপে গতি কমানো হবে বিক্রমের। শেষ ২০ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠের দিকে পালকের মতো করে নেমে আসার কথা বিক্রমের। বিক্রম যদি জোরেও আছড়ে পড়ে, তবুও এটির ক্ষতি হওয়ার কথা নয়, এমটাই বলা হচ্ছে।

২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ অভিযানের সময় সফট ল্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হয়েছিল ল্যান্ডার।

২০১৯ চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করতে পারেনি চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার। তবে সেই অভিযান বিফলে যায়নি। এখনও চন্দ্রযান ২-এর অর্বিটার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে বেড়াচ্ছে। সেই অরবিটারের সঙ্গে যোগ স্থাপন করেছে চন্দ্রযান ৩ অভিযানের ল্যান্ডার বিক্রম। এই বিষয়ে ইসরো জানিয়েছে, দুই পক্ষই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

এর আগে গতকাল এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় ইসরো জানিয়েছে, মিশন অপারেশন কম্পলেক্স পুরোপুরি প্রস্তুত। নির্ধারিত সময়েই চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে ল্যান্ডার বিক্রম। আজ বিকাল ৫টা ২০ মিনিট থেকে ISTRAC চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের লাইভ দৃশ্য সম্প্রচার করবে।


ইতিহাস   ভারত   চন্দ্রযান   অবতরণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

চাঁদের বুকে রাশিয়ার মহাকাশযান ধ্বংস

প্রকাশ: ০৯:৪২ পিএম, ২০ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail চাঁদের বুকে রাশিয়ার মহাকাশযান ধ্বংস।

চন্দ্রাভিযানে যাওয়া রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছে। এরমাধ্যমে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়ার ৪৭ বছরের প্রথম চন্দ্রাভিযান। রোববার (২০ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবতরণপূর্ব অরবিটে প্রবেশে প্রস্তুতির সময় রুশ মহাকাশ যান লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং এটি চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোসকোসমোস জানিয়েছে, শনিবার গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫৭ মিনিটে তারা মহাকাশ যানের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে যখন এটি অবতরণপূর্ব অরবিটে নামানো হয়। সোমবার এটির চাঁদে অবতরণ করার কথা ছিল।

সংস্থাটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘মহাকাশযানটি একটি অনির্দেশ্য অরবিটে চলে যায় এবং চাঁদের পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায়।’

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, লুনা-২৫ এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে একটি আন্তঃবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই লুনা-২৫ মিশনের মাধ্যমে আশার সঞ্চার হয়েছিল— রাশিয়া আবারও চাঁদে অবতরণের লড়াইয়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে যোগ দিচ্ছে।

এদিকে এই মহাকাশযানটি ধ্বংস হওয়ার বিষয়টি রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশে যে আধিপত্য ছিল— সেটিতে একটি দাগ ফেলেছে। রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৫৭ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে স্পুটনিক-১ স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল। এছাড়া সোভিয়েত মহাকাশচারী ইউরি গাগারিন ১৯৬১ সালে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

১৯৭৬ সালে লুনা-২৪ এর পর রাশিয়া (সাবেক সোভিয়েত) চাঁদে আর কোনো অভিযান চালায়নি। ওই সময় দেশটির শাসক ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ।

এদিকে রাশিয়া চন্দ্রাভিযানে এমন সময় ধাক্কা খেল যখন ভারত প্রায় একই সময় সফলভাবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা করছে। বর্তমানে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণের অপেক্ষায় আছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ করার কথা রয়েছে। 

সূত্র: রয়টার্স 


চাঁদ   রাশিয়া   মহাকাশযান   ধ্বংস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

চাঁদের কক্ষপথে ভারত-রাশিয়ার লড়াই!

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ১৮ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার পাঠানো দুটি নভোযান কক্ষপথে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে। ভারতের নভোযানের নাম চন্দ্রযান-৩। আর লুনা-২৫ হল রাশিয়ার। এদের মধ্যে অবতরণ এবং তথ্যের ভিত্তিতে কে এগিয়ে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। রাশিয়ার লুনা-২৫ ল্যান্ডারটি আগামী ২১ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। অপরদিকে, এর অন্তত দুদিন পর অবতরণ করবে ভারতের চন্দ্রযান-৩।

এ তথ্য জানিয়েছে রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস।

মস্কোর মহাকাশ গবেষণা সংস্থার মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের সময়টা বেশ কঠিন ছিল। লুনা ২৫ ইতোমধ্যে সেটা পার করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে চাঁদের আরও কাছে পৌঁছাবে ল্যান্ডারটি। এরপর নির্ধারিত জায়গায় সফট ল্যান্ডিং করবে।

এতে বলা হয়, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আগামী ২৩ অগাস্ট বিকাল সাড়ে পাঁচটায় চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করবে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম। নভোযানটির বর্তমান অবস্থান নিয়ে এ তথ্য দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

তবে ভারতের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চাঁদে আগে নামলেও তথ্যের নিরিখে লুনা ২৫ এর চেয়ে এগিয়ে থাকবে চন্দ্রযান ৩। কেননা ল্যান্ডার বিক্রমের মধ্যে আছে রোভার প্রজ্ঞান। অবতরণের পর ল্যান্ডারটির পেট থেকে বেরিয়ে আসবে ৬ চাকার ওই রোবট যান। চাঁদের বুকে অনেকটা এলাকাজুড়ে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করবে রোভার প্রজ্ঞান।

অন্যদিকে লুনা ২৫ এ কোনও রোভার না থাকায় এক জায়গায় দাঁড়িয়েই গবেষণা চালাতে হবে মস্কোর এ নভোযানকে।

এর আগে চন্দ্রযান ২-এর মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের চেষ্টা করেছিল ভারত। সেবার অল্পের জন্য দক্ষিণ মেরুতে ঠিকভাবে অবতরণ করতে পারেনি ইসরোর মহাকাশযান। তবে বিজ্ঞানীদের মতে, চন্দ্রযান ২-কে কোনোভাবেই ব্যর্থ বলা যায় না। কারণ ওই মিশনের ৯০ শতাংশ লক্ষ্যই পূরণ হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে গিয়ে মহাকাশযানটি ধ্বংস হলেও চাঁদের থেকে অনেক তথ্য ওই মিশন থেকে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই মিশনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এবার চন্দ্রযান-৩ মিশনে নেমেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


চাঁদ   কক্ষপথ   ভারত   রাশিয়া   চন্দ্রযান-৩   লুনা-২৫  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন