‘স্বাস্থ্য খাতে গবেষণাটা আসলে হচ্ছে। গবেষণা হচ্ছে, বাংলাদেশে মেডিকেল কাউন্সিল রয়েছে- তাদের মূল কাজই হচ্ছে গবেষণা করা। প্রতিষ্ঠানগতভাবে শিক্ষকরা গবেষণা করছেন। আর আমাদের যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন, যেমন এমএস- সেখানে তাদের গবেষণা বাধ্যতামূলক। এই যে গবেষণাটা হচ্ছে- তার ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক মানের যে গবেষণাটা আমরা মনে করি- আন্তর্জাতিক মানের যে গবেষণাটা হওয়া উচিৎ- সেটা আসলে হচ্ছে না। আর ডাক্তাররা ব্যস্ত থাকার কারণে সে মানের গবেষণাটা খুব একটা নাই। তবে আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী যে কথাটা বলেছেন, সে অনুযায়ী গবেষণাটা হচ্ছে না। তিনি গত বছর মেডিকেল গবেষণা কারার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সেটা গত বছর সে অনুযায়ী তেমন কোনো গবেষণা কার্যক্রম দেখা যায় নাই। চলতি বছরে তারা এ রকম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এখন কথা হলো যে, আমরা যেটা মনে করি- গবেষণা করার জন্য একটি পরিবেশ এবং সুযোগ তৈরি করে দেওয়া দরকার। বাংলাদেশে যে উন্নতমানের গবেষণাটা দরকার- যেমন ডাক্তারদের ক্ষেত্রে- তারা চাকরি করে, প্র্যাকটিস করে, নানা সংগঠনে যুক্ত থাকে। যদি তারা নানা রকম কাজ করে, তবে গবেষণার জন্য যে মনোযোগ, যে পরিবেশ- এই জায়গাটা সে নিজেও পাবে না এবং আমাদেরও হবে না। কাজেই একজন শিক্ষক গবেষণা করবেন- এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। - বলছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)- এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান নিয়ে খুবই কম গবেষণা হচ্ছে। এ সেক্টরে গবেষণা বাড়াতে হবে। আমাদের কৃষি গবেষণা চলছে, বিজ্ঞানেও চলছে কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য খাতে গবেষণাটা খুব সীমিত, খুবই কম। আমাদের যারা ডাক্তার হন, তারা পুলিশের চাকরিতে চলে যান বা রাজনীতিবিদ হয়ে যান। তারা ডাক্তারিও করেন না, গবেষণাও করেন না। আর এক শ্রেণি আছে তারা শুধু টাকা কামাই করতেই ব্যস্ত। সরকারি চাকরিও করবেন আবার প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করবেন। সরকারি চাকরি আর প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করলে সেখানে গবেষণা হয় না।’- আসলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের গবেষণা কতদূর এগিয়েছে এবং এর উন্নতির জন্য করণীয় কী? - এসব বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)- এর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান- এর সাথে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন দেশের স্বাস্থ্য খাতের গবেষণার বর্তমান পরিস্থিতি এবং এর উন্নতিকল্পে করণীয় নানা বিষয়। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডাক্তার কামরুল হাসান খান- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।
অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বর্তমান সিস্টেমে গবেষণার সুযোগটা কম। কারণ আমাদেরও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। সে চাকরি করবে- আবার প্র্যাকটিস করবে- সে কারণেই আমার সময়ে একটা উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে, আমাদের কিছু ক্ষেত্রে যদি নন-প্র্যাকটিসিং করে দেওয়া হয়, তাদেরকে কিছু ইনসেনটিভস দিয়ে। সেক্ষেত্রে আমরা কিছু কাজ করেছিলাম। সে অবস্থায় অনেক শিক্ষকরা কাজ করেছিল। কিছু ইনসেনটিভ দিলে শিক্ষকরা গবেষণায় কাজ করবেন। তাদেরকে যদি নন-প্র্যাকটিসিং করে দেওয়া হয়, তাহলে শিক্ষারও প্রসার হবে, গবেষণারও প্রসার হবে। তারা সারাদিন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এবং গবেষণায় কাটালেন। বাকি সময়টা বাসায় পরিবারের সাথে কাটালেন।
অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থানে আমাদেরও গবেষণালব্ধ কিছু মডেল আছে, যা দেশের স্বাস্থ্য গবেষণার উন্নতিকল্পে আমরা কাজে লাগাতে পারি। কারণ এভাবে তো আসলে চলতে পারে না। যেমন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও আছে সেটা- সেখানে কিন্তু নন-প্র্যাকটিসিং শিক্ষকরা গবেষণা করছেন। তারা সেখানে রোগী দেখছেন, ছাত্রদের লেখাপড়া করাচ্ছেন, আবার গবেষণার কাজটা করছেন এবং গবেষণার জন্য তাদেরকে বেশ ইনসেনটিভসই দেওয়া হয়।
এখানে কি এ ধরণের কোনো নীতিমালা রয়েছে কি না- যারা সরকারি চাকরি করবেন- তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না?- এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, না, এটার কোনো নীতিমালা নাই, বরং আইন আছে প্র্যাকটিস অ্যালাউড। এটা তার লিগ্যাল। এটা নিয়ে এক সময়ে আন্দোলন হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে অনেক বিষয়ে, তবে এই প্র্যাকটিসের বিষয়টিও আন্দোলনে ছিল।
তিনি বলেন, তবে এখন আমাদের, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, আমাদের গবেষণার কাজটা বাড়ানো উচিৎ এবং তার জন্য গবেষণার পরিবেশ এবং সুযোগটিও সৃষ্টি করা উচিৎ। আসলে গবেষণার জন্য অনেক বেশি বাজেট লাগে; গবেষণার জন্য ফুল টাইম লোকবলও লাগে। সেক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, তিনি চাকরি করতে পারেন। যদি তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করান, তাহলে তিনি কিন্তু গবেষণাটা ভালো করতে পারেন। তিনি যদি বাইরে প্যাকটিসটা না করেন। এটা নিয়ে আমি অনেক পরিকল্পনা নিয়েছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়টাকে যদি আমরা নন প্র্যাকটিসিং করতে পারি। যেমন তারা রোগী দেখবে, ছাত্র-ছাত্রী পড়াবে এবং পাশাপাশি গবেষণায় কাজ করবে। এ বিষয়গুলো একটির সাথে একটি সংযুক্ত। সুতরাং আমাদের পরিবেশ এবং সুযোগ দুটোই সৃষ্টি হলো।
স্বাস্থ্য খাত আন্তর্জাতিক মান গবেষণা অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির পর আমরা আমাদের দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছি। কিভাবে দলের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। দলের ভেতর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দলকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দল সরকারে থাকলে ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে আস্থার জায়গাও আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রায়হান শরীফ বলেছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সবার যে আচরণ (এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ, রাষ্ট্র সবাইকে বুঝাচ্ছি) সেখানে কোন একটা জায়গায় আমাদের ভুল হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। শিক্ষার্থীরা একটি দাবি নিয়ে এসেছে, এর জন্য তাদের সাথে কথা বলা দরকার। তারা কি বলতে চায় সেটা শোনা দরকার। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এর ফলে এখানে একটা গ্যাপ বা মিস কমিউনিকেশন (ভুল যোগাযোগ) তৈরি হয়ে গিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আসলে কথাই বলতে চেয়েছে। কিন্তু কথা কে বলবে? অবশ্যই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা উচিত ছিল। তারা কি বলতে চায় সেটা শোনা উচিত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারী নিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কার্যত হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল) মোঃ খায়রুল বাকের বলেছেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য মানুষের সচেতনতা অনেক বেশি জরুরী। কারণ আমরা যে ড্রেনেজ সিস্টেমগুলো করেছি সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক এবং পলিথিন পাই। কোন কোন ড্রেনেজ থেকে ১ থেকে ২ ট্রাক পর্যন্ত প্লাস্টিক এবং পলিথিন পাওয়া যায়। আজকে সকালে গোড়ানের একটি ড্রেনে জাজিন পাওয়া গেছে। এই বিষয়গুলোই ড্রেন দিয়ে পানি সরে যেতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।