ইনসাইড টক

আমি আগে ফিল্মে আসার সৎ সাহসটা পাইনি: নিশো (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ০৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ভার্সেটাইল অভিনেতা আফরান নিশো। বিভিন্ন সময় তাকে দর্শক বিচিত্র সব চরিত্রে দেখেছেন। ছোটপর্দায় ব্যাপক জনপ্রিয় এই অভিনেতা। তার নাটক মানেই ইউটিউবে মিলিয়ন মিলয়ন ভিউ।নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতেও বেশ সরব হয়েছেন এই অভিনেতা। তাঁর ভক্তদের দীর্ঘদিনের দাবি, তাকে বড়পর্দায় দেখা। অবশেষে সিনেমায় নাম লিখালেন তিনি। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের  সাথে কথা হয় হালের আলোচিত এই অভিনেতার।



বাংলা ইনসাইডার: ‘সুড়ঙ্গ’-এর প্রস্তুতি কেমন? 

নিশো: বেশি স্টাক হওয়ার চেয়ে রিল্যাক্স থাকা জরুরি। জাস্ট গো ইউথ দ্য ফ্লো… অভিনয়ের অনেক পথ আছে। কেউ অবজারভেশন থেকে অভিনয় করে, কেউ থিওরি এপ্লাই করে আবার কেউ মেথড এক্টিং করে। আমি ওপেন থাকার চেষ্টা করছি। গল্প ভাবনা শুনে এবং স্ক্রিপ্ট পড়া থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়। রাফী আমাকে বহু আগে গল্পটা শুনেয়েছিল। তখন থেকে মনস্তাত্বিক প্রস্তুতি আছে। নাম যেহেতু ‘সুড়ঙ্গ’ আমাদের মাটির নিচে যেতে হবে। তাই আর্ট সেকশনের বড় প্রস্তুতি আছে। ফাইনালি ৫ মার্চ থেকে শুটিংয়ে যাচ্ছি। যে কোনো ঈদে মুক্তি পাবে।

বাংলা ইনসাইডার: আপনার ওজন দেখেই মনে বেশ কমিয়েছেন। সিনেমার জন্যই কি ওজন কমানো? 

নিশো: এই সিনেমার জন্য ওজন কমিয়েছি ব্যাপারটা তা না। আমার নিজের জন্যই আমি ওজন কমিয়েছি। আসলে ওজন বাড়ানো সহজ কমানো কঠিন। আমার ৯১ কেজি থেকে এখন ৭৮ কেজিতে নিয়ে এসেছি। মোটামুটি ১৩ কেজির মত ওজন কমিয়েছিল। যেটা নিজের জন্য দরকার ছিল,পাশাপাশি  সিনেমার ক্যারেক্টারের সঙ্গে অনেকটা সেটা যায়। 



বাংলা ইনসাইডার: লম্বা ক্যারিয়ারে এতোদিন পর কেন মনে হল ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটাই করি?

নিশো: প্রত্যেক গল্পে নিজস্ব বিউটি থাকে। এই গল্পে নিশ্চয়ই ভালো লাগা আছে বলে আমাকে কানেক্ট করেছে। টিমে যারা আছে সবার কাছে প্রশ্ন ছিল গল্পটা কী ভাবিয়েছে নাকি কাজ করতে হয় তাই করছো? প্রত্যেকে সন্তোষজনকভাবে উত্তর দিয়েছে। তাই মনে হচ্ছে দর্শকরাও কানেক্ট করবেন। আমি সবসময় কাজে সততা রেখেছি। প্রতিটি কাজের আগে নার্ভাস হই, চ্যালেঞ্জ লাগে। যেহেতু এটা সিনেমা তাই যেমন বেশি অ্যাফোর্ড থাকবে তেমনভাবে রিল্যাক্স পাবো। সিনেমার জায়গাটা এখন চেঞ্জ হয়েছে। আমার পূর্বে যারা কাজ করেছেন তাদের সারাবছর ফিল্মে ব্যস্ততা দেখিনি। আমি আগে ফিল্মে আসার সৎ সাহসটা পাইনি। কিন্তু এখন ফিল্মে অনেক কিছু দেখে ‘জাস্ট ওয়াও ফ্যাক্ট’ কাজ করে। মনে হয়েছে এখন সিনেমা করা যায়। কেন ২০ বছর সিনেমা করিনি এটা আমার জন্য কোনো প্রেসার না। একটি সিনেমা করে দেখি কেমন লাগে এমন ভাবনা আমার কোনোদিনই ছিল না। পেশাদারভাবে এই সেক্টরে কাজ করতে পারবো কিনা সেটা সবসময় দেখেছি। এখন মনে হয়েছে একেবারে সঠিক সময়। একজন অভিনেতাকে পেশাদারিত্ব রাখতে গেলে বছরে কমপক্ষে দুই তিনটি সিনেমা করা লাগে। কারণ এটাই রুটি রুজি। আগে আমি পেশাদারভাবে আসতে পারছিলাম না বলে নাটকে ছিলাম। এখন সবকিছু বিবেচনা করে দেখলাম দিন বদলাচ্ছে।



বাংলা ইনসাইডার: আপনি ওয়েবে কাজ শুরুর পরে নাটক কমিয়ে দিয়েছেন, এবার সিনেমায় ব্যস্ত হলে কীভাবে নাটকে ফিরবেন?

নিশো: আমি নাটক থেকে বেড়ে ওঠা মানুষ। কিন্তু বারবারই বলি, যখন প্ল্যাটফর্ম সুইচ করি, তখন সেই প্ল্যাটফর্মের ব্যস্ততা আমাকে অন্য প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে দেয় না। এখন সিনেমা যদি ওয়ার্ক করে, ফিল্মে যদি একটি জায়গা তৈরি হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ফিল্ম নিয়ে থাকতে হবে। কারণ, সবাই সিনেমার জন্য ডাকবেন।

বাংলা ইনসাইডার: ‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে কতটা আশাবাদী? 

নিশো: প্রথম কাজে একটু রিস্ক থাকে। যেহেতু সবাই আমরা হার্ড ওয়ার্কিং সবাই ডেডিকেটেড। আমাদের ডিওপি এক মাসের বেশি সময় ধরে এটার সাথে কাজ করছে। পুরো টিম এক সঙ্গে আছে। ভালো কিছু হবে আশা করি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।


নিশো   সুড়ঙ্গ   তমা মির্জা   সিনেমা   রাফি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

'নতুন করে ঘুরিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা আর এই সম্পূর্ণ সাহায্যটা করেছে আমার হাজব্যান্ড'

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রেহানা আক্তার একসময় শোবিজ অঙ্গনে সাড়া জাগানো 'লাইলী খ্যাত' অভিনেত্রী। যিনি বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেতা মাফুজ আহমেদ, জাহিদ হাসান থেকে শুরু করে মোশারফ করিম পর্যন্ত সবার সাথে নাটকে অভিনয় করেছেন।পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা ও সেই মেয়েটি এখন ফ্রান্স প্রবাসী, প্রবাসে জনপ্রিয়তায় শীর্ষস্থানীয় একজন ব্লগার। তার ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউবে বর্তমানে ফলোয়ারের সংখ্যা লক্ষাধিক। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে এই অভিনেত্রীর সাথে কথা হলো বাংলা ইনসাইডারের। 



বাংলা ইনসাইডার:  নাটক থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার কারণ কী?

রাখি: অনেকে বলে ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন থাকে অভিনেত্রী হবে শিল্পী হবে আমার ধারণাটা একটু অন্যরকমই ছিল। আমার যখন জ্ঞান বুদ্ধি হয় আমি যখন স্কুলে পড়াশোনা করি তখন থেকে আমার গানের উপর একটা ঝুঁকি ছিল আমি গান করতাম।এখনো করি গান। কিন্তু অভিনয় নাটকে আসাটা একদম অন্যরকম ছিল ২০০৯ এন টিভি সুপারহিরো সুপার হিরোইনের আমার অভিনয়ে যাত্রা শুরু আমি ওই ফটোসুন্দরীতে অডিশন দিই অডিশন দিয়ে আমার ঢাকায় আসা তারপর থেকে আমার অভিনয়ের যাত্রা শুরু অনেকদিন পার হয়ে যায় অভিনয়ের সাথে অনেক নির্মাতাদের অনেক গুণী ডিরেক্টরদের সাথে আমার অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে একটা সময় ২০১৬ তে যখন অভিনয়ের উপরে নাটকের এমন একটা সংকট এমন একটা বিশৃঙ্খলা শুরু হয় তখন থেকে আস্তে আস্তে নাটক থেকে সরে দাঁড়ানোর ডিসিশন নেই।