বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, দলের পক্ষ থেকে তাকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে তিনি দলের সাধারণ সদস্য থাকতে পারেন। আর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদটি হচ্ছে প্রশাসনিক ব্যবস্থা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তবে তার বক্তব্য দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে যে মন্তব্য করে সে আওয়ামী লীগের কর্মী হতে পারে না, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একজন কর্মী হতে পারে না। সেক্ষেত্রে আইনে যেভাবে বলা আছে প্রশাসন সেভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। আওয়ামী লীগে একমাত্র শেখ হাসিনা হচ্ছে অপরিহার্য। অন্য কাউকে দল থেকে বের করে দিলেও দল বিন্দুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সাময়িকভাবে থমকে দাঁড়াতে পারে।
জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কার, সহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক অলিউল ইসলাম।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, দলের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবে না হয়ত সাময়িক ভাবে থমকে দাঁড়াতে পারে। আর গাজীপুরের মত জায়গা থেকে জাহাঙ্গীরকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দিলে দলের বিন্দু পরিমাণ ক্ষতি হবে না বরং দল আরো গতিশীল হবে। আমি আবারো বলছি এই দলে শেখ হাসিনাই অপরিহার্য অন্য কেউ অপরিহার্য নন। কারণ গোটা দেশের তৃণমূলের বিশ্বাসের জায়গা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর বার বার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আঘাত এসেছে, ড. কামাল হোসেন দল থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর মনে করে ছিলেন দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশে আসার সময় দেশে বাকশাল ছিলো, তারাও ক্ষতি করতে চেয়েছিলো। কিন্তু জননেত্রি শেখ হাসিনা মুক্তি যুদ্ধের সকল পক্ষের মানুষকে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করে আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছেন। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরে এসেছে, দেশের জনগণের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষের কাছে মূল ঠিকানা হচ্ছে শেখ হাসিনা। এতে কোনো ব্যক্তি কষ্ট পায়নি। তার এই বক্তৃতায় গোটা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষ কষ্ট পেয়েছে।
জাহাঙ্গীর ক্ষমা চেয়ে রিভিউ আবেদন করার প্রসঙ্গে এস এম কামাল হোসেন বলেন, সে যে অপরাধ করেছে তাতে ক্ষমার কোন প্রশ্নই আসে না। তার কথায় কোন ব্যক্তি কষ্ট পায় নি, গোটা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষই এই বক্তৃতায় কষ্ট পেয়েছে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নতুন তিন নেতার মনোনীত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওনারা হতে পারেন। ওনারা তিনজনই সিনিয়র লোক। মায়া ভাই দু:সময়ের লোক, কামরুল ভাই দু:সময়ের লোক, খায়রুজ্জামান লিটনও দু:সময়ের লোক। তাছাড়া তার বাবা ১৯৭৫ সালে তিন নভেম্বর জেলখানায় নিহত হয়েছিলেন। জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ কামরুজ্জামান সাহেবের সন্তান তিনি। এখানে প্রেসিডিয়াম হবার ক্ষেত্রে তাদের কোনো অযোগ্যতা নেই, বরং যোগ্যতা আছে। নেত্রী যদি মনে করেন, তাহলে তা-ই হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ভালো হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো প্রেসিডিয়ামের ঘোষণা দেয়নি, চিঠিও দেয়নি। তবে তাদের প্রেসিডিয়াম হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এরা প্রেসিডিয়াম মেম্বার হতে পারে। তাদের দলের প্রতি ত্যাগ আছে, তিতিক্ষা আছে। সেই ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নেবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বন্যা পরিস্থিতি বন্যা বন্যার্ত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, আমরা একটা অপসংস্কৃতির দিকে চলে যাচ্ছি। আগে সমাজের সব ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আলাদা একটা মর্যাদার জায়গা ছিল। নানা কারণেই আমাদের সমাজের এখন অবক্ষয় হয়েছে। এখন শিক্ষকরা মর্যাদা তো পায় না বরং তারা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বিভিন্নভাবে। সাম্প্রতিক সময়ে সাভারে যে ঘটনাটি ঘটছে তা রীতিমতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যে ছাত্র এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার নিজস্ব একটি কিশোর গ্যাং আছে। আমি মনে করি আমাদের ব্যর্থতার চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও একটা বড় ব্যর্থতা আছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের উৎসাহ আর উদ্দীপনা ব্যাপক। এটি শুধু এখন নয়, উদ্বোধনের আগেও ছিল। পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের যে আবেগ ও উৎসাহ, সেটা অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ, অতি উৎসাহ এটি থাকবেই। কারণ সারাদেশের মানুষের আবেগ জড়িত আছে এই সেতুর সাথে। তবে কারো কারো উৎসাহের সাথে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কিনা সেটা একটা প্রশ্নের বিষয় এবং সে বিষয়ে অবশ্যই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুসন্ধান করে দেখবেন। বিষয়টি নিয়ে আরও ভালোভাবে খোঁজ খবর এবং আরও নজরদারি করার দরকার বলে আমি মনে করি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, পদ্মা সেতুর আশেপাশের যে অঞ্চলগুলো আছে, আমরা যেগুলোকে পদ্মা সেতুর বিশেষ সুবিধাভোগী বলে থাকি, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওই ২১টি জেলার মধ্যে ১৩টি জেলা একেবারে দরিদ্র্য জেলা। বাংলাদেশের দরিদ্র্য জেলাগুলোর যে তালিকা সেখানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩টি জেলা আছে। সেখানকার মানুষ যারা চরাঞ্চলের অর্থাৎ যারা সুন্দরবনের আশেপাশে বাস করছেন, যারা প্রতিবছর আইলা বা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যারা মেনেই নিয়েছে যে, তাদের জীবনটা এ রকমই হবে।