তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: মুরাদ হাসান বলেন, পাকিস্তানের প্রতি প্রেম জাগ্রত হয়েছে এটা তো নতুন জাগ্রত হয়নি, এটা যুগ যুগ ধরে চলছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশে স্বাধীনতা যদি এনে না দিত তাহলে পাকিস্তানের প্রেম কি পরিমাণ বাড়তো সেটা তো আপনি বুঝেন। পাকিস্তানি দালাল, রাজাকার, একাত্তরে যারা ছিল ওদের বংশে তো বেঁচে আছে। সবাই তো আর এখান থেকে পাকিস্তানে চলে যায়নি, এগুলা বাংলাদেশে আছে। পাকিস্তানের যে দালালের বাচ্চাগুলা আছে, জারজ সন্তান যেগুলো, বেজন্মা, ওরা পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে লাফালাফি করতেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর নিশ্চয়ই হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, তাদের যদি এটা ভালো লাগে দেখতে তো আমার কি করার আছে।
বাংলাদেশিদের পাকিস্তান প্রীতি, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের হকি খেলা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ডা: মো: মুরাদ হাসান।
আপনি এবং দুই একজন ছাড়া আর কেউ এই ব্যাপারে সোচ্চার নয়, এর কারণ হিসেবে আপনি কি মনে করেন জানতে চাইলে ডা: মো: মুরাদ হাসান বলেন, যারা দেয়না তাদের জিজ্ঞেস করেন যে কেন আপনারা এই বিষয়ে কথা বলেন না। মুরাদ ভাই যদি ভুল বলে থাকে তাহলে বলেন ভুল বলছে, আর যদি সঠিক বলে থাকে তাহলে বলেন সঠিক বলছে।
আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে পাকিস্তানের সংস্কৃতি লক্ষ করা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক জাগরণের দরকার বলে আপনি মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই দরকার। জাগরণের জন্য আপনি ভূমিকা নেন, লেখেন। আমরাও আমাদের যায়গা থেকে কাজ করি, সবাই মিলে কাজ করতে হবে।
১৬ তারিখ, আমাদের বিজয়ের ৫০ বছর। সেদিন মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের খেলা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন নাগরিক হিসেবে এই বিষয়ে আপনার অনুভূতি কি জানতে চাইলে ডা: মো: মুরাদ হাসান বলেন, এটা একটা জাস্ট ফালতুমি করা হইছে আরকি। এটা এবসুলেটলি ভুল সিদ্ধান্ত। আমি এটার পক্ষে অবশ্যই না, সমর্থনও করি না। আর আমি যদি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বা ওইরকম কিছু থাকতাম, তো প্রশ্নেই উঠে না। ১৬ ডিসেম্বর তো দুরেরে কথা ডিসেম্বর মাসেই দিতাম না। কিসের পাকিস্তান বাংলাদেশে? ফালতু।
একটি মহল আপনার সমালোচনা করে। এই ব্যাপারে আপনার মত কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাইম নাই, বেইল নাই। এগুলোর কোন টাইমই নাই আমার কাছে, বেইলই নাই। কারা আমার বিরুদ্ধে বলে না বলে এইটা নিয়ে সময় নষ্ট করার মতো যথেষ্ট সময় আমার নাই, সরি।
বাংলাদেশে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতি সে রাজনীতি শেষ পর্যন্ত জয়যুক্ত হবে? ধর্মান্ধ মৌলবাদদেরকে কি আমরা পরাজিত করতে পারবো চূড়ান্তভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ, অবশ্যই পারবো।
কীভাবে বা পথ-পরিক্রমা কি হবে জানতে চাইলে ডা: মো: মুরাদ হাসান বলেন, পথ-পরিক্রমা বলতে পারবো না। আমার কার্যক্রম ফলো করেন। দেখেন আমি কি করি এবং সবাই কি করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি করে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করিনা, করার দরকারও আমার নাই। আমি বঙ্গবন্ধুর রক্তকে বিশ্বাস করি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বন্যা পরিস্থিতি বন্যা বন্যার্ত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, আমরা একটা অপসংস্কৃতির দিকে চলে যাচ্ছি। আগে সমাজের সব ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আলাদা একটা মর্যাদার জায়গা ছিল। নানা কারণেই আমাদের সমাজের এখন অবক্ষয় হয়েছে। এখন শিক্ষকরা মর্যাদা তো পায় না বরং তারা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বিভিন্নভাবে। সাম্প্রতিক সময়ে সাভারে যে ঘটনাটি ঘটছে তা রীতিমতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যে ছাত্র এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার নিজস্ব একটি কিশোর গ্যাং আছে। আমি মনে করি আমাদের ব্যর্থতার চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও একটা বড় ব্যর্থতা আছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের উৎসাহ আর উদ্দীপনা ব্যাপক। এটি শুধু এখন নয়, উদ্বোধনের আগেও ছিল। পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের যে আবেগ ও উৎসাহ, সেটা অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ, অতি উৎসাহ এটি থাকবেই। কারণ সারাদেশের মানুষের আবেগ জড়িত আছে এই সেতুর সাথে। তবে কারো কারো উৎসাহের সাথে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কিনা সেটা একটা প্রশ্নের বিষয় এবং সে বিষয়ে অবশ্যই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুসন্ধান করে দেখবেন। বিষয়টি নিয়ে আরও ভালোভাবে খোঁজ খবর এবং আরও নজরদারি করার দরকার বলে আমি মনে করি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, পদ্মা সেতুর আশেপাশের যে অঞ্চলগুলো আছে, আমরা যেগুলোকে পদ্মা সেতুর বিশেষ সুবিধাভোগী বলে থাকি, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওই ২১টি জেলার মধ্যে ১৩টি জেলা একেবারে দরিদ্র্য জেলা। বাংলাদেশের দরিদ্র্য জেলাগুলোর যে তালিকা সেখানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩টি জেলা আছে। সেখানকার মানুষ যারা চরাঞ্চলের অর্থাৎ যারা সুন্দরবনের আশেপাশে বাস করছেন, যারা প্রতিবছর আইলা বা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যারা মেনেই নিয়েছে যে, তাদের জীবনটা এ রকমই হবে।