ঈদের পর রাজধানীর কাঁচাবাজার চলছে ঢিমেতালে। রাজধানীর অন্যান্য দোকানপাটও এখনও সেভাবে খোলা হয়নি। বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম, ক্রেতারাও সেরকমভাবে বাজারমুখী হননি। ফলে সবজির দাম কিছুটা কমছে। কিন্তু নতুন করে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আর মুরগির দাম আগে থেকেই বেড়েই রয়েছে। বাজারে চাল, ডাল, আটা-ময়দা, সয়াবিনের মতো নিত্যপণ্যের দাম কমেনি। এসব পণ্যের উচ্চ মূল্য স্থিতিশীল আছে। তবে চিনির বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না। বাজারে চিনির সরবরাহ কম থাকায় বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই বাড়তি দামে।
শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর, মহাখালী ও কাওরান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিরপুর ও মহাখালী বাজারে অর্ধেকের মতো দোকান খুলেছে। কাঁচাবাজারের প্রায় সব দোকান বন্ধ। দু-একটা দোকান খুলেছে। বাজারে ক্রেতাও খুব কম। এর মধ্যে বাজারে সবজির দামে বেশ স্বস্তি দেখা গেছে। দু-একটি বাদে অধিকাংশ সবজি এখন ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে।
সকাল ৯টায় মিরপুর বাজারে করলা, ঢ্যাঁড়স, পটোল, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। রোজায় বেগুনের দাম বেশি থাকলেও এখন বেশ সস্তা। কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। টমেটোর কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মাঝারি আকারের প্রতিটি লাউ ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। সবজির মধ্যে কেবল কাঁকরোল ও শসার দাম বেশি। কাঁকরোল ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং শসা মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা আবু সাঈদ জানান, ঈদের সময় মানুষ সবজি কম কেনে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় দামও কমে আসে। এ জন্য এখন সবজির বাজারে স্বস্তি আছে।
এদিকে, ঈদের আগে মুরগির দাম বেড়েছিল, এখনো সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। সকাল ১০টার দিকে কাওরান বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। ঈদের পর নতুন করে বেড়েছে ডিমের দাম। ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের ডজন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং সাদা রঙের ডিম ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই দুই পদের ডিমে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের দাম বাড়েনি।
কাওরান বাজারের খুচরা ডিম বিক্রেতা শরফুদ্দিন জানান, রোজার পর ডিমের চাহিদা বাড়ছে, আবার সরবরাহ একটু কম। তাই পাইকারিতে দাম বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
অন্যদিকে ঢাকার বাজারে চিনির দাম সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি। সরকার খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করেছে কেজি ১০৪ টাকা। সেই চিনি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১০৯ টাকা সরকার বেঁধে দিলেও তা বাজার থেকে প্রায় উধাও।
টিসিবির হিসাবে বাজারে চাল, ডাল, আটা-ময়দা ও সয়াবিনের দামে কোনো পরিবর্তন নেই। তবে গত এক সপ্তাহে আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গত এক মাসে দেশি রসুন ১৮ শতাংশ ও আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশ। আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
এছাড়াও কাওরান বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম পড়ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।