ইনসাইড ট্রেড

চিনির মূল্য মনিটরিংয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে অভিযান: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৩৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৩


Thumbnail বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রয় করা হচ্ছে কি-না তা মনিটরিংয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক বিষয়াবলী বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মিস হেলেনা কনিগ (Ms Helena Konig) এর সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকায় ভোক্তাদের নিকট বিক্রয় করার জন্য বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশনসহ ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তারা এই মূল্যে বাজারে বিক্রি করছে কি-না তা দেখার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে।’

বাজারে পিঁয়াজের দাম অল্পকিছু দিনের ব্যবধানে অনেক বেড়েছে এব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, ‘দাম যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হবে। দেশীয় পিঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় আমদানি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি পিঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমদানি করা হবে।’

তেলের মূল্য কমানো হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তেলের মূল্য মূলত বৃদ্ধি পেয়েছে ভ্যাট প্রত্যাহারের কারণে। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিলাম শুল্কছাড় অব্যাহত রাখার জন্য কিন্তু তারা তা করেননি। যার জন্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আবার চিঠি দিবো। সামনে বাজেট আছে এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

এর আগে ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের সাথে বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের বাজারে ২০৩২ সাল পর্যন্ত এভরিথিং বাট আর্মস-ইবিএ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় পাঁচ দশকের অংশীদারিত্ব উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। ইইউর সঙ্গে বর্তমানে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারিত্ব তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের মোট বিশ্ব রপ্তানির অর্ধেকের বেশি ইইউভুক্ত দেশগুলোতে যায়।’

এলডিসি উত্তোরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সহযোগিতা কামনা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পণ্য বৈচিত্র্য, পণ্যের গুণমান উন্নয়ন, সার্কুলার অর্থনীতি, জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, বাণিজ্য আলোচনার জন্য বাণিজ্য কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, মান ও মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ইইউ পাশে থাকবে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

টিপু মুনশি জানান, বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি সবুজ কারখানার মধ্যে নয়টি এবং শীর্ষ একশোটি সবুজ শিল্প প্রকল্পের মধ্যে ৪৮ টি বাংলাদেশে রয়েছে। আরও ৫৫০টি কারখানা LEED সার্টিফিকেশন পাওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া ইউএস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল দ্বারা প্রত্যায়িত ১৯২ টি গ্রিন গার্মেন্টস কারখানাও রয়েছে বাংলাদেশে।

এছাড়া, বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে টেকসই কমপ্যাক্ট সম্পন্ন করেছে এবং কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ডে কেয়ার ইত্যাদির মতো সামাজিক সম্মতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলেও জানান।


চিনি   মূল্য   মনিটরিং   অভিযান   বাণিজ্যমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার

প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ২৪ মে, ২০২৩


Thumbnail মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অ্যাসেনচ্যুয়েট টেকনোলজির কাছ থেকে প্রতি লিটার ১৪০ টাকা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার। এছাড়া দেশীয় কোম্পানি সিটি এডিবল অয়েলের কাছ থেকে ১৮২ টাকা ৬৫ পয়সা লিটার দরে আরও ৭০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে।

বুধবার (২৪ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব দুটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এছাড়াও সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রতি কেজি ১০৫ টাকা দরে ১২ হাজার ৫০০ টন চিনি কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএডিসির জন্য মরক্কোর ওসিপি এসএর কাছ থেকে ১২০ কোটি ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২০০ টাকায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রতি টনের দাম পড়ে ৩৬৮ ডলার।

সাঈদ মাহবুব খান জানান, বিএডিসির আরেক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের কাছ থেকে ২২৬ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার টাকায় ৫০ হাজার টন এমওপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   সয়াবিন তেল   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

১০৫ টাকা দরে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কিনছে সরকার

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ২৪ মে, ২০২৩


Thumbnail ১০৫ টাকা দরে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কিনছে সরকার।

জরুরি ভিত্তিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে আরও ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কিনছে সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

বুধবার (২৪ মে) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি জানান, জরুরি প্রয়োজনে টিসিবির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৩১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০৫ টাকা। ব্রান্ড শেয়ার ট্রেডিং লিমিটেড মাইডস থেকে এই চিনি কেনা হবে।

এর আগে গত ১৭ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকোরপোরেশন থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ ধরা হয় ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা।

তার আগে গত ৯ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরের স্মার্ট মেট্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (স্থানীয় এজেন্ট মার্ক লাইন এন্টারপ্রাইজ) থেকে সাড়ে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় খরচ ধরা হয় ৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা।


১০৫ টাকা   চিনি   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৭:২২ পিএম, ২১ মে, ২০২৩


Thumbnail

কক্সবাজারে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২১ মে) বিকেলে শহরের কলাতলীর ওশান প্যারাডাইজ হোটেলে এ কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন, চিফ হিউমান রিসোর্স অফিসার, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্ৰুপ, জনাব ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা, হেড অফ স্ট্র্যাটেজি এন্ড পাবলিক রিলেশনস, সেক্টর এ, বসুন্ধরা গ্ৰুপ, জনাব জাকারিয়া জালাল, ডিজিএম, অডিট, সেক্টর এ, বসুন্ধরা গ্ৰুপ, জনাব মাকসুদুল আলম। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন সবাইকে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশকবৃন্দের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।   

সম্মিলিত আলোচনায় ২০২২ এর বাজার অভিজ্ঞতার আলোকে ২০২৩ সালের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। বসুন্ধরার কর্মকর্তাগণ বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের নেতৃত্ব ধরে রাখতে পরিবেশকদের জন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।   

সেলস কনফারেন্সে নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম নর্থ এবং চট্টগ্রাম সাউথ সেলস ডিভিশনের পরিবেশক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সেরা পারফরমার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের প্রায় শতাধিক পরিবেশক এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা অংশ নেন।   

বসুন্ধরা গ্ৰুপের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন  কাজী রোকন উদ্দিন (এজিএম, ব্র্যান্ড, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস),  এবিএম জাহিদুর রহমান (উইং ইনচার্জ, সেলস, চট্টগ্রাম), মোঃ আরিফুল ইসলাম (ডি.এস.এম, সেলস, চট্টগ্রাম) সহ বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের কর্মকর্তারা।

বসুন্ধরা এলপি গ্যাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৪৭ পিএম, ২১ মে, ২০২৩


Thumbnail বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (২১ মে) রাজধানীর বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা পুরস্কার এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়েছে। কিন্তু বেশি মুনাফা লাভের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুদ রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান বাজার বিবেচনায় আমরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় অবহিত করেছি। ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি যেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণ করে তারা এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য মূলত ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন যেহেতু ভোক্তাদের বাজারে পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে- তাই আমদানি করা ছাড়া উপায় নেই। আমদানির পর বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।’

বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। নির্ধারিত দামে বাজারে চিনি বিক্রয় করছে কি-না তা পর্যবেক্ষণে মনিটরিং করা হচ্ছে।

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের ফলে এতো অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সকল খাতে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেজন্য বিশ্ববাসী অবাক চিত্তে তাকিয়ে রয়। শিক্ষার উন্নয়নেও অনেক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করছে সরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প-উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে শেখ হাসিনা পথ নকশা তৈরি করেছেন। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্য সবাইকে ঐকবদ্ধ্য হয়ে কাজ করতে হবে। 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে টিপু মুনশি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। অনেক জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার রক্ষার দাযিত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যোগ্য এবং মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে অভিভাকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বাড্ডা ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গণি তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম।


বাণিজ্যমন্ত্রী   টিপু মুনশি   পেঁয়াজ   আমদানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

আগামী দু-একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ২১ মে, ২০২৩


Thumbnail

পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। 

রবিবার (২১ মে) সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানি হবে কী না, সেটা আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গতকাল পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দাম কমেছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দ্রুত ভারত থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৪৫ টাকার বেশি পেঁয়াজের দাম হওয়া উচিত না। পেঁয়াজ আমদানি করা হলে ৪৫ টাকার নিচে চলে আসবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সবকিছুর একটা ধারাবাহিকতা থাকে, কিন্তু গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে সে ধারাবাহিকতা রাখা যায়নি। সাধারণত বাজার সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে। গত বছর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু আড়ৎদারের কারণে গুদামে অনেক পেঁয়াজ পঁচে গেছে।

তিনি বলেন, আমাদের মোট ভূখণ্ডের মোট ৬০ ভাগ জমি আবাদ করা হয়। আবার একই জমিতে একাধিক ফসল হচ্ছে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে যোগ হচ্ছে। আমরা দানাদার খাদ্যতে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকলেও প্রতিবছর ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার কারণেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেশি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা হওয়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বিষয়টা মনিটরিং করছি। আমাদের অফিসারদের মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছি। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, কৃষকদের ঘরে পেঁয়াজ থাকলেও দাম বাড়াবে- এমন আশায় তারা অনেকেই মজুদ করে রেখে দিচ্ছেন। এতে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।


পেঁয়াজ   পেঁয়াজ আমদানি   কৃষিমন্ত্রী   ড. আব্দুর রাজ্জাক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন