ইনসাইড ট্রেড

পেঁয়াজ আলুর সাথে মোটা চালের দামও বাড়তি

প্রকাশ: ০৯:৪৪ এএম, ০৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail


বাজারে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে গরিবের খাবারেও সিন্ডিকেটের থাবা পড়েছে। সরবরাহ ঠিক থাকলেও খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৫০ ও আলু ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মোটা চাল কেজিতে তিন টাকা বেড়ে ৫৬ টাকা হয়েছে। আর ডাল কিনতে ক্রেতার গুনতে হচ্ছে ১৩৫ টাকা। বাজারে পণ্য থাকলেও দামের তা কেনার সাধ্য নেই নিম্নআয়ের ভোক্তার। ফলে দুস্থদের পক্ষে ডাল-ভাত ও আলুভর্তা জোগানও কঠিন হয়ে পড়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট অতিমুনাফার লোভে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাকে কষ্ট দিচ্ছে।

বাজারে ৭০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজিই মিলছে না। আর মাছ-মাংসের বাড়তি দামের কারণে ক্রেতার নাভিশ্বাস উঠেছে। রাজধানীর কাওরান বাজার, মালিবাগ বাজার, নয়াবাজার ও শান্তিনগরসহ বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে আজ শুক্রবার প্রতিকেজি গোল বেগুন ১২০-১৪০ টাকা বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি লম্বা বেগুন ৮০-১০০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৮০-২০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটোল-চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৬০-৮০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, শিম ১৫০-১৬০ টাকা, শসা ৬০-৭০ টাকা, কচুমুখি ৯০-১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতিকেজির দাম ৮০ টাকা।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কক মুরগির কেজি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০-৩৫০, পাঙাশ ১৯০-২২০, চিংড়ি প্রতিকেজি ৭০০-১০০০ টাকা, বোয়াল মাছ প্রতিকেজি ৮০০-১২০০ টাকা, কাতল ৩০০-৪০০, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকায় এবং তেলাপিয়া ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, পণ্যের দাম ভোক্তা সহনীয় করতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদারকি ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিকেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা। কৃষক তা সর্বোচ্চ ১৫ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। যা খুচরা বাজারে ৩২ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। হিমাগার মালিক ও মজুতদাররা চাহিদার তুলনায় কম আলু বাজারে ছেড়ে দাম বাড়িয়েছে। দাম বৃদ্ধির পেছনে কারা দায়ী তা সরকারি সংস্থাও জানে। তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমদানির খবরে দাম কিছুটা নিম্নমুখী।

অন্যদিকে বাজারে বাড়তি মুনাফা করতে চালের বাজারে মিলারদের চোখ পড়েছে। খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানান, ‘দিন আনে দিন খায়’ এমন খেটে খাওয়া মানুষের এককেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা। যা আগে ৫৩ টাকা ছিল। কাওরান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মিলারদের কারসাজিতে চালের দাম বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহ আগে গরিবের মোটা, মাঝারি চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১০০-২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে পাইকারি বাজারে হুহু করে বাড়ছে দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রভাব পড়ায় ক্রেতার পকেট কাটা যাচ্ছে।

এদিকে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম সহনীয় রাখতে রপ্তানিতে প্রতিটন ৮০০ ডলার মূল্য বেঁধে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে নতুন দামে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশ না এলেও ভারত আমদানি মূল্য ঘোষণার পরপরই দেশে কারসাজি করে বাড়ানো হয় দাম। শুক্রবার খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকায়। যা সাত দিন আগেও ১০০ টাকা ছিল। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা। যা সাত দিন আগে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর নয়াবাজারে পণ্য কিনতে আসেন দিনমজুর মো. হাসান। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেশি। পরিবারের জন্য দুই বেলা আলুভর্তা, ডাল-ভাত জোগাড় করব তারও উপায় নেই। এসবের দামও অনেক বেড়েছে। কিন্তু বাজারে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। সব মিলে আমাদের মতো মানুষের অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, মা, স্ত্রী এবং দুই মেয়ে নিয়ে আমার পাঁচজনের সংসার। সবার খাবারের জোগান আমাকেই করতে হয়। কিন্তু সীমিত আয় দিয়ে বাজার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দাম বাড়ায় বাধ্য হয়ে চাহিদার তুলনায় কম পণ্য কিনতে হচ্ছে।

জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সার্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই নিম্নআয়ের মানুষ কষ্টের মধ্যে আছে। এর মধ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে একাধিক পণ্যের দাম হুহু করে বাড়ছে। এতে উচ্চশ্রেণির মানুষের ভোগান্তি না হলেও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে নিম্নআয়ের মানুষ। যারা তাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় তা দিয়ে তাদের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে কেনার সময় অনেকে পরিমাণে কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই সংশ্লিষ্টদের উচিত হবে, বাজারে তদারকি জোরদার করে অসাধুদের আইনের আওতায় আনা।


কাঁচাবাজার   দাম   বাড়তি   আলু   পেঁয়াজ   চাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠছে বাজার

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত মাসে শীতকালীন সবজির বাজার কিছুটা চড়া থাকলেও সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে প্রায় সবরকম সবজির দাম।

আজ সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাজার শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। বিক্রেতারাও জানিয়েছেন দাম কমতির খবর। বেশির ভাগ সবজিই বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকার আশে পাশেই।

শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ার কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ কয়েকটি সবজির দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দাম কমায় বিক্রিও বেড়ে গেছে শীতকালীন এসব সবজির।

বিক্রি বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই বনে গেছেন মৌসুমী সবজি ব্যবসায়ী। মূল বাজার এলাকার বাইরে রাস্তার উপরেও গড়ে উঠেছে অস্থায়ী সবজির দোকান। ক্রেতার দেখা বেশি পাওয়ায় শুধু শীতকালীন সবজি দিয়েই ব্যবসা করছেন অনেকে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউনহল বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, সবজির দাম তুলনামূলক কমতির দিকেই। সবজি আরও আসা শুরু করলে দাম সামনে আরও কমবে।

বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা আর আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। কেজিতে ২ টাকা করে বেড়েছে নাজিরশাইল, মিনিকেট আর বিআর ২৮ চালের দাম।

এদিকে রাজধানীর প্রায় বেশিরভাগ বাজারেই গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। তবে মাছের বাজারে নেই স্বস্তি। আগের মতই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সবধরনের মাছ।



শীতকালীন সবজি   বাজার   ফুলকপি   বাঁধাকপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের পোশাক রপ্তানি বন্ধের পাঁয়তারা বাস্তবায়ন হবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

 


যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মিলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বন্ধে যে পাঁয়তারা করছে, তা বাস্তবায়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বুধবার রংপুরের সেন্ট্রাল রোডের নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

টিপু মুন্সি বলেন, রাজনীতি ও ব্যবসা আলাদা জিনিস। এই দুটি দেশ এমন কিছু করবে না, যার প্রভাব বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে পড়ে। এজন্য তিনি উদ্যোক্তাদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানান।

বাজারে চিনির দাম প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চিনি আমদানিতে কর কমাতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হলেও ডলারের দামবৃদ্ধির কারণে তা সম্ভব হয়নি। উৎপাদনও নেই দেশীয় চিনির। ভারতীয় চিনি আমদানিও বন্ধ। সেই কারণে আপাতত চিনির দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই।

তবে শীতকালীন শাকসবজি এবং চাল, তেল, ডাল, আলু ও মুরগিসহ অনেক খাদ্যপণ্যের দাম আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ও নিজের জয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন নিজের জন্য নয়, এটা নৌকার নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই আসনে যাকে মনোনয়ন দিতেন, আমি তার পক্ষ হয়েই কাজ করতাম। রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। 

সরকারের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে শিক্ষা, চাকরি, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও ভারি শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে রংপুর অনন্য স্থানে জায়গা করে নেবে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

 


যুক্তরাষ্ট্র   ইউরোপ   পোশাক   রপ্তানি   পাঁয়তারা   বাণিজ্যমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

প্রতিভরি স্বর্ণ এখন ১ লাখ আট হাজার ১২৫ টাকা

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দামে এক হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে হয়েছে এক লাখ আট হাজার ১২৫ টাকা। 

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে এক লাখ তিন হাজার ২২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৮ হাজার ৪৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা করা হয়েছে। তবে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রূপার দাম প্রতিভরি এক হাজার ৭১৫ টাকা।

২১ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৬৩৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রূপার দাম ভরি এক হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম এক হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে চলতি মাসের ১৮ নভেম্বর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল স্বর্ণের। তখন ভালো মানের স্বর্ণ (২২ ক্যারেট) এর দাম হয়েছিল এক লাখ ছয় হাজার ৩৭৬ টাকা।

 

 


দেশের   বাজার   স্বর্ণ   দাম   ২২ ক্যারেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

কমেছে গরুর মাংসের দাম, স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি ডিম

প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম কমেছে। তবে ডিমের দাম কমলেও এখনো তা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পাইকারিতে ১০০ ডিম বিক্রি করা হয়েছে ৮৫০ টাকায়। যা গত দুই-তিন সপ্তাহ আগেও এক হাজার টাকার ওপরে ছিল।’

কয়েকটি করপোরেট কম্পানি প্যাকেটজাত ডিমের দাম এখনো কমায়নি। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি করছে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির গতকালের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে খুচরায় ডিমের দাম কমে এখন প্রতি হালি ৪০ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মহাখালী কাঁচাবাজারে চায়ের দোকানি মো. সিরাজ বলেন, ‘বাসায় নিয়মিত ডিম রান্না হয়। যখন ডিমের ডজন ১৫০ টাকা হয়েছিল, তখন ডিম বাদ দিয়েছিলাম। দাম কমে যাওয়ায় এখন আবার খাচ্ছি।’

মুরগির দাম কিছুটা কমে ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দাম কমে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে গরুর মাংসের কেজি ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। তবে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর এলাকায় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মাংসের উৎপাদন ছিল ৮৭ লাখ টন। ওই বছর দেশের বাজারে মাংসের চাহিদা ছিল ৭৬ লাখ টন। ফলে চাহিদার তুলনায় ১১ লাখ টন বেশি মাংস উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়া সত্ত্বেও বাজারে দাম ছিল বেশি। কিন্তু মানুষ মাংস কেনা কমিয়ে দেওয়ায় দামও কমতে শুরু করেছে।

রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।


গরুর মাংস   ডিম   পাইকারি বাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

সবজিতে স্বস্তি, বেড়েছে আটা-ময়দা-চালের দাম

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail


হেমন্তের এক মাস বাকি থাকতেই দেশে শীত নেমেছে। বাজারে উঠছে শীতকালীন সবজি। মৌসুমের শুরু হওয়ায় শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা বেশি হলেও কমেছে সারা বছর পাওয়া যায় এমন সবজির দাম। অন্যদিকে চাল, আটা-ময়দা কিছুটা বেড়েছে। কমেছে মাংসের দাম, মাছ অপরিবর্তিত। আর কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে আলুর দাম।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। 

বাজারে পাওয়া সবজির মধ্যে শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০, শালগম ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৯০-১২০, টমেটো ১২০-১৩০, পেঁয়াজ পাতা ১২০-১৬০, মুলা ৫০,  গাজর ১০০, লম্বা বেগুন ৬০, সাদা গোল বেগুন ৬০, কালো গোল বেগুন ১০০, শসা ৬০- ৮০, করল্লা ৮০, উচ্ছে ৮০, পেপে ৩০, পটল ৬০,  মিষ্টি কুমড়া ৬০ ,  ঢেঁড়স ৭০, চিচিঙ্গা ৬০, ধুন্দল ৬০, বরবটি ৬০, কচুর লতি ৬০, কচুরমুখী ৮০-৯০, কাঁচা মরিচ ১৬০-১৮০, ধনেপাতা ১৫০ টাকা কেজি দরে। আর প্রতিটি লাউ ৭০-১০০ টাকা (প্রকারভেদে), ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা ও চাল কুমড়া ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত এক মাসে আটার দাম কেজিতে ১০ টাকা ও ময়দায় ৫ টাকা বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় খোলা ও প্যাকেটজাত উভয় ধরনের আটা-ময়দাই রয়েছে। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে ডিম-আলু, দেশি পেঁয়াজ ও গরুর মাংসের দাম ওঠা নামা করছে। অধিকাংশ নিত্যপণ্যের মূল্য এখনো বাড়তি।

যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুদি দোকানি বলেন, তিনদিন আগেও ডিম বিক্রি করেছি ৪৫-৪৭ টাকায়। এখন ৫০ এর কমে বিক্রি করতে পারছি না। আমরাও তো পাইকারদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করি। কোনাপাড়া বাজারের আলু ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিন আগেও ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছি, এখন তা বেড়ে ৫৫, একদাম।

কারওয়ান বাজারে গিয়ে জানা যায়, দুই কেজির আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। যদিও এক মাস আগে যা ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। ফলে প্রতি কেজি আটার দাম বেড়েছে ১০ টাকা। গত এক সপ্তাহেই প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, মাসখানেক ধরে আটার দাম বাড়তি। তবে এর আগে কয়েক মাস দাম স্থিতিশীল ছিল। এখন কোম্পানিগুলো দফায় দফায় দাম বাড়াচ্ছে। তবে সব কোম্পানি একসঙ্গে দাম বাড়িয়েছে, এমন না।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মাসখানেক আগে পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির এক বস্তা আটার দাম ছিল ১ হাজার ৯৫০ থেকে ২ হাজার টাকা। এখন প্রতি বস্তা আটা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ২৫০ টাকায়। তাতে প্রতি কেজি খোলা আটার দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকাতেও দেখা যায়, গত এক মাসে আটা-ময়দার দাম বেড়েছে। টিসিবির হিসাবে, খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৩ ও ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে খোলা ও প্যাকেটজাত ময়দার মূল্যবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৯ ও ৮ শতাংশ।  এছাড়াও গত এক মাসে মোটা ও মাঝারি আকৃতির চালের দামও কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। এদিকে কিছুটা কমেছে গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি মাংস প্রায় ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০। মাছের দামেও নেই তেমন পরিবর্তন।


বাজার   আটা   ময়দা   চাল   দাম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন