নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২১
সদ্যই মহাকাশে শুটিং সেরে ফিরেছেন রাশিয়ার পরিচালক ক্লিম শিপেনকো। ১২ দিনের জন্য আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়ে শুটিং করেছেন এই পরিচালক-প্রযোজক। পৃথিবীতে ফিরে ক্লিম জানিয়েছেন, এবার তার লক্ষ্য চাঁদে গিয়ে সিনেমার শুটিং করা। এমনকি মঙ্গলগ্রহে গিয়েও ছবির শুটিং হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন পরিচালক। চাঁদ এবং মঙ্গলগ্রহ নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে আগ্রহ চিরকালই বেশি। এবার হয়তো সিনেমার পরিচালকরাও চাঁদ এবং মঙ্গলগ্রহের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করবেন।
রাশিয়ান ছবি ‘দ্য চ্যালেঞ্জ’ ছবির শুটিং হয়েছে মহাকাশে। এই সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখানো হবে যে এক চিকিৎসক মহাকাশে গিয়ে এক নভোচারীর প্রাণ বাঁচাবেন। সেই দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্যই পৃথিবীর সীমানা পার করে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন পরিচালক ক্লিম, রাশিয়ার অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিলদ এবং দুই নভোচারী। জানা গেছে, ওই চিকিৎসকের চরিত্রেই অভিনয় করেছে ইউলিয়া।
উল্লেখ্য, চলতি বছর শুরুর দিকে মহাকাশে গিয়ে সিনেমার শুটিং করার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজ। এর জন্য ইলন মাস্কের স্পেস এজেন্সির স্পেস এক্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন অভিনেতা। কিন্তু তার ভাবনাচিন্তাকে টেক্কা দিয়ে মহাকাশে পৌঁছে গেছেন ক্লিম শিপেনকো এবং তার দল। মহাকাশে ছবির শুটিং করে ইতিমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি একই কারণে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিলদও।
এই প্রথম পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে কোনও সিনেমার শুটিং হয়েছে। কার্যত ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন রাশিয়ার পরিচালক এবং অভিনেত্রী। গত ৫ অক্টোবর বাকি ক্রু মেম্বারদের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পৌঁছেছিলেন পরিচালক ক্লিম এবং ইউলিয়া। এক কার্ডিয়াক সার্জেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই রাশিয়ান অভিনেত্রী।
এমন যুগান্তকারী ঘটনা ঘটানোর পর এবার ওই পরিচালকের থেকে চাঁদ এবং মঙ্গলগ্রহেও সিনেমার শুটিং হতে পারে শুনে উৎসুক মহাকাশের ব্যাপারে আগ্রহীরা। তবে কোন সিনেমার শুটিং হবে, কবে হবে, আদৌ হবে কিনা- বিস্তারিত কোনও ব্যাখ্যাই পাওয়া যায়নি এখনও। অন্যদিকে, টম ক্রুজ কবে স্পেস এক্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মহাকাশে সিনেমার শুটিং করতে যাবেন, সে ব্যাপারেও বিশেষ কিছু জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজতর করার লক্ষ্যে ‘Agreement on the Movement of Traffic-in-Transit and Protocol’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কর্মা দর্জি (Karma Dorji) ট্রানজিট চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বুধবার (২২ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ভুটানের শিল্প বাণিজ্য কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব দাশ তাশি ওমাং এবং শক্তি ও নবায়নযোগ্য সম্পদ বিষয়ক সচিব জনাব দাশ কর্মা শেরিং, ভুটান চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি এবং ভুটানের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকবৃন্দসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন যুগান্তকারী এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হওয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। স্বাক্ষরিত চুক্তি দেশের জন্য কুটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংযোগ এবং কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ আন্ত:যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর অংশ হিসেবে চারিদিকে স্থলভাগ বেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করছে।
এ চুক্তির ফলে উভয় দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক যোগাযোগে ব্যাপক প্রসার ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভুটানের পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফি এবং চার্জ লাভ করবে। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে। ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুন্দ্র বন্দরসমূহ অধিকতর কর্মক্ষম হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। অধিকন্ত কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ বন্দরসমূহের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি গর্বিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তির প্রাক্কালে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশ ভুটানের নিবিড় বন্ধুত্বকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দ্বিপাক্ষিক এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে উভয় রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থ-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা এবং যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশে রুপান্তরিত হয়েছে, পরিচিতি পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।
এ সময় বিগত বছরগুলির ন্যায় সমস্ত আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশকে সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখা ছাড়াও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগীতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলারের যাত্রায় ভুটানকে উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার আহবান জানান তিনি ৷
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর ভুটানের মন্ত্রী, সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনের সাথে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী কৃষিখাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বিশেষ করে মাশরুমসহ কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ের গুরুত্ব আরোপ করেন।
উল্লেখ্য, তিন দফা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে উক্ত চুক্তি এবং এর আওতায় প্রোটোকল চুড়ান্ত করা হয়। গত ১৩ মার্চ ২০২৩ তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। ইতো:পূর্বে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (PTA)কে সম্পাদিত চুক্তি ও প্রোটোকল অধিকতর কার্যকর করবে। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি উভয় দেশ কর্তৃক রেটিফিকেশনের পরে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ভুটান ট্রানজিট চুক্তি প্রোটোকল স্বাক্ষরিত বাণিজ্যমন্ত্রী থিম্পু
মন্তব্য করুন
বসুন্ধরা এলপি গ্যাস বসুন্ধরা গ্রুপ
মন্তব্য করুন
আগের
সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লো রডের দাম। নির্মাণশিল্পে
ব্যবহৃত এই উপকরণটির দাম ছাড়িয়েছে লাখ টাকা। গত পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রতি টন রডের
দাম বেড়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা।
গতকাল বুধবার
রডের বাজারের শীর্ষ সারির কোম্পানিগুলো প্রতি টন রডের দাম ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। তাতে
তিনটি (বিএসআরএম, একেএস, জিপিএইচ) কোম্পানির রডের দাম প্রতি টন এক লাখ টাকায় উন্নীত
হয়েছে। এর আগে কখনোই লাখ টাকায় রড বিক্রি হয়নি বলে উৎপাদকেরা জানিয়েছেন। তবে দেশীয়
ইস্পাত শিল্পের আরেক ব্র্যান্ড কেএসআরএমের লোহার রড পাওয়া যাচ্ছে লাখ টাকার কমে। সবশেষ
বৃহস্পতিবার সকালে এই ব্র্যান্ডের রড টনপ্রতি ৯৮ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
উৎপাদন
খরচ বেড়ে যাওয়ায় রডের
দাম বাড়ানো হয়েছে বলে উৎপাদকেরা জানিয়েছেন।
তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে গ্যাস–বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, বেশি দামে ডলার
কিনে আমদানি মূল্য পরিশোধ, তুরস্কের ভূমিকম্পের পর বিশ্ববাজারে কাঁচামালের
দাম আরেক দফা বৃদ্ধির
কারণে রডের উৎপাদন খরচ
বেড়েছে। তাতে গ্যাস–বিদ্যুৎ
ও ডলারের দাম বাড়ার প্রভাব
শেষ পর্যন্ত ভোক্তার কাঁধে এসে পড়েছে।
রড-সিমেন্টের খুচরা ব্যবসায়ী, ডিলার, মিল মালিক এবং
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এক
মাসের বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে,
এখন প্রতি টন এমএস রড
বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৫০০
টাকায়। মাত্র এক মাস আগেও
এ রডের দাম ছিল
৯০ হাজার টাকার ঘরে, অর্থাৎ ৯৮
হাজার ৫০০ টাকা। আর
পাঁচ মাস আগেও এই
রডের দাম ছিল টনপ্রতি
৮৪-৮৫ হাজার টাকা।
বর্তমানে
নির্মাণকাজ আগের চেয়ে বেড়েছে।
১০-১৫ দিন আগেও
বুকিং দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে
না রড। সামনে রডের
দাম আরও বাড়তে পারে
বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নাম
প্রকাশ না করার শর্তে
দেশের শীর্ষ রড উৎপাদনকারী একটি
প্রতিষ্ঠানের বিপণন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে ডলারের সংকট রয়েছে। চাইলেই
স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য এলসি খোলা
যাচ্ছে না। আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে স্ক্র্যাপ জাহাজের বুকিং রেট বেড়ে গেছে।
পাশাপাশি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়েছে জাহাজভাড়াও। এতে স্ক্র্যাপের আমদানি
ব্যয় বেড়ে গেছে, যা
রড উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে। ফলে বাজারে বাড়ছে
রডের দাম।
মন্তব্য করুন