দেশের ছয় জেলার নদীবন্দরে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব জেলায় সম্ভাব্য ঝড়ের শক্তি হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস। যে ছয় জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, সেগুলো হলো খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল ১০ টায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া এক বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্ভাভাসে এসব অঞ্চলের নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, দেশের প্রায় সর্বত্রই আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আর উপকূলের কিছু অঞ্চলে আজ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সে জন্য নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল পার হয়। এতে ওই অঞ্চলে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হয়। কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে একপর্যায়ে বাতাসের গতি ১৪৭ কিলোমিটারের মতো ওঠে। ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার দুদিন পরই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, কাল শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
ছয় জেলা নদীবন্দর ২ নম্বর সংকেত
মন্তব্য করুন
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সব বিভাগে বৃষ্টিপাতের কথা বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে তিন বিভাগে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে দেওয়া আবহাওয়ার সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবারের (২৫ জুলাই) আবহাওয়া নিয়ে বলা হয়েছে, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
মন্তব্য করুন
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া সব বিভাগে কম-বেশি বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে রয়েছে বৃষ্টির আভাস
মন্তব্য করুন
দেশের
সব বিভাগে বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে কোথাও
কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার
(১৫ জুলাই) সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে
বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের
কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের
দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি
হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ
সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল
হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ
উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার
যেমন থাকবে আবহাওয়া
রংপুর
ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের
কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের
দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি
হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুধবার
যেমন থাকবে আবহাওয়া
রংপুর,
ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের
কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের
দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি
হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের
কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃষ্টি তাপমাত্রা
মন্তব্য করুন
দেশজুড়ে চলছে বৃষ্টির আনাগোনা। কোথাও থেমে থেমে, আবার কোথাও মুষলধারে। বিগত কয়েকদিন যাবত সারাদেশেই ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ জুলাই) ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে, যা এবারের বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টি। এবার পুরো জুলাই মাসে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার বৃষ্টির ফলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায়, মোহাম্মদপুর, ইসিবি, মালিবাগ, শান্তিনগর, সায়েদাবাদ, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট যেতে নতুন রাস্তায়, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট-তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকা, শনির আখড়া, পুরান ঢাকা, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, ধানমন্ডি, মিরপুর ১৩, হাতিরঝিলের কিছু অংশ, গুলশান লেকপাড় এলাকার সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে কিছু পরিমাণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ভারি বৃষ্টির স্থায়িত্ব বেশি হওয়া মানেই দুর্ভোগ চরমে ওঠা। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থানে রয়েছে। এর প্রভাবে সারা দেশে কয়েকদিন ধরে কোথাও ভারি, কোথাও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী শুক্রবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে। ওইদিন থেকে একটি নতুন স্কেল শুরু হয়ে বৃষ্টিপাত তীব্রতর হবে। অর্থাৎ জুলাই মাসজুড়েই বৃষ্টি থাকবে।
রোববার (১৪ জুলাই) রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
রাজধানী ঢাকা বৃষ্টি বজ্রপাত শিলাবৃষ্টি
মন্তব্য করুন