দেশের ২০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২০ মে) ভোর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পাটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়া পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তবে এ সময়ে সমুদ্রবন্দরগুলোর জন কোনো সতর্কতা নেই।
মন্তব্য করুন
দেশের সাত জেলার ওপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার
জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে দিকে অসহনীয় গরম নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেছেন, আপাতত তাপমাত্রা বাড়ার আর কোনো আশঙ্কা নেই। বরং চট্টগ্রাম বিভাগে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। বিশেষ
করে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ
বিরাজ করছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলায়ও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার সতর্কবার্তা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ে হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সমুদ্র বন্দর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চলতি বছর অন্যান্য
বছরের চেয়ে তাপের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। অসহনীয় গরমে পুড়ছে দেশ। বৃষ্টি নেই। আবহাওয়ার
এমন বৈরিভাব নিকট অতীতে দেখা যায়নি। দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া প্রচন্ড তাপপ্রবাহ খুব জলদি
মুক্তি পাচ্ছে না দেশবাসী।
আবহাওয়া অধিদফতর
জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহধিককালেরও বেশি গরম অব্যাহত থাকবে। গত কয়েক দিনে স্বাভাবিকের
তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপদাহ রেকর্ড হয়েছ। আপাতত মুক্তি নেই জ্বালাপোড়া
গরম থেকে। বর্ষাবাহী মৌসুমি বায়ু এখনো প্রবেশ করেনি দেশে। মৌসুমী বায়ু প্রবেশের পর
ক্রমশ তাপদাহ কমবে।
এদিকে কানাডার
সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মডেল বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, চলতি তাপপ্রবাহ চলার আশঙ্কা রয়েছে
১৪ জুন পর্যন্ত। ইউরোপীয়ান মডেল অনুসারে ৯ জুন রাজশাহী বিভাগের কোন কোন জেলায় তাপমাত্রা
৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। ১৪ জুন পর্যন্ত সিলেট, চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া
অন্য বিভাগগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা অতি সামান্য।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা
বর্ষা টেকনাফ উপকূলে পৌঁছাতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। এই সময় জুড়ে
তাপপ্রবাহের সঙ্গে থাকবে ভ্যাপসা গরমও। তবে কোথাও কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে সাময়িকভাবে
কমবে গরম অনূভূতি। তবে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
গতকাল সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ব্যাপারে
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, গতকাল ঢাকার স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
থাকার কথা ছিল। কিন্তু রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মানে ঢাকার তাপমাত্রা
৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে চলমান
তীব্র তাপপ্রবাহ আরও অন্তত দু’দিন অব্যাহত থাকতে
পারে এবং এরপর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা
বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ
এ কে এম নাজমুল
হক জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায়
অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় রবিবার (৪ জুন) সন্ধ্যা
পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের
দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া
দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে
রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাগুলোর
ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা,
ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের
অবশিষ্টাংশ এবং মৌলভীবাজার, চাঁদপুর
ও নোয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু
থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং
তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী
দু'দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত
থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
মন্তব্য করুন