বৈশাখের শুরু থেকেই দেশে বইছে তীব্র দাবদাহের কারনে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না।
আবহাওয়াবিদ বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়াবিদ জানান, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া আবহাওয়া অফিস তাপমাত্রা
মন্তব্য করুন
সোমবার থেকে দেশজুড়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ বৃষ্টি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে চলতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার ই তথ্য দিয়ে কালবৈশাখীর সতর্কও করে দিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।
সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। সেখানে বলা হয়, আজ সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে আজ বলা হয়েছে, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর, মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। এসব স্টেশনের মধ্যে গতকাল ১১টিতে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায়, ৩৭ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। তাতে রাজধানীর তাপমাত্রা সামান্য কমেছিল।
আবহাওয়াবিদেরা মনে করেন, দেশজুড়ে বড় ধরনের বৃষ্টি না হলে এই তাপপ্রবাহ শেষ হবে না।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে ঝড়ের সময় সবাইকে সাবধানে থাকতে বলেছেন আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
তিনি বলেন, মে মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি কালবৈশাখী হয়। এ মাসেও কয়েকটি কালবৈশাখী হতে পারে। এসময় বজ্রপাতে অনেক প্রাণহানি হয়। তাই ঝড়ের সময় অবশ্যই নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে।
ঝড়বৃষ্টি আবহাওয়া অধিদপ্তর কালবৈশাখী
মন্তব্য করুন
বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে আজ ভারতের দিল্লি। তবে দূষণমাত্রার দিক থেকে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১০ম। শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা ৫১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ২৭৮। এর পরে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু এবং এই শহরটির স্কোর ২১৭। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। এই শহরটির স্কোর ১৬৭। এরপর থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার, জাকার্তা, চীনের বেইজিং, মিশরের কাইরো, ভিয়েতনামের হ্যানয় ও দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে।
রাজধানী ঢাকা রয়েছে ১০ নম্বরে। এই শহরের স্কোর ১১৭ অর্থাৎ এখানকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসজনিত রোগ, অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুদূষণ ঢাকা ১০ম প্রথম দিল্লি
মন্তব্য করুন
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবার ( ১ মে ) স্বস্তি বৃষ্টি এনেছিল। রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা একলাফে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে। পঞ্চগড়ের রাতের তাপমাত্রাও তো একলাফে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। তবে গতকাল শুক্রবার সকাল গড়িয়ে যত দুপুরের দিকে গিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী দুই দিন অন্তত উষ্ণতার ভেতর দিয়ে অর্থাৎ তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাবে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড গরমের কষ্ট আবারও ফিরে এসেছে। দিনের বেলা তো তাপপ্রবাহ থাকছেই, রাতের বেলার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপপ্রবাহের এলাকাও বিস্তৃত হতে পারে; পাশাপাশি বাতাসে জলীয়বাষ্প বা আর্দ্রতা বেড়ে গরমের অস্বস্তিও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা গতকালের মতোই উষ্ণ থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। তবে দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কিছু জেলায়। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আগামী সোম ও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়লে তারপর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ এলাকা এবং রংপুরের কয়েকটি এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি ঝরেছে রাঙামাটিতে, ৪৪ মিলিমিটার।
মন্তব্য করুন
ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অপর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবার ( ১ মে ) স্বস্তি বৃষ্টি এনেছিল। রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা একলাফে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে। পঞ্চগড়ের রাতের তাপমাত্রাও তো একলাফে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। তবে গতকাল শুক্রবার সকাল গড়িয়ে যত দুপুরের দিকে গিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ ফিরে এসেছে।