ইনসাইড ওয়েদার

তাপপ্রবাহ: অবশেষে বৃষ্টি নিয়ে সুখবর

প্রকাশ: ১১:৪০ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে। কয়েক দফায় হিট অ্যালার্টও জারি করেছে। এই তীব্র গরমে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুও হয়েছে অনেক। সব মিলিয়ে দেশের কোটি কোটি জোড়া চোখ দীর্ঘ প্রতীক্ষায় চেয়ে আছে আকাশ পানে, কখন দেখতে পাবে মেঘ; ঝরবে অন্তিম বৃষ্টি। এবার সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামীকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি শুরু হবে। তবে ৫ মে থেকেই মাত্রা বাড়বে। আর এর প্রভাবেই তাপমাত্রাও নেমে আসবে সহনীয় মাত্রায়। বুধবার (১ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আগমীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা খুবই অল্প পরিমাণ। বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে আগামী ৫ থেকে। সেসময়ে সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ওমর ফারুক বলেন, বৃষ্টির ফলে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ থাকবে না। জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসবে। তবে এই বৃষ্টি শেষে ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।

টানা এপ্রিল জুড়ে সারা দেশে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এর আগে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা।

একই দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল যশোরের আগে রেকর্ড হওয়া সবোর্চ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে, দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায়। সে সময় জেলার তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার সেই তাপমাত্রা ছাড়াল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে।

দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এরপর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার দেশে খুবই সামান্য বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিশেষজ্ঞরা প্রকৃতির এ আচরণকে অস্বাভাবিক বলছেন।

এদিকে দেশের সাতটি জেলায় অতি তীব্র, ১২টি জেলায় তীব্র এবং বাকি ৪৫টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে ঈশ্বরদীতে ৪৩.২ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৪৩.০, কুমারখালীতে ৪২.৫, মোংলায় ৪২.৩, সাতক্ষীরায় ৪২.২, খুলনায় ৪১.৫, টাঙ্গাইল, বগুড়া, দিনাজপুর ও তাড়াশে ৪১.০, গোপালগঞ্জে ৪০.৭, বদলগাছীতে ৪০.৫, ফরিদপুরে ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


ওয়েদার   আবহাওয়া অধিদপ্তর   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

দেশের কিছু অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রকাশ: ০৮:১১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হয়ে তীব্র গরমে আবারও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ। অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী শনিবার (১৮ মে) পর্যন্ত সারা দেশেই বয়ে যেতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এরপর ৫ থেকে ৬ দিন বৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের সব বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে এ তাপপ্রবাহ দীর্ঘস্থায়ী হবে না। রংপুর, রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে সঙ্গে যশোর, কুষ্টিয়ার তাপমাত্রাও কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। তবে তা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ানোর শঙ্কা নেই। আগামী শনিবার থেকে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হবে। এরপর কালবৈশাখী এবং বজ্রসহ বৃষ্টি সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগ দিয়ে শুরু হবে। সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রোববার। এ বৃষ্টি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকতে পারে।


তাপপ্রবাহ   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

দেশজুড়ে তীব্রতাপপ্রবাহ, অস্বস্তি থাকবে গরমে

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। গত সোমবার (১৩ মে) থেকে ফের শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহের আজ চতুর্থ দিন। এটি অব্যাহত থাকতে পারে আরও দুদিন। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেরে দুই অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া, বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হতে পারে।  

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সোমবার (১৩ মে) থেকে ফের শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ গতকাল বুধবার (১৫ মে) থেকে তীব্র হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৫ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে।

এদিন সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, এই তাপপ্রবাহ এপ্রিলের মতো তীব্র হবে না। তবে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করবে।

এছাড়াও আগামী শনিবার (১৮ মে) থেকে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।


তীব্রতাপপ্রবাহ   অস্বস্তি   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

৪২ জেলায় দাবদাহ, ৫ বিভাগে হিট অ্যালার্ট

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪২টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বিরাজ করছে। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোথাও বৃষ্টি হয়নি। এদিকে দেশের পাঁচটি বিভাগের ওপর দিয়ে দুই দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মে মাসের ২১ তারিখের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির বার্তাও দিয়েছে সংস্থাটি। যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

বুধবার দিনাজপুরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। ছাড়া রাজশাহীতে ৩৮, রংপুরে ৩৭ দশমিক , ময়মনসিংহে ৩৬ দশমিক , সিলেটে ৩৬ দশমিক , চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩৭ দশমিক , খুলনায় ৩৬ দশমিক এবং বরিশালে ৩৫ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মাত্র পাঁচ দিন আগে ১০ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিসাবে তাপমাত্রা বেড়েছে ডিগ্রির বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল সিলেট বিভাগ এবং রাজশাহী রংপুর বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আগামী ২০ মের পর সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। যেটি শক্তি পেলে পরবর্তীতে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপের ধাপ পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে এই নতুন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে, সেটির নাম রাখা হবে রেমাল। এই নামটি ওমানের দেওয়া। এটির বাংলা অর্থ বালি। পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তি বাড়াবে। ২৪ মে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধের পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ . মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী দুই দিন বিক্ষিপ্তভাবে দেশের পাঁচ বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইবে। ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন মডেল পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে ২১ তারিখের পর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যেটি পরবর্তীতে লঘুচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটির গতি প্রকৃতি এখন স্পষ্ট নয়। লঘুচাপ সৃষ্টির পর বলা যাবে।


দাবদাহ   হিট অ্যালার্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

ফের ২ দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফের ২ দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরও বিস্তৃত হওয়ার আভাস থাকায় দুই দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে অধিদপ্তর।

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।  

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার, ভোলা এবং পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে।


হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

মে মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবেরেমাল এই নামটি দিয়েছে ওমান।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

আগামী ২৫ মে সন্ধার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


বঙ্গোপসাগর   ঘূর্ণিঝড়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন