ইনসাইড ওয়েদার

ঢাকার বাতাসে উত্তাপ বাড়াচ্ছে ক্ষতিকর নানা গ্যাস

প্রকাশ: ০৮:৩৬ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েক দশক আগেও রাজধানীতে পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ এলাকা ও জলাশয় ছিল। কিন্তু পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে খাল-পুকুর ভরাট, দখল ও ধ্বংস, সবুজ এলাকা নষ্ট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণে কংক্রিটের জঞ্জাল বেড়েছে। নগরীর ভবনের নকশায় পরিবেশ ও জলবায়ুর ধারণা বাদ দিয়ে কাচ নির্মিত ভবন ও এসিনির্ভর ভবনের নকশা তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গে নগরীতে কোনো ধরনের বনায়ন করা হয়নি। নগর এলাকায় সরু রাস্তার পাশেই সুউচ্চ ভবন নির্মাণ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো কর্তৃক জলাশয়-জলাধার-সবুজ এলাকা ধ্বংস করা হচ্ছে।

ময়লার ভাগাড়, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণে নগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি বায়ুদূষণে সৃষ্ট অতি ক্ষুদ্র কণার কারণে নগরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার বাতাসে উত্তাপ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস। ময়লার ভাগাড়, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া থেকে তৈরি হচ্ছে গ্যাস।

গতকাল শনিবার (০৪ মে) বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারের বিআইপি কনফারেন্স হলরুমে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) উদ্যোগে ‘ঢাকায় তাপদাহ: নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় ও করণীয়’ শীর্ষক পরিকল্পনা সংলাপে এসব তথ্য উঠে আসে। সংলাপের শুরুতে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।

প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সবুজ যেমন কমেছে, ঠিক তেমনি গত দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ, যা নগর এলাকায় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে মারাত্মক হারে, বাড়ছে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাব। ২০১৯ সালে করা বিআইপির গবেষণা অনুসারে, কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয় ৭৭ দশমিক ১৮ শতাংশ, আর ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে।

২০২৩ সালে বিআইপির প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; অন্যদিকে জলাভূমি নেমে এসেছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশে। যদিও নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকার কথা। এরই পাশাপাশি ভবনের নকশায় প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলকে ব্যাহত করে দিয়ে আবদ্ধ ঘর, কাচ নির্মিত ঘর ও এসি ব্যবহারকে মাথায় রেখে ভবন নির্মাণের প্রবণতার কারণে মহানগরীতে তাপমাত্রা বাড়ছে।

শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পুরো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১ থেকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির কথা বলা হলেও ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এ তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মূল কারণ মূলত ঢাকা শহরের আশপাশের প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার এবং নগরায়ণের নামে চালানো ধ্বংসযোগ্য।

তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং অন্যান্য যেসব নীতিমালা রয়েছে, তার যথাযথ চর্চায় নিয়ে আসতে হবে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সংযোগ রেখে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের যেসব জলবায়ুকেন্দ্রিক পলিসি অথবা নীতিমালা রয়েছে, সবগুলোকে একসঙ্গে করে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। তা ছাড়া যে কোনো পরিকল্পনা বা মেগা প্রকল্প শুরু করার আগে রাজউকের মাস্টার প্ল্যান অনুসরণ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। সঙ্গে এসব প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজে পরিকল্পনাবিদদের যুক্ত করতে হবে।

এরই মধ্যে ঢাকা শহরের বায়ুর মানদণ্ড পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত নিম্নমানের মন্তব্য করেন বিআইপির ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লিয়াজোঁ পরিকল্পনাবিদ আবু নাইম সোহাগ। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত নগরায়ণের নামে এসব পার্ক উদ্যান এবং জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে, যা আমাদের ঢাকা শহরে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অন্যতম কারণ। তা ছাড়া ঢাকা শহরে এসি ব্যবহারে যে বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা গড়ে উঠেছে, তা থেকে আমাদের যত দ্রুত সম্ভব সরে আসতে হবে।

বিআইপির বোর্ড সদস্য পরিকল্পনাবিদ হোসনে আরা বলেন, ঢাকার তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে এবং তাপ সহনশীল নগর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আরবান হিট মিটিগেশন ও ম্যানেজমেন্ট কৌশল নগর পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ বিবেচনায় আনতে হবে।

পরিকল্পনাবিদ রেদওয়ানুর রহমান বলেন, ঢাকা শহরে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ জনগণ মূলত এসি ব্যবহার করে থাকে, যা আমাদের ঢাকা শহরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ পাশাপাশি আমাদের জলবায়ুর ক্ষতি সাধন করছে।

পরিকল্পনা সংলাপে ড. আদিল মুহাম্মদ খান ঢাকা মহানগরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিআইপির পক্ষ থেকে ২৩ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। তাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে, সবুজ ও জলাশয় এলাকা সংরক্ষণে যথাযথ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, হারিয়ে যাওয়া খালবিল-জলাশয়-জলাভূমি ও সবুজ বাস্তবতার নিরিখে সম্ভাব্যতা যাচাই সাপেক্ষে পুনরুদ্ধার, ধ্বংসকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, নগর পরিকল্পনা ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার মাধ্যমে সবুজ এলাকা, জলাশয় ও কংক্রিট এলাকার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হওয়া, নগর এলাকার প্রান্তে সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প গ্রহণ, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জলাশয় ও জলাধার রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা, সরু রাস্তার পাশে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ প্রবণতা বন্ধ করা, বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের বিধিমালা সংশোধন করে সবুজ ও জলাশয় এলাকা, পার্ক-উদ্যান-খেলার মাঠ বাড়ানোর যথাযথ উদ্যোগ, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রস্তাবিত জলকেন্দ্রিক পার্ক, ইকোপার্ক, পার্ক, খেলার মাঠ তৈরিতে দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, মেগা প্রকল্প ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে নগর সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নিশ্চিত করা, এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং নির্দেশনা প্রণয়ন করা, এনার্জি এফিশিয়েন্ট ভবন ও গ্রিন বিল্ডিং কোড প্রণয়ন করা, ভবনের ডিজাইনে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচল ও এনার্জি এফিশিয়েন্সির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া, প্রান্তিক, নিম্ন আয় ও বস্তি এলাকার মানুষের আবাসন পরিকল্পনা, নগর এলাকায় সবুজ ও জলাশয় রক্ষা করতে কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠন সৃষ্টি ও কমিউনিটিভিত্তিক নজরদারি বাড়ানো। ওয়ার্ডভিত্তিক মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা, তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহ বিবেচনায় নিয়ে নগর পরিকল্পনা ও ভবনের নকশা এবং নির্মাণ নিশ্চিত করতে পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলী, উদ্যানতত্ত্ববিদদের অন্তর্ভুক্তি ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে উদ্ধার পেতে ঢাকা মহানগরীর পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা-২০২২-এর সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এজন্য এসব প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পনাবিদসহ প্রয়োজনীয় কারিগরি জনবল বৃদ্ধি করতে হবে।


ঢাকার বাতাস   ক্ষতিকর গ্যাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

সন্ধ্যার মধ্যে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব জেলায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, চট্টগ্রাম সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


সন্ধ্যা   ঝড়   আশঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

আগামীতে আরও তীব্র আকার ধারণ করবে তাপপ্রবাহ: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ১২:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত এপ্রিল থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাহ । এশিয়ার ছয়টি দেশে যা এখনো অব্যাহত। আগামী বছরগুলোতে গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ সহ পুরো এশিয়া জুড়ে আঘান হানা তাপপ্রবাহ আরও প্রাণীঘাতি হয়ে উঠতে পারে। আবহাওয়া জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার থেকে যৌথভাবে প্রকাশ করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গতকাল এশিয়া অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনেও ওই গবেষণার ফলাফলকে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাপপ্রবাহকে একটি দুর্যোগ হিসেবে মনে করছি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মৃত্যুর শিকার হওয়া মানুষদের সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করছি। কৃষি, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা মোকাবিলায়ও সরকার কাজ করছে। 

ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদনে ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তাপপ্রবাহের কারণে দেশের ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জীবন জীবিকাকে তা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ লাখ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও এ তাপপ্রবাহের ফলে সরকারি বেসরকারি হিসাব মিলিয়ে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি।

ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের কারণে অনেক মানুষ পানিশূন্যতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শরীরে ভারসাম্যহীনতা, বমি, জ্বর, ডায়রিয়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।

গত ২৯ এপ্রিল ঢাকায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল। ওই দিন রাজধানীতে মোট জন মারা যান। তখন বাংলাদেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বেশির ভাগ সময়জুড়ে তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে তার চেয়ে ডিগ্রি বেশি।

জাতিসংঘের হিসাবে, তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাগুরা জেলায়। এপ্রিলের শুরু থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও তা মারাত্মক তীব্রতা পায় ২১ এপ্রিল। আর সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন ছিল ২৪ এপ্রিল। ওই দিন রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। গত এপ্রিলের তাপপ্রবাহ আগের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। এসময় বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ এলাকা তাপপ্রবাহের কারণে ঝুঁকিতে ছিল।


তাপপ্রবাহ   তীব্র   প্রাণঘাতী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের তীব্র গরমে স্বস্তি ফিরে এসেছে রাজধানীবাসীদের মাঝে। শনিবার (১৮ মে) সকালে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়। 

ঢাকার আকাশ ভোর থেকেই ছিল মেঘলা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রামপুরা বাড্ডা, নতুনবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।

এদিকে বৃষ্টি প্রশান্তি আনলেও অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেকে ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজছেন। তবে বৃষ্টি নামায় সবাই স্বস্তিবোধ করেছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল শুক্রবার ঢাকায় বৃষ্টি হতে পারে। 


ঢাকা   গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

সকালে থেকে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত কয়েকদিন থেকেই দেশব্যাপি ছিল তাপপ্রবাহ। এর মধ্যেই শুক্রবার (১৭ মে) সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মেলে। এ অবস্থায় আবহাওয়া জানিয়েছে অন্য খবর।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। ছাড়া রাজশাহীতে , নওগাঁর বদলগাছী পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বগুড়ায় মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যার মধ্যে চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এরপরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগ এবং রংপুর, ঢাকা বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।


ঝড়   বৃষ্টি   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ওয়েদার

চার বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে গত বুধবার (১৫ মে) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৫ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সে সময় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪০ পর্যন্ত ওঠা-নামা করতে পারে।

এদিকে, শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন