গ্লোব ফার্মাসিটিক্যালের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটিকের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ বলেছেন, আগামী নভেম্বর- ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্লোব বায়োটিক করোনা ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসতে পারবে বলে আশা করছি।’
বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে আজ রাতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগ এবং নিজস্ব খরচে এই কাজ করেছি। আমাদের ইতিমধ্যে অ্যানিমেল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, এই ভ্যাকসিনটি অ্যান্টিবডিতে ভালো কাজ করে। তার মানে এই ভ্যাকসিনটির সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল এ নিয়ে প্রেস কনফারেন্সে আসছে গ্লোব বায়োটিক।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ বলেন, যখন করোনা সংক্রমন শুরু হলো তখন আমার মনে হলো আমরা কেন পারবো না। তিনি ২০১৫ সালে এ ধরণের ভ্যাকসিন এবং মৌলিক ওষুধ উৎপাদনের জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানে সর্বাধুনিক ল্যাব যন্ত্রপাতি রয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরণের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে শুরু করা বায়োটিক ফার্মা এটাই প্রথম বলে জানান এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তিনি জানান, এখানে ২৬ জন বৈজ্ঞানিক কাজ করছেন।
কেন তার করোনার ভ্যাকসিন তৈরী করার আকাঙ্খা তৈরী হলো এ প্রসঙ্গে হারুন বলেন যে, যখন বাংলাদেশে করোনা দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করলো তখন আমরা চিন্তা করলাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে তাকিয়ে আছি কেন! বিশ্বে যখন ভ্যাকসিন আবিস্কার হয় তখন আমাদের বিভিন্ন দেশের দয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। তাদের দয়ার জন্য আমাদের করুণা ভিক্ষা করতে হয়। আমি চিন্তা করলাম আমরা কেন পারবো না! এই উদ্যোগে আমার টিম আমারে পাশে এসে দাড়ালো। আমরা দ্রুত গতিতে কাজ শুরু করলাম। ’
তিনি বলেন যে, আমরা ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি ট্রায়াল করেছি। তাতে আমরা সফল হয়েছি। আমরা এখন বিএমআরসিতে এটা জমা দেবো। বিএমআরসিতে জমা দেওয়ার আগে এই সপ্তাহে আমরা আরেকবার অ্যানিমেল ট্রায়াল করবো। একটা প্রটোকল; অর্থাৎ কিভাবে এই ভ্যাকসিনটির কাজ করলাম তার পূর্ণাঙ্গ প্রটোকল আশা করছি এ সপ্তাহেই বিএমআরসিতে জমা দেবো। বিএমআরসি এটা গবেষনা ও পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর আমাদের যদি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেয় তাহলে আমরা আগস্টের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিতে চাই।’
তিনি বলেন যত দ্রুত সম্ভব বিএমআরসি আমাদের প্রটোকলের অনুমতি দিবে তত দ্রুত আমরা এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটা করতে পারবো।’
তিনি যোগ করেন, তিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে। তিনটা ট্রায়ালের জন্য আমাদের তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক লাগবে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর ট্রায়াল করে সফল হলে আমরা তার থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই এই নতুন ভ্যাকসিন বাজারে দিতে পারবো বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই কাজের জন্য তার ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যখন ভ্যাকসিনের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিচ্ছে সেখানে আমি নিজের উদ্যোগে এটা করছি। তবে দেশের জন্য কিছু করতে পারছি এটাই আশার কথা।’
হারুনুর রশীদ আশা করেন যে, সরকার এবং ওষুধ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলে তাকে সহযোগিতা করবেন। এরকম ভ্যাকসিন যদি আমরা বাংলাদেশে নিজেরা তৈরী করতে পারি তাহলে অনেক কম মূল্যে সাধারণ মানুষকে দেওয়া সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য যে, গ্লোব বায়োটিক আগামীকাল দুপুর ১২ টায় তাদের তেজগাঁও কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
মন্তব্য করুন
ব্যবসায়ী তারেক জিয়া বিএনপি সরকার আইএমএফ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
কোন অঘটন না
ঘটলে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি
হতে যাচ্ছেন। সরকারের নীতিনির্ধারক মহল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে একাধিক
দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য যে,
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী এপ্রিলে শেষ হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন
ইতোমধ্যে ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ ভোটের দিন রেখে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের
তফসিল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা
থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাছাইয়ের
পর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
মনোনয়ন জমা
দেয়ার পর পরই নতুন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগ ছাড়া
অন্য কোন রাজনৈতিক দল এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না। যেহেতু ৩৪৩ জন
সংসদ সদস্যের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে এবং সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা
রয়েছে, কাজেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ
ড. মসিউর রহমানকে চূড়ান্ত করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মসিউর রহমান
একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক বিষয়ক
উপদেষ্টা। মসিউর রহমান একজন সিএসপি কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ছিলেন।
সরকারি চাকরি
থেকে অবসরের পর মসিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন এবং মসিউর রহমানকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায়
তাঁর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের
দলীয় পরিষদের নির্বাচনে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯ সালে তিনি পুনরায় একই পদে নিয়োগ পান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওয়াশিংটন পিটার ডি হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ব্যবসায়ীরা তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে যখন বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয় তখন অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী, যারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং আওয়ামী লীগের আমলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে ছিলেন তারা গোপনে তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরকম অন্তত পাঁচজন ব্যবসায়ী গ্রুপকে বিভিন্ন সংস্থা চিহ্নিত করেছে। যার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিন্তু গোপনে তারেক জিয়াকে অর্থায়ন করে।
তারেক জিয়া। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি এখন বিএনপির সর্বেসর্বা হর্তাকর্তা। তার নির্দেশেই বিএনপির সবকিছু করছে। তিনি যা সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, সেটি পালন করাই যেন বিএনপি নেতাদের একমাত্র কাজ। তাকে নিয়েই বিএনপিতে সন্দেহ এবং রহস্য। বাংলা ইনসাইডারের হাতে এসেছে তার নির্বাচন ভাবনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্তত তিনজন বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে তারেক জিয়ার বৈঠক হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওই বৈঠকে তারেক জিয়া বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এজন্য তিনি দাবি করেছেন এক হাজার কোটি টাকা। এই টাকা পেলেই বিএনপির সুর পাল্টে যাবে এবং বিএনপি নির্বাচনে যাবে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বিরুদ্ধে পক্ষপাত, কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন এবং দলীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। ১৪ জন বাংলাদেশের নাগরিক যৌথভাবে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে পিটার ডি হাসের সাম্প্রতিক কার্যক্রম দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে এবং দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।