ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

একই অপরাধ: ৭৫-এ জিয়া, ২০০৪-এ খালেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ১৬ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে স্পষ্টই বলা হয়েছে,  জিয়াউর রহমান তখন উপ-সেনাপ্রধান ছিলেন। এ সময়ে যখন তাকে বলা হয় যে, রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে। তখন জিয়া ছিলেন প্রতিক্রিয়াহীন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘সো হোয়াট? ভাইস প্রেসিডেন্ট উইল টেক ওভার।’

এছাড়াও বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে খুনী ফারুক ও খুনী রশীদ দাবি করেছিলেন যে, তারা এই হত্যা পরিকল্পনা নিয়ে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তিনি মৌন সম্মতি দিয়েছিলেন।

কিন্তু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের যখন বিচার হয়, তখন জিয়া আসামি হন নাই। বাংলাদেশে দণ্ডবিধির আইন অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা যায় না। এ কারণেই জিয়া পার পেয়ে গেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়ার সংশ্রবের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলেও তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাড় করানো যায়নি। কিন্তু যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি পুর্নাঙ্গ কমিশন গঠন করা হতো এবং এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র রহস্য উন্মোচন করা হতো। তাহলে হয়তো জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আরো বিশদ তথ্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তুলে ধরা যেত। কিন্তু সেটা হয়নি।

জিয়াউর রহমান মারা গিয়ে পার পেলেও খালেদা জিয়া না মৃত্যুবরণ করে পার পেয়েছেন একই রকম অপরাধ করে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল ২০০৪ সালে। পার্থক্যটা ছিল শুধু এই যে, ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। আর ২০০৪ এ তার কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন বিরোধী দলে।

২০০৪ এর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আর ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। একই রকম ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। দুটির লক্ষ্য ছিল একই। সেটি হল বাংলাদেশকে আরেকটি পাকিস্তান বানানো। বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা-চেতনাকে চিরতরে ধূলিসাৎ করে দেওয়া। আর ’৭৫ এ জিয়াউর রহমান পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছিলেন। তিনি সবকিছু জানতেন এবং তার সবুজ সংকেতেই খুনী ফারুক রশীদ এই অপকর্ম করেছে। ঠিক তেমনি ২০০৪ এ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনাতেও বেগম জিয়া সবকিছু জানতেন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আর মদদে এই ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে। বেগম জিয়া সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্তদের বিচার হয়েছে এবং নিম্ন আদালত তারেক জিয়াসহ বেশ কিছু আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। কিন্তু এই সময়ে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে যা যা করা দরকার সবকিছু তিনি করেছিলেন। সে সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত  মন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া নিজে। এছাড়া এই ঘটনার পর তিনি যেভাবে এই ঘটনার আলামত এবং তথ্যপ্রমাণ ধ্বংসের চেষ্টা করেছিলেন, যেভাবে ঘটনাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিলেন তা ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে অপরাধ। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, যেভাবে কমিশন গঠন না করে ’৭৫ এ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা জাতির সামনে উন্মোচন করা হয়নি, ঠিক তেমনিভাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়াকে বিচারের বাইরে রাখা হয়েছে। কেন রাখা হয়েছে সেটা এক বড় প্রশ্ন।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্যে, ইতিহাসের সত্য অনুসন্ধানের জন্যে যেমন ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের সত্য উদঘাটন জরুরী, তেমনি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করাটাও জরুরী। কারণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরণের গ্রেনেড বাংলাদেশে নিয়ে আসা, একটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই গ্রেনেড ছুড়ে মারা এবং এই হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটনাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা, জজ মিয়া নাটক সাজানো ইত্যাদি সম্ভব নয়। তাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ব্যাপারেও একটি কমিশন হওয়া উচিত এবং এই কমিশনে যারা থাকবেন তাদের প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান করা উচিত। একইসাথে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যখন আপিলের শুনানি হবে তখন এই মামলায় খালেদা জিয়ার ভূমিকা আপিল বিভাগে উত্থাপন করা উচিত এবং খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাকেও আইনের আওতায় আনা উচিত। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে গেলে এটা অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, আইনের নির্মোহ প্রয়োগ করতে হবে এবং যারা হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

সরকার পতনের ‘ব্লু প্রিন্ট’: বিমানবন্দর ও বিটিভি দখল করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে আসলে সরকার পতনের একটি আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল এবং এই আন্দোলন দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে পরিকল্পিত হয়েছিল। সরকার পতনের জন্য সারা দেশে তাণ্ডব সৃষ্টি, নাশকতা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল করার নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছিল। আর এ কারণে ঢাকায় প্রায় পাঁচ লাখ ছাত্রশিবির, ছাত্রদল এবং পেশাদার সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল।

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, মূল পরিকল্পনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে বেগবান করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে ধাবিত করাই ছিল বর্তমান নাশকতার লক্ষ্য। আর এই নাশকতার জন্য তারা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দখল করার পরিকল্পনা করেছিল। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল বিমানবন্দর। বিমানবন্দর দখল করে সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান উঠানামা বন্ধ করে সরকারেক জিম্মি করতে চেয়েছিল। আর এ কারণেই ঢাকার উত্তরা এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাসী এবং ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদেরকে জড়ো করা হয়েছিল। সেখানে অন্তত ২০ থেকে ৩০ হাজার ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদলের ক্যাডার ঢাকার বাইরে থেকে এসেছিল বলে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

সহিংসতার দ্বিতীয় টার্গেট ছিল সংসদ ভবন এবং গণভবনে আক্রমণ করা। এ কারণেই মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় অন্তত ২০ হাজার ভাড়াটে লোককে আনা হয়েছিল এবং সঙ্গে ছিল পেশাদার ভাড়াটে সন্ত্রাসী। বসিলা এলাকায় যারা সহিংসতার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল তাদেরকে রাখা হয়েছিল কেরাণিগঞ্জে নদীর ওই পাড়ে। লঞ্চ, টলার এবং নৌকার মাধ্যমে তারা এপারে এসে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীর দৃঢ়তায় তারা সেখান থেকে বেশি দূর এগোতে পারেনি।

আর এই পরিকল্পনারই আরেকটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল ধানমন্ডির সাইন্স ল্যাবরেটরি থেকে। সেখান থেকে ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা ২৭ নম্বর পর্যন্ত চলে এসেছিল বটে। কিন্তু ২৭ নম্বর পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিরোধের কারণে তারা আর এগোতে পারেনি। আর এ কারণে মোহাম্মদপুর এবং ধানমন্ডির এলাকায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছিল বিটিভি দখল করা। আর এ কারণেই রামপুরাতে বিপুল সংখ্যক পেশাদার সন্ত্রাসী, শিক্ষিত জঙ্গিদেরকে জড়ো করা হয়েছিল। বিটিভির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, যখন পুলিশ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করছে সে সময় এক ফাঁকে কিছু শেপাদার দুর্বৃত্ত বিটিভিতে ঢুকে যায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা বিটিভির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারেনি। এখানেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। উত্তরা এবং রামপুরা এলাকায় অনেক তাণ্ডব এবং সহিংসতা হলেও শেষ পর্যন্ত জঙ্গি, ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। 

এই তাণ্ডবের চর্তুথ টার্গেট ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক বন্ধ করা যেন সাপ্লাই চেইন বন্ধ হয়ে যায়। আমদানিজাত পণ্য যেন ঢাকায় ঢুকতে না পারে এবং একই সঙ্গে রপ্তানির জন্য কোন পণ্যও যেন চট্টগ্রাম বন্দরে যেতে না পারে সে পরিকল্পনা ছিল নাশকতাকারীদের। এর ফলে সরকার দুর্বল হয়ে যাবে এবং সরকারের পতন ঘটবে। এ রকম একটি মাস্টারপ্ল্যান থেকে নাশকতার ষড়যন্ত্র সাজানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আরেকবার প্রমাণ করল তারা বিশ্বমানেরই শুধু নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা বাহিনী।

কোটা আন্দোলন   সরকার পতন   বিটিভি   বিমানবন্দর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

শত কোটি টাকার মালিক প্রধানমন্ত্রীর আরেক চাকর মান্নান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail সস্ত্রীক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।

তার নাম মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকর ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রধানমন্ত্রীর ফাই-ফরমাস করছেন। বাজার হাট করে দিতেন এবং জাহাঙ্গীরের (প্রধানমন্ত্রীর আরেক চাকর) চেয়ে এক ধাপ নিচের হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হতো। সেই মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানও এখন ১০০ কোটি টাকার মালিক। আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করছে। তবে কুমিল্লা নিবাসী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এখন দেশে নেই। তিনি বিদেশে আছেন। 


জানা গেছে, কানাডায় তার বিপুল সম্পত্তি আছে। সেখানে তিনি বাড়ি করেছেন। তার মেয়েকে কানাডায় পড়িয়েছেন। মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মচারী ছিলেন। তাকে কাজের লোক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু কাজের লোক হয়ে আস্তে আস্তে আওয়ামী লীগের নেতা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ গোপন ফাইল দেখতেন। আগাম সেই ফাইলের খবর বিভিন্ন জনকে জানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন। পরবর্তীতে তিনি কুমিল্লা অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন। ঢাকায় তার একাধিক বাড়ি রয়েছে। তবে একটা সময় যখন প্রধানমন্ত্রী জানতে পারেন তার (আব্দুল মান্নান) বিপুল বিত্তের কাহিনি, তখন তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে দেশ থেকে পালিয়ে যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের মেয়ে কানাডার দামী ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে। বিপুল পরিমাণ সম্পদ সেখানে পাচার করা হয়েছে। কানাডা ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সম্পত্তি আছে বলে জানা গেছে। 


এভাবে পোস্টারিং করে প্রতারণার আশ্রয় নিতো মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, জাহাঙ্গীরের মতো মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের যখন অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তথ্য পায় তখনই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্যক্তিগত কর্মচারী থেকে বাদ দেন। তাকে গণভবনে ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে তদন্তগুলো হয়েছিল সেই তদন্তগুলো তিনি প্রধানমন্ত্রীর একদা ঘনিষ্ঠ এরকম একটা ধারণা দিয়ে বাধাপ্রাপ্ত করেছিলেন। এরপর তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান। 


দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এবং তার স্ত্রীর নামে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তার বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি টাকা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই টাকা সবই বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

উল্লেখ্য যে, আব্দুল মান্নান প্রধানমন্ত্রীর চা সরবরাহকারী, বাজার করার সূত্রে প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে যেতে পারতেন এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ফাইলগুলো দেখতেন। বিশেষ করে বিভিন্ন পদোন্নতি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলগুলো দেখে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিভিন্ন ব্যক্তিকে অবহিত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ব্লাকমেইল করা, ব্যবসায়ীদের গোপন তথ্য দেয়ার মাধ্যমেও বিত্তবান হয়েছিলেন আব্দুল মান্নান। অবশ্য এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে এর আগেও তদন্ত হয়েছে এবং এ সমস্ত তদন্তের পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিচ্যুতি করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আব্দুল মান্নান প্রধানমন্ত্রীর চাকর হিসেবে বহিষ্কৃত হবার পরও বেশ কিছু ধরে অনিয়ম করেছিলেন। তারপর যখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয় তখন তা টের পেয়ে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান   দুর্নীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

প্রধানমন্ত্রীর এই পিয়ন কে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আজ গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া এলাকায় যেত না। জানতে পারার পর আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীর ওই পিয়নের নাম বলেননি। কিন্তু বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, ওই পিয়নের নাম জাহাঙ্গীর। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাগ বহন করতেন, প্রধানমন্ত্রীর খাবার সামনে এগিয়ে দিতেন এবং অন্যান্য ফাই-ফরমাশ খাটতেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন বিরোধী দলে তখন থেকেই জাহাঙ্গীর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বাইরে যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় যেতেন সেখানেও জাহাঙ্গীরকে দেখা যেত। আস্তে আস্তে জাহাঙ্গীরের একটি রাজনৈতিক বলয় তৈরি হয়ে যায়।


নোয়াখলী জেলার চাটখিল উপজেলায় জাহাঙ্গীরের বাড়ি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করলে জাহাঙ্গীর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী হন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ফাই-ফরমাশ খাটা শুরু করেন। গণভবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আনাগোনা শুরু হলে সকলের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী এই সুবিধা নিয়ে তিনি অনেক গোপন নথির সন্ধান পেতেন। অনেকের তদবির করে দেওয়া শুরু করেন। আস্তে আস্তে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো বিষয়গুলো জানতে পারেন। এটি জানার পর জাহাঙ্গীরকে গণভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু গণভবনে থাকার সময় তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের চেয়ে ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছিলেন। আওয়ামী লীগের কিছু কিছু ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ,  গণভবনে থাকেন, তাকে বলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যায় ইত্যাদি ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে জাহাঙ্গীরের প্রতি আলাদা ‘শ্রদ্ধাবোধ’ দেখাতে শুরু করেন। তাদের কেউ কেউ জাহাঙ্গীরকে ‘স্যার’ ডেকেছেন বলেও শোনা যায়। এমনকী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও জাহাঙ্গীরের কাছে তদবির করতেন। এই জাহাঙ্গীর গণভবনে থেকে বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন তদবির করতেন। এভাবে আস্তে আস্তে বিত্তশালী হয়ে ওঠেন এই কাজের লোক। পরবর্তীতে অবশ্য গণভবন থেকে রেবিয়ে যাওয়ার পর এখন তাকে রাজনীতিতে দেখা যায় না। 

গণভবন থেকে বহিষ্কৃত হবার পরও জাহাঙ্গীর তার অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন জাহাঙ্গীর। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

আজ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সন্মেলনে বক্তব্যের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবহিত এবং জাহাঙ্গীরের ব্যাপারে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব শিগগির তার সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

তবে জাহাঙ্গীর এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

যুক্তরাজ্যে থাকতে হলে রাজনীতি ছাড়তে হবে তারেককে

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই সেই দেশের আভ্যন্তরীণ নীতি, পররাষ্ট্রনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার। স্টারমার সরকার অভিবাসী নীতির বিপক্ষে নয়। তবে অভিবাসীদের কিছু সীমারেখার মধ্যে আবদ্ধ থাকা উচিত বলে তারা মনে করছেন। স্টারমার সরকার মনে করছে যে, অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করে যা খুশি তা করলে যেমন পররাষ্ট্রনীতির ওপর তার প্রভাব পড়ছে, অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এ কারণেই লেবার সরকার তার প্রথম দিকে যে সমস্ত নীতি এবং উদ্যোগগুলো গ্রহণ করতে যাচ্ছে, তার মধ্যে একটি হল অভিবাসীদের কার্যক্রম সীমিতকরণ। 

অভিবাসীদের মধ্যে দুটো ভাগ রয়েছে। প্রথমত, যারা অবৈধভাবে সেখানে অবস্থান করছেন। তাদেরকে বৈধকরণের ক্ষেত্রে একটি রুপরেখা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নতুন লেবার সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে তাদের একটি বড় অংশই বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে যারা অবৈধ অবস্থায় থাকার পর রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছে নানা কারণে তাদেরকেও একটি গণ্ডির মধ্যে রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে। আর এই নীতিমালার প্রধান যে বিষয়টির কথা বলা হয়েছে যে, মানবিক কারণে বা রাজনৈতিক কারণে যারা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় লাভ করবেন তাদেরকে একটি সীমিত পরিসরে কাজ করতে হবে। এই সীমিত পরিসরের মধ্যে রয়েছে তারা যুক্তরাজ্য সরকারের আইন নিয়ম কানুন মেনে চলবেন। তারা অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না এবং বিদেশ থেকে তাদের কোনো অর্থ আসলে সে ব্যাপারে সরকারকে অবহিত করতে হবে এবং সেই অর্থের উৎস জানাতে হবে। পাশাপাশি সেই অর্থের উচ্চ কর দিতে হবে। পাশাপাশি এটিও নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত অভিবাসীরা কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে যুক্ত করতে পারবেন না। 

বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। লন্ডনে বসে তিনি বিএনপির দল চালাচ্ছেন। কিন্তু লেবার পার্টির এই নতুন অভিবাসন নীতি বাস্তবায়িত হলে তাকে বিএনপির পদ ছাড়তে হবে। বিএনপির কোনো পথ দখল করে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, তার আয় ব্যয়ের নিয়মিত হিসাব দিতে হবে এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ব্যক্তি হিসেবে তাকে বলতে হবে। কোথা থেকে কোন খাতে তিনি কত টাকা পেয়েছেন তার বিস্তারিত হিসাব দেখাতে হবে।

তৃতীয়ত, তারেক যে সমস্ত সম্পদ বৈধ পন্থায় যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাবেন, সেই সমস্ত সম্পদের ওপর তাকে উচ্চ শুল্ক দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, লেবার পার্টির একাধিক এমপি বলেছেন যে, রাজনৈতিক আশ্রয় লাভকারী ব্যক্তিরা এখানে দুর্নীতির অর্থে অর্জিত টাকা দিয়ে রাজকীয় জীবনযাপন করতে পারেন না। এতে ব্রিটিশ সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তারেক জিয়া নয়, বেশকিছু পলাতক অভিবাসী যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছেন। তারা অবৈধ অর্থ দিয়ে রাজকীয় জীবন যাপন করছেন। এটি যুক্তরাজ্য সমাজে একটি বিরূপ প্রভাব তৈরি করেছে। আর এ কারণেই এ সব বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করছে নতুন লেবার সরকার। লেবার সরকার মনে করছে যে, যারা রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছে তারা মানবিক কারণে পেয়েছে এবং তাদের সে রকম জীবন যাপন করা উচিত। কিন্তু মানবিক কারণে আশ্রয় পাওয়া ব্যক্তিরা যখন রাজকীয় জীবন যাপন করে তখন তা দৃষ্টিকুটু এবং অন্যায্য বটে। আর এ কারণে তারা এটা বন্ধের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটি বাস্তবায়িত হলে তারেক জিয়ার বর্তমান অবস্থায় লন্ডনে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। হয় তাকে রাজনীতি ছাড়তে হবে অথবা যুক্তরাজ্য ছাড়তে হবে।

যুক্তরাজ্য   লেবার পার্টি   বিএনপি   তারেক জিয়া   অভিবাসী   লেবার সরকার   কিয়ার স্টারমার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

রিজভীই হচ্ছেন বিএনপির পরবর্তী মহাসচিব

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আজ লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া তৃণমূলের বাছাই করা সদস্যদের মধ্যে ভোটাভুটি করেন। সারা দেশের প্রায় ১০০ জন তৃণমূলের নেতার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ধাপে ধাপে মিলিত হয়ে নতুন মহাসচিব হিসেবে কাকে নিয়োগ দেওয়া যায় সে ব্যাপারে মতামত জানতে চান। এই মতামতে রুহুল কবির রিজভীর পক্ষে ৯৬ ভোট পড়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ইতোমধ্যেই রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে তারেক জিয়ার কথা হয়েছে। আজ রাত ৮টার পর তারেক জিয়ার সঙ্গে রুহুল কবির রিজভীর প্রায় ১৭ মিনিট কথা হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রথম রুহুল কবির রিজভী প্রথমে স্পিকার অন করে কথা বললেও পরবর্তীতে তিনি দলীয় কার্যালয়ের অন্য ঘরে চলে যান এবং সেখান থেকে তিনি তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। 

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এর পরপরই রুহুল কবির রিজভীর ঘনিষ্ঠরা একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন। তবে তারা বিষয়টি চেপে রাখছেন। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, গত কিছুদিন ধরে রুহুল কবির রিজভীকে নিয়ে জয়জয়কার চলছিল। রুহুল কবির রিজভীর সমর্থক গোষ্ঠীকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছিল। এমনকি লন্ডন থেকে বিভিন্ন কমিটি পরিবর্তনের যে বার্তাগুলো তারেক জিয়া দিচ্ছিলেন, সেই বার্তাগুলো মহাসচিবের কাছে নয়, সরাসরি রুহুল কবির রিজভীর কাছে দেওয়া হচ্ছিল এবং রিজভী এই নির্দেশনাগুলো টাইপ করে সকলের অগোচরে গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা গণমাধ্যমের মাধ্যমেই বিএনপির পরিবর্তনের কথা গুলো জানচ্ছিলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, চট্টগ্রাম উত্তর এবং দক্ষিণ এবং বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে কোন নেতাই কিছু জানাননি। এমনকি যুবদলের কমিটি বিলুপ্তির বিষয়টিও সকলের অজানা ছিল। জানতেন একমাত্র রুহুল কবির রিজভী। 

নাটকীয় ভাবে গত কিছুদিন ধরে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে তারেক জিয়ার একটি সখ্যতা তৈরি হয়েছে। আর এই সখ্যতার কারণেই এখন রুহুল কবির রিজভীর ওপর নির্ভর করছেন তারেক জিয়া। তবে অন্য একটি সূত্র দাবি করছে যে, দলের তৃণমূলের সঙ্গে আলাপকালে রিজভীকেই তারা নিরঙ্কুশ ভাবে পছন্দ করেছেন। তৃণমূলের নেতারা মনে করছেন যে, দলের দুর্দিনে রুহুল কবির রিজভী আশা ভরসার স্থল এবং তিনি উজ্জ্বীবিত রেখেছেন দলকে। তাই তিনি ছাড়া আর কোন নেতাই পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করছেন না বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। রুহুল কবির রিজভী সম্পর্কে তৃণমূলের নেতারা তারেককে জানিয়েছেন যে তাকে সার্বক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়। ফোন করলে তিনি ফোন ধরেন। কর্মীদের দুঃখ দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। এই রকম সময় রিজভীর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছুদিন ধরেই মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করছেন। বিশেষ করে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি দলের মহাসচিব থাকতে চান না। তবে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া দুজনই তাকে মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এর মধ্যে তারেক জিয়া নতুন মহাসচিব খুঁজছেন। তবে বিএনপির কোন সূত্রই নিশ্চিত করতে পারেনি যে, আগে মহাসচিব পদে পরিবর্তন হবে নাকি স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন হবে। তবে যেটিই হোক না কেন রহুল কবির রিজভী যে বিএনপির পরবর্তী মহাসচিব হতে যাচ্ছেন তা মোটামুটি নিশ্চিত। 

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, রিজভী বিএনপির মধ্যে যতই জনপ্রিয় থাকুক না কেন জাতীয় রাজনীতিতে তার অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। জনগণের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতা খুব একটা বেশি নয়। তবে তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ হবার কারণে রুহুল কবির রিজভী যে বিএনপির পরবর্তী মহাসচিব হতে যাচ্ছেন তা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে বিএনপির তরুণ নেতারা বলছেন, তারেক জিয়ার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে নয়ম বরং তৃণমূলের আকাঙ্খার প্রেক্ষিতেই রিজভীকে বিএনপির মহাসচিব করা হচ্ছে।

বিএনপি   মহাসচিব   তারেক জিয়া   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন