নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০১৮
স্বর্ণবোঝাই একটি রুশ যুদ্ধ জাহাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। এমনটাই দাবি করেছে দক্ষিণ কোরীয় ফার্ম দ্য শিনিল গ্রুপ।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, দিমিত্রি ডনস্কই নামের একটি রুশ যুদ্ধ জাহাজ ১৯০৫ সালে ডুবে গিয়েছিল। রাশিয়া এবং জাপানের মধ্যে ঐতিহাসিক সুশিমা যুদ্ধ শেষে বিজয় উদযাপনের সময় জাপানি সেনারা জাহাজটিকে আক্রমণ করলে সেটি ডুবে যায়।
অনেকে বলেন, ডনস্কই প্রশান্ত মহাসাগরে রুশ বহরের ক্রুদের বেতন এবং ডক ফি পরিশোধের জন্য বিপুল পরিমান স্বর্ণ বহন করছিলো। কিন্তু জাহাজটিতে স্বর্ণ থাকার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি কেউ। বরং যুদ্ধ জাহাজে স্বর্ণ থাকার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বেশ কয়েকজন গবেষক। রাশিয়ার ফার ইস্টার্ন ফেডেরাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর কিরিল কোলেসনিকেঙ্কো বলেন, ‘সেসময়ে ট্রেনের মাধ্যমে বিনা ঝুঁকিতে স্বর্ণ পাঠানো যেত, তাহলে এত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ জাহাজে করে কেন পাঠানো হলো?’
ডনস্কই জাহাজে স্বর্ণ থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া না গেলেও বেশ কয়েকটি জাপানী এবং দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্বর্ণসহ জাহাজ উদ্ধারে অভিযানে নেমেছিলো। ২০০১ সালে একটি কোরীয় প্রতিষ্ঠান ডনস্কইকে খুঁজে পাওয়ার দাবিও করে, কিন্তু দেউলিয়া হয়ে যাবার কারণে তারা আর জাহাজটি উদ্ধার করতে পারেনি।
সম্প্রতি যে প্রতিষ্ঠানটি ডনস্কইয়ের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে, প্রশ্ন উঠেছে সেই শিনিল গ্রুপকে নিয়েই। সাগরের নিচে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য কোনো অনুমতি নেয়নি তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই প্রতিষ্ঠানটি গত জুন মাসে গঠিত হয়েছে এবং তাদের মূলধনও মাত্র ৬৭ হাজার পাউন্ড। এত কম সময় এবং মূলধন নিয়ে ১১৩ বছর আগে ডুবে যাওয়া একটি স্বর্ণবোঝাই জাহাজের সন্ধান পাওয়া প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন গবেষকরা।
যদিও শিনিল গ্রুপ বলছে, তারা ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত শিনিল কর্পোরেশনের উত্তরাধিকারী। সেই সঙ্গে তারা ডনস্কইয়ের উদ্ধার কাজের ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করছে।
সূত্রঃ বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন