নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৪ পিএম, ০৮ অগাস্ট, ২০১৮
লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কনজারভেটিভ নেতা ইভান ডুক। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাজধানী বোগোতার ঐতিহাসিক বলিভার স্কয়ারে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শপথ নেন তিনি।
গত ২৭ মে অনুষ্ঠিত কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়। এরপর শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয় পান ৪২ বছর বয়সী সাবেক সিনেটর ইভান ডুক। তিনি ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বামপন্থী প্রার্থী গুস্তাভো পেত্রোকে পরাজিত করেন।
এমন একটি জটিল সময়ে কলম্বিয়ার নেতৃত্ব নিচ্ছেন ডুক, যখন কিনা প্রতিবেশি দেশ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর ড্রোন হামলা নিয়ে দুদেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়াও দেশটিতে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদসহ অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাত্র ৪২ বছর বয়সী ডুক কেমন নীতি গ্রহণ করবেন সেটা নিয়েই চলছে আলোচনা।
মাত্র কয়েক বছর আগেও ইভান ডুক কলম্বিয়ার রাজনীতিতে ততটা পরিচিত ছিলেন না। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবারো উরিবের পরামর্শ ও সমর্থনে তিনি ২০১৪ সালের সিনেট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পান। এ কারণে ডুকের সমালোচকরা অভিযোগ করে থাকেন, তিনি আসলে সাবেক প্রেসিডেন্ট উরিবের হাতের পুতুল। উরিবেই সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন তিনি। তবে এ অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন তিনি।
রাজনীতিতে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্টার আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে’ কর্মরত ছিলেন ডুক। নির্বাচনী প্রচারনায় তিনি কর হার হ্রাস ও বিনিয়োগ সুযোগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বাণিজ্য নীতির কারণে ব্যবসায়ীদের কাছে জনপ্রিয় তিনি। বিশেষজ্ঞরাও তাঁকে অর্থনীতি ও বাণিজ্যবান্ধব নেতা মনে করছেন।
রক্ষণশীল ডুক নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন বলেও জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর রানিং মেট মার্তা লুসিয়া রামিরেজকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কলম্বিয়ায় কোনো নারীর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। এছাড়া ডুকের মন্ত্রীসভায় নারী পুরুষ সমান অংশগ্রহণ থাকবে বলেও নির্বাচনী প্রচারণায় জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বক্তৃতায় ইভান ডুক দেশের দুর্নীতি মোকাবেলা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছেন। ৫৩ বছর ধরে দেশটিতে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ফার্ক (ফুয়েরখাস আরমাদাস রেভ্যোলুশিওনারিয়াস দে কলম্বিয়া) বিদ্রোহীগোষ্ঠীর সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি পরিবর্তন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে সম্পাদিত ওই চুক্তির ফলে ফার্ক কমন অল্টার্নেটিভ রেভোল্যুশনারি ফোর্স নামে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
ব্যক্তিগত জীবণে তিন সন্তানের জনক ডুক বিবাদ সরিয়ে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার আশ্বাস দিয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বিজয় শোভাযাত্রায় উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘নম্রতা ও সম্মানের সাথে কলম্বিয়ার জনগণকে বলতে চাই, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমি আমার সর্বশক্তি ব্যয় করব। কোনো বিভেদ থাকবে না। ঘৃণা দিয়ে শাসন করব না আমি। নিশ্চিতভাবেই দেশের মানুষ ডুকের কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নই দেখতে চাইবে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন