নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৮
কোন পথে এগোচ্ছে পাকিস্তান? স্বৈরাচার না গণতন্ত্র! স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে ৭০ বছরের ইতিহাসে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশের শাসন ক্ষমতা থাকছে সেনাবাহিনীর হাতে। গণতন্ত্র রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না বলে কোনো সরকারই ক্ষমতায় এসে সরকারপ্রধান ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। জনপ্রতিনিধিদের বারবার পরাজিত হতে হয়েছে সেনা অভ্যুত্থানের কাছে। এতে দেশটি যেমন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের আস্থা হারাচ্ছে, তেমনি হয়ে উঠছে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়স্থল।
পাকিস্তানে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রে আছে সামরিক শক্তি, যার বলি হয়েছে বহু জনপ্রতিনিধি। দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন ইমরান খান। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ ও পিপলস পার্টিকে হটিয়ে এবারই প্রথম ক্ষমতা গ্রহণ করেন ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ।
পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক অভুত্থান এবারও ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। নির্বাচনে পিটিআই দল জয়ী হলেও, আড়ালে সেনাবাহিনীর জয় হয়েছে বলেই মনে করছে অনেকে। সেনাবাহিনীর মনোনীত সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান শুরু থেকেই নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত। ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক দল গঠন করলেও, ২০১৩ সাল থেকে রাজনীতির মাঠে তৎপর দেখা যায় ইমরান খানের দলকে।
২০১৩ সালের নির্বাচনে নওয়াজ শরিফ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই সেনাবাহিনী ইমরান খানকে ব্যবহার করে চাপে রেখেছে নওয়াজ শরিফের দলকে। এমনকি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইসলামাবাদ ঘেরাও করে সরকার পতনের উদ্যোগও নিয়েছিলেন ইমরান খান। যদিও তাঁর সে চেষ্টা সে সময় সফল হয়নি।
এদিকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েও পূর্ণ ক্ষমতা ভোগ করতে পারেনি সর্বশেষ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সর্বশেষ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। কারণ একটাই, সেনাবাহিনীর কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য ছিলেন না তিনি। এমন কৌশলে তাঁকে ক্ষমতা থেকে হটানো হয়েছে যেন তিনি পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে না আসতে পারেন। শঙ্কার মুখে পড়েছে তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক ভবিষ্যতও।
স্বাধীনতার পর পাকিস্তানে প্রথম ক্ষমতায় আসেন মুসলিম লীগের নেতা লিয়াকত আলী খান। ভারত বিভাগ ও পাকিস্তানের স্বাধীন হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনিও সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি মেয়াদ। এক সভায় জরুরি ঘোষণা দেওয়ার সময় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তিনি।
একই পরিণতি হয়েছে পাকিস্তানের নিন্দিত আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর কন্যা পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বেনজীর ভুট্টোর। দুইবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা হয়। সর্বশেষ ২০০৭ সালে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় বেনজির ভুট্টো মারা যান। বেনজীর ভুট্টোর মৃত্যুর পর নেতৃত্বে ব্যর্থতা দেখা দিলে পিপিপি পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের এক অর্থহীন রাজনৈতিক শক্তিতে।
সর্বাধিক সময় ক্ষমতায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। ক্ষমতায় ছিলেন প্রায় ৪ বছর ৩ মাস। তাঁকেও ক্ষমতা থেকে অপসারনের জন্য দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। পরে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করে তাঁকেও ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এভাবে পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর কাছে বার বার পরাজিত হয়েছে গণতন্ত্র। পাকিস্তানের গণতন্ত্র এক তাসের ঘরের নাম, সামরিক বাতাসে যেকোনো সময় হুড়মুড়িয়ে থুবড়ে পড়ে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।
বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইল বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে। ইউরোপের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিতে প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মহাদেশের মার্কিনিদের অধীন হওয়া উচিত হবে না। এ সময় তিনি বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় অবস্থানের রূপরেখা প্রদান করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউরোপের সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপীয় একাডেমি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনোভাবে সফল হতে দেওয়া যাবে না।
ম্যাখোঁ বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই কাজে দেবে না। কয়েক দশক ধরে এ খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
ম্যাখোঁ আরও বলেন, অধিক পরিমাণে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। এটি দ্রুত করতে হবে। আর ইউরোপীয়দের জন্য এসব প্রস্তুত করতে হবে। ইউরোপকে দেখাতে হবে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অধীন নয়।
বর্তমানে মার্কিন সামরিক ছত্রছায়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই বলে অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তা মনে করেন।
ইউরোপ ধ্বংস ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিরক্ষা শিল্প
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ড্রোন ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
বিবিসি জানায়, ইরানের ড্রোনের ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া এই পদক্ষেপ ইরানের এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইরানি মনুষ্যবিহীন আকাশযান গোপনে বিক্রির সুবিধা ও অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানি পণ্য চালানের সঙ্গে জড়িত দুটি কোম্পানি ও একটি জাহাজকেও টার্গেট করেছে ওয়াশিংটন।
১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
গত ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের ১৬ জন ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরানের ড্রোন কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে।