নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৮ এএম, ২০ অগাস্ট, ২০১৮
কোরীয় যুদ্ধের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর অন্তত ১৮০ সদস্য অবশেষে মিলিত হতে যাচ্ছেন। যুদ্ধের ৬৫ বছর পর প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে তাঁদের। হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের একটি দল ইতিমধ্যেই উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল সকচোতে পৌঁছেছেন। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার থেকে দুই কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনী শুরু হবে। উত্তর কোরিয়ার পর্যটন রিসোর্ট মাউন্ট কুমগাংয়ে তারা মিলিত হবেন বলে জানানো হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সাক্ষাতের পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর পুনর্মিলনের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫৭ হাজারের বেশি দক্ষিণ কোরিয়ান নিবন্ধন করেন। তবে তাঁদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ১০০ জনকে বাছাই করা হয়। উত্তর কোরিয়া থেকেও বেছে নেওয়া হয়েছিলো ১০০ জনকে। কিন্তু ওই ২০০ জন আবেদনকারীর বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। সেকারণে আজ পুনর্মিলনীতে উত্তর কোরিয়া থেকে ৮৩ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৮৯ জন অংশ নিচ্ছেন। পরিবারগুলো মাত্র ১১ ঘণ্টা একসঙ্গে কাটাতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর পুনর্মিলনের আয়োজন করা হয়েছিলো। তবে গত তিন বছরের মধ্যেই এটাই প্রথম পুনর্মিলন বলে নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা সদস্যদের অধিকাংশের বয়সই আশির উর্ধ্বে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১০১ বছর বয়সী একজন নাগরিকও অংশ নিচ্ছেন এবারের পুনর্মিলনীতে।
৯১ বছর বয়সী মুন হিয়ুন সক তাঁর ছোট বোনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স ৯০ পেরিয়ে গেছে। যেকোনো সময় আমার মৃত্যু হতে পারে। তবে এর আগেই পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় আমি আনন্দিত। মনে হচ্ছে, আমি যেন হাওয়ায় ভাসছি।’
কোরীয় উপদ্বীপ যুদ্ধের (১৯৫০-১৯৫৩) পর উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিভক্তির কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শত শত পরিবার। যুদ্ধকালীন সময়ে উত্তরে আটকে পড়া কয়েক হাজার মানুষ দক্ষিণে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারেনি। এমন অনেক নারী আছে যারা জানে না তাঁদের স্বামী-সন্তান কোথায় আছে, কিংবা এখনো বেঁচে আছে কিনা।
চলতি বছরের জুলাইয়ের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, কোরীয় উপদ্বীপের দেশ দুটিতে অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০০জন পরিবার বিচ্ছিন্ন নাগরিক রয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ৫৭ হাজার মানুষের বয়স ৮০ এর কোটায়। এছাড়া ৯০ বছরের উর্ধ্বেও রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ, যারা হয়তো আর কখনোই তাঁদের হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন না।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র চীন শি জিনপিং অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আসাম বাঙালি মুসলমান
মন্তব্য করুন