নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন কেচ্ছা প্রকাশ পেয়েই চলেছে। এবার আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর পরিবার। বলা হচ্ছে, ট্রাম্প এবং তাঁর সহোদররা তাদের বাবার কাছ থেকে পাওয়া সম্পদ কম দেখিয়ে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দিয়েছিলেন। এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাবা ফ্রেড ট্রাম্প। কে ছিলেন এই ফ্রেড ট্রাম্প? কতটা ধনী ছিলেন তিনি? কীভাবে অর্জন করেছিলেন বিপুল সম্পত্তি? এ বিষয়গুলোই এখানে তুলে ধরা হলোঃ
কীভাবে ধনকুবের হয়েছিলেন ফ্রেড ট্রাম্প?
১৯০৫ সালে জার্মান অভিবাসী এলিজাবেথ ক্রাইস্ট আর ফ্রেডেরিক ট্রাম্প সিনিয়রের ঘরে জন্ম হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পিতা ফ্রেডেরিক ক্রাইস্ট ট্রাম্পের। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ফ্রেডের বাবা মারা যান। এরপর ১৯২০ এর দশকে মায়ের সঙ্গে মিলে নির্মান ব্যবসায় নামেন ফ্রেড। যুক্তরাষ্ট্রের কুইন্সে একক পরিবারের উপযোগী ছোট আকারের বাড়ি নির্মান শুরু করেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই এই ব্যবসায় সাফল্য পান ট্রাম্প সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। সেসময় গৃহায়ন খাতে মার্কিন সরকারের বিনিয়োগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা বড় করেন তিনি। ভালো মানের বিল্ডিং বানানোর মাধ্যমে বাজারে সুনাম অর্জন করেন তিনি। তাঁর বানানো অনেক স্থাপনা এখনো টিকে আছে বলে জানা যায়।
বিতর্কিত ছিলেন তিনিও
ফ্রেড ট্রাম্প সাধারণত সরকারি অর্থায়ন প্রকল্পগুলো কম দামে কিনে নিতেন। এরপর তা চড়া দামে বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা করতেন। এই পদ্ধতি আইনগতভাবে অবৈধ না হলেও ১৯৫৪ সালে কংগ্রেসের সামনে জবাবদিহি করতে হয় তাঁকে।
১৯৭০ সালে ফ্রেডের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ আনা হয়। তিনি কৃষ্ণাঙ্গ ও পুয়ের্তো রিকো`র অভিবাসীদের কাছে বাড়ি ভাড়া দিতেন না বলে জানা যায়। সেসময় তাঁর বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার আইনে মামলা হয়। বাবার বৈষম্যমূলক আচরণের পক্ষে আগ্রাসী ভূমিকার জন্য তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পও নিয়মিত সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হতে শুরু করেন।
ধনী বাবার ধনী সন্তান
ট্রাম্প সবসময়ই নিজেকে একজন স্ব-প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দাবি করেছেন, তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে মাত্র এক মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিলেন। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের ভাষ্যমতে, বর্তমান হিসাবে বাবার রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য থেকে অন্তত ৪১৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের সম্পদ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার মধ্যে একটি বড় অংশেরই কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনও দাবি করেছেন যে সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় বাবার ব্যবসাকে ক্ষুদ্র আঞ্চলিক গণ্ডি থেকে বের করে বৃহৎ রূপ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, বারবার ধনী বাবার সাহায্যের দরকার হয়েছিলো তাঁর। অনেকে বলেন, ফ্রেডের বিপুল পরিমান সম্পদ না থাকলে ট্রাম্প কখনই ধনকুবের হতে পারতেন না।
ফ্রেড ট্রাম্পের মৃত্যুর দেড় বছর আগেই তাঁর উত্তরসূরিরা পিতার অধিকাংশ সম্পদের মালিকানা পেয়ে যায়। সেসময় তাঁরা সম্পদের মূল্যমান উল্লেখ করেছিল ৪১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকৃতপক্ষে তা ছিল এর চেয়ে বহুগুণ বেশি।
সম্প্রতি, ফ্রেড ট্রাম্পের দুইশ’র বেশি কর বিবৃতির উল্লেখ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাবা তাঁদের সন্তানদের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ দিয়ে গিয়েছিলেন। কর সংক্রান্ত নথিতে উল্লেখ রয়েছে এর বিপরীতে ৫২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার কর পরিশোধ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু আইন অনুযায়ী, করের অঙ্কটা হওয়া উচিত ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার।
কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর সহোদররা ফ্রেড ট্রাম্পের সম্পদের মূল্যমান বহুগুণ কমিয়ে উল্লেখ করেছিলেন বলে জানায় নিউইয়র্ক টাইমস।
সম্পদের প্রদর্শন
সম্পদের পাহাড় গড়লেও তা প্রদর্শনে বিশ্বাস করতেন না ফ্রেড ট্রাম্প। ১৯৯৯ সালে ফ্রেড ট্রাম্প মারা যাওয়ার পর এমনটাই লিখেছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস। ৯৩ বছর বয়সে ফ্রেড যখন মারা যান, তখন তিনি কুইন্সের জ্যামাইকা এস্টেটে বাসবাস করতেন। ট্রাম্পসহ তাঁর সহদররাও সেখানেই বেড়ে উঠেছিলেন। ফ্রেডের মৃত্যুর এক বছর পর তাঁর স্ত্রী ম্যারি অ্যানও মারা যান।
ফ্রেড ট্রাম্প সম্পদ প্রদর্শন পছন্দ না করলেও তাঁর সন্তান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাব অনেকটাই ভিন্ন। ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের মূল্য ১০ বিলিয়ন ডলার। তবে সম্পদের এই অঙ্ক নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।
পারস্পারিক মন্তব্য
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবসময়ই তাঁর বাবার প্রশংসা করেছেন। বাবা তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণা বলেও জানিয়েছেন তিনি। বারবার ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শুধু তাঁর বাবার অর্থ-বিত্তই উত্তরাধিকার সূত্রে পাননি, অর্জন করেছেন তাঁর ব্যবসায়িক চিন্তাধারাও।
অন্যদিকে ফ্রেড ট্রাম্প একবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘ওর দূরদর্শিতা প্রশংসনীয়। সে যেখানেই হাত দেয় সেটাই সোনায় পরিনত হয়।’
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।
বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইল বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে। ইউরোপের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিতে প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মহাদেশের মার্কিনিদের অধীন হওয়া উচিত হবে না। এ সময় তিনি বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় অবস্থানের রূপরেখা প্রদান করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউরোপের সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপীয় একাডেমি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনোভাবে সফল হতে দেওয়া যাবে না।
ম্যাখোঁ বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই কাজে দেবে না। কয়েক দশক ধরে এ খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
ম্যাখোঁ আরও বলেন, অধিক পরিমাণে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। এটি দ্রুত করতে হবে। আর ইউরোপীয়দের জন্য এসব প্রস্তুত করতে হবে। ইউরোপকে দেখাতে হবে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অধীন নয়।
বর্তমানে মার্কিন সামরিক ছত্রছায়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই বলে অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তা মনে করেন।
ইউরোপ ধ্বংস ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিরক্ষা শিল্প
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ড্রোন ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
বিবিসি জানায়, ইরানের ড্রোনের ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া এই পদক্ষেপ ইরানের এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইরানি মনুষ্যবিহীন আকাশযান গোপনে বিক্রির সুবিধা ও অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানি পণ্য চালানের সঙ্গে জড়িত দুটি কোম্পানি ও একটি জাহাজকেও টার্গেট করেছে ওয়াশিংটন।
১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
গত ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের ১৬ জন ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরানের ড্রোন কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে।