নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮
সিরিয়ায় বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের সাত বছর কেটে গেছে। দেশটির রুশ সমর্থিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। রাজধানী দামেস্কসহ অধিকাংশ এলাকাতেই প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু এই সাত বছরের যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ। যাদের একটি বড় অংশ নিহত হয়েছে রাসায়নিক হামলায়। এই রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে আসাদকে। বিবিসি প্যানোরামা এবং বিবিসি আরবের যৌথ অনুসন্ধানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
বিবিসি`র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে আসাদ সরকারের অন্তত ১০৬টি রাসায়নিক হামলার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে চালানো ওই হামলায় শিশুসহ হাজার হাজার বেসামরিক নগরিক প্রাণ হারায়। বলাই বাহুল্য, আসাদের মিত্র দেশ রাশিয়া ওই হামলাগুলোতে সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়েছে।
দামেস্কে চালানো এক রাসায়নিক হামলার মাসখানেক পর আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনে (সিডব্লিউসি) স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। যুক্ররাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের হুমকির মুখে এতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। দামেস্কের হামলায় কয়েকশ` মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো। নার্ভ এজেন্ট সারিন ব্যবহার করে ওই হামলা চালানো হয়েছিলো। বহির্বিশ্ব বরাবরই আসাদকে হামলার জন্য দায়ী করে আসছিলো। বলা হচ্ছিল, কোন রাষ্ট্র ছাড়া নির্দিষ্ট কোন দল বা ব্যক্তির পক্ষে ভয়াবহ ওই হামলা চালানো সম্ভব হতো না। কিন্তু আসাদ ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি উল্টো বিদ্রোহীদের ওই সারিন হামলার জন্য দায়ী করেছিলেন।
সিডব্লিউসি`তে স্বাক্ষরের মাধ্যমে আসাদ তাঁর দেশের রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ধ্বংসের বিষয়েও সম্মত হয়েছিলেন। দামেস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তাদের ১৩শ` টন রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। রাসায়নিক অন্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থা (ওপিসিডব্লিউ) এবং জাতিসংঘ ওই অস্ত্রভান্ডার ধ্বংসও করে। কিন্তু এরপরেও শতাধিক হামলার ঘটনা ঘটে। বিবিসির অনুসন্ধানে এটা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে যে, রাসায়নিক হামলার মজুদের বিষয়ে মিথ্যাচার করেছিলেন আসাদ। এর মাধ্যমে সিডব্লিউসিও অগ্রাহ্য করেছেন তিনি।
জয়ের খুব কাছেই রয়েছেন আসাদ। যারা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিল, তাদের হটিয়ে দিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকা ইদলিবেও পরাজিত হয়েছে তাঁর শত্রুরা। কিন্তু এর মূল্য দিতে হয়েছে লাখ লাখ সাধারণ মানুষকে। এখনো বহু মানুষ বয়ে বেড়াচ্ছে রাসায়নিক হামলার ক্ষত। স্কুলের বদলে হাসপাতালের বিছানায় দিন কাটাচ্ছে হাজার হাজার শিশু।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন