ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জীবনের শেষ কলামে কী লিখেছেন খাসোগি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির অন্তর্ধান নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখা শেষ কলাম। ওয়াশিংটন পোস্ট গতকাল বুধবার কলামটি প্রকাশ করেছে। খাসোগি কলামটির শিরোনাম দিয়েছিলেন, ‘আরব বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এখানে সেটিই তুলে ধরা হলো:

সম্প্রতি আমি ফ্রিডম হাউসের করা ‘ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রতিবেদনটি দেখছিলাম। প্রতিবেদনটি আমাকে এক গভীর উপলব্ধি এনে দিল। আরব বিশ্বে মাত্র একটি দেশেই মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা রয়েছে। সেই দেশটি তিউনিশিয়া। আর জর্ডান, মরক্কো এবং কুয়েত রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এই দেশগুলোতে মত প্রকাশের আংশিক স্বাধীনতা রয়েছে। ফ্রিডম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, আরব বিশ্বের বাকী দেশগুলোতে তথ্য ও মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নেই। এর ফলে ওইসব দেশে বসবাসরত আরবরা যেকোন বিষয়ে হয় ভুল তথ্য পাচ্ছে নাহলে কোন তথ্যই পাচ্ছে না। তাদের অঞ্চলে এবং জীবন-যাত্রায় প্রভাব ফেলে এমন বিষয়গুলো নিয়ে মত প্রকাশ করতে পারে না এমনকি জনসমক্ষে আলোচনাও করতে পারে না। রাষ্ট্রের প্রচারিত খবরই জনগণ বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়। যারা বিশ্বাস করতে পারে না তারা এই মিথ্যা তথ্যের জন্য দুর্ভোগের শিকার হয়। দুঃখজনকভাবে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম।

২০১১’র বসন্তে আরবরা আশাবাদী হয়েছিল। সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এবং সাধারণ জনগণ তাদের নিজ নিজ দেশে একটি উজ্জ্বল ও মুক্ত সমাজের প্রত্যাশা করেছিল। সকলেরই আশা ছিল, প্রশাসনের স্বৈরশাসন থেকে তারা মুক্তি পাবে। একইসঙ্গে তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ এবং সেন্সরশিপও বন্ধ হবে। কিন্তু খুব দ্রুতই তাদের সেই প্রত্যাশা মুখ থুবড়ে পড়ে। রাষ্ট্রব্যবস্থা পুরনো অবস্থাতেই ফিরে আসে। কোন কোন ক্ষেত্রে তা আগের থেকেও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

আমার বন্ধু বিশিষ্ট সৌদি লেখক সালেহ আল-শেহি, দেশটির সংবাদপত্রে কলাম লিখতেন। তাঁর কলামগুলো ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল।  কিন্তু দেশের প্রশাসন অন্যায়ভাবে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তাঁর বক্তব্য সৌদি বিরোধী হতে পারে এমন ধারণা থেকেই ওই শাস্তি দেওয়া হয়।

মিশরের সরকার আল মাসরি আল ইয়োম নামের একটি পত্রিকা পুরোপুরি বন্ধই করে দেয়। এ বিষয়ে পত্রিকাটির কোন কর্মী বা তাদের সহকর্মীদের প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়াও জানা যায়নি। এমনকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। নিশ্চুপ থাকতেই দেখা গেছে সবাইকে। এই মৌনতার কারণেই আরব সরকারগুলো গনমাধ্যমের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে পেরেছে।  

একটা সময় ছিল যখন সাংবাদিকরা বিশ্বাস করতেন যে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যের সেন্সরশিপ এবং নিয়ন্ত্রণ এড়ানো সম্ভব যা সংবাদপত্রগুলোকেও সাহায্য করবে। কিন্তু তথ্য নিয়ন্ত্রণে বিশ্বাসী সরকারগুলো আগ্রাসী পদক্ষেপের মাধ্যমে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিল। তারা স্থানীয় রিপোর্টারদেরও গ্রেপ্তার করল এবং নির্দিষ্ট কিছু প্রকাশনাকে ক্ষতির মুখে ফেলতে তাদের বিজ্ঞাপনদাতাদের চাপ দিতে শুরু করল।

বর্তমানে খুব অল্প সংখ্যক মাধ্যমই রয়েছে, যারা আরব বসন্তের চেতনাকে এখনো ধারন করছে। কাতার সরকার সব সময়ের মতোই আন্তর্জাতিক সংবাদের প্রচার বাড়াতে সমর্থন করে গেছে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশগুলোর বিপরীত পথই অনুসরণ করেছে তারা। তিউনিশিয়া এবং কুয়েত, যেখানে সংবাদ মাধ্যমগুলো আংশিক স্বাধীনতা পায়, সেখানে তারা অভ্যন্তরীন ইস্যুকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। আরব বিশ্বের বিষয়গুলো প্রকাশ পায় না সেখানে। এমনকি লেবানন সংবাদ মাধ্যমেও ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর প্রভাব রয়েছে।

আরব বিশ্ব একটি বাধার সম্মুখিন হয়, যা কোন বাইরের শক্তি নয় বরং নিজেদেরই সৃষ্টি। স্নায়ু যুদ্ধের সময় ‘রেডিও ফ্রি ইউরোপ’ স্বাধীনতার আশাকে উৎসাহিত ও বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আরবদেরও এমনই কিছু দরকার। ১৯৬৭ সালে, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এবং দ্য পোস্ট আন্তর্জাতিক হেরাল্ড ট্রিবিউন পত্রিকার যৌথ মালিকানা গ্রহণ করেছিল। এটা সারা বিশ্বের মত প্রকাশের একটি ভালো মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। আমার লেখাও দ্য পোস্ট নিয়েছে এবং তারা সেগুলো অনুবাদ করেছে। আরবিতে প্রকাশও পেয়েছে তাদের খবরগুলো। এজন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।

সংবাদগুলো আরবদের নিজ ভাষায় পড়া দরকার, যেন তারা সেগুলো বুঝতে পারে। একইসঙ্গে এটা তাদের যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর গণতন্ত্রের বিভিন্ন বিষয় এবং জটিলতা বুঝতে সাহায্য করবে। নিজেদের মধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনাও করতে পারবে তারা। যদি একজন মিশরের নাগরিক কোন লেখা পড়ে ওয়াশিংটনের নির্মান খরচ জানতে পারে, তাহলে সে তাঁর নিজের দেশের সঙ্গেও এর তুলনা করতে পারবে।

আরব বিশ্বের অনুবাদমাধ্যমের একটি আধুনিক সংস্করণ দরকার, যা তাদের আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহ জানতে সাহায্য করবে। আরবদের মতপ্রকাশের একটি প্লাটফরম দেওয়াটাও অত্যন্ত জরুরী। আমরা দারিদ্র্য, অব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার অভাবে ভুগছি। একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠনের মাধ্যমে, জাতীয়তাবাদী সরকারগুলোর ঘৃনিত প্রোপাগান্ডার প্রভাবমুক্ত হতে পারে আরব বিশ্ব। এর মাধ্যমে তারা সমাজের কাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যা এবং প্রকৃত অবস্থা বুঝতেও সক্ষম হবে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:৪০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আরবি ভাষার মুখপাত্র পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। খবর রয়টার্স।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, হালা রাহারিত দুবাই আঞ্চলিক মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন এবং ১৮ বছর আগে একজন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইন-এ তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে ১৮ বছর মর্যাদাপূর্ণ সেবা প্রদান করার পর আমি এপ্রিল ২০২৪ সালে পদত্যাগ করেছি’।

প্রায় এক মাস আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর অ্যানেল শেলাইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তা জোশ পল গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন।
 
দেশটির শিক্ষা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, তারিক হাবাশ, যিনি ফিলিস্তিনি-আমেরিকান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন। 
  
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়াও সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। 
 
এর মধ্যে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতি সরাসরি এবং নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিকভাবে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।

গাজা নীতি   মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচন: মোদির ম্যাজিক কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ ধাপে। আজ দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল জানা যাবে। বিশ্বের বৃহত্তম এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। 

নির্বাচনের আগে ভারতের নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত জরিপ হয়েছে তার সবগুলোতেই নরেন্দ্র মোদির বিপুল বিজয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের ভোটপ্রাপ্তি সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের ভোট প্রাপ্তির হার সবচেয়ে বেশি হলে ৪২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হলে ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আসনের হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অবস্থান ৪১১ থেকে ৩৭৩ এর মধ্যে এবং ইন্ডিয়া জোট ১৫৫ থেকে ১০৫ এর মধ্যে উঠানামা করবে বলে বিভিন্ন জরিপের হিসেবে বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর অনেকেই ভারতের এই জরিপ শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। 

অনেকেই মনে করছেন যে, এই নির্বাচনে কতগুলি ইস্যু বড় রকমের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য ভারতের মুসলমান ভোটারদেরকে একাট্টা করেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি তা বুঝতে পেরেছে। আর এ কারণে এবার মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দানে বাধা দেওয়া হচ্ছে-এমন অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে ট্রেন বন্ধ রেখে মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। 

নরেন্দ্র মোদি ইন্ডিয়াকে যে ক্ষমতাবান এবং উন্নয়নের রোল মডেলের নীতি নিয়ে টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন সেটি এখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে কৃষকদের নাজুক পরিস্থিতি নরেন্দ্র মোদি ম্যাজিককে ফিকে করে দিয়েছে। অনেকেই এই নির্বাচনে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। 

অনেকে মনে করছেন যে, ২০০৪ সালে ভারতের চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ম্যাজিক দেখিয়েছিল। সে সময় বিজেপির ইন্ডিয়ার সাইনিং স্লোগানের আড়ালে সকলে জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপি জোটের। কিন্তু সেই নির্বাচনে সকল জরিপকে মিথ্যে প্রমাণ করে কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছিল। এবার নির্বাচনে তেমন কোন ফলাফল হবে কিনা তা নিয়ে নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলছে। 

তবে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা তেমন কোন সম্ভাবনা দেখছেন না। বরং তারা মনে করছেন যে, ভারতে শেষ পর্যন্ত বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটই বিজয়ী হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি এবং তার নেতৃত্বে জোট যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট আশা করেছিল সে সংখ্যাগরিষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। তবে এই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট বিজয়ী হলেও নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক অনেকটাই ফিকে হয়ে যাকে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি   কংগ্রেস   বিজেপি   ইন্ডিয়া জোট   এনডিএ জোট   লোকসভা ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

সাহারা থান্ডারকে এই প্রচেষ্টার সমর্থনে ইরানের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের তদারকিকারী প্রধান ফ্রন্ট কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সাহারা থান্ডারকে সমর্থন করার জন্য ভারত-ভিত্তিক তিনটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হল জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট। শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্ক জাকারবার্গকে টপকে তৃতীয় শীর্ষ ধনীর আসনে ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্ক জাকারবার্গ টপকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনীর অবস্থানে উঠে এসেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফলে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনীর জায়গা দখল করতে চলেছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার শেয়ার বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ১১ শতাংশ কমেছে। প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে নিজেদের বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে কমতে পারে এমন পূর্বাভাসের পর এ পতন হয়েছে।

ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচক অনুসারে, মেটার শেয়ার পতনের ফলে মার্ক জাকারবার্গের সম্পত্তি কমে এখন ১৫৭ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে ইলন মাস্কের সম্পদ ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৮৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে এ দুই বিলিয়নিয়ার নিজেদের অবস্থান থেকে ছিটকে যান। গত তিন মাসে টেসলার গাড়ি সরবরাহ কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো জাকারবার্গ মাস্ককে ছাড়িয়ে যান।

এর আগে ফোর্বস প্রকাশিত ২০২৪ সালের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে নিয়েছেন ফ্রান্সের বিলাসবহুল পোশাক ও দ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লুই ভুতোঁ মালিক বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। তার সর্বমোট সম্পদমূল্য ২৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস। গত বছরের তুলনায় এবার তার সম্পদমূল্য বেড়েছে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তার মোট সম্পদমূল্য ১৯৪ বিলিয়ন ডলার।

১৭৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। গতবার সম্পদমূল্য ছিল ৬৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।


মার্ক জাকারবার্গ   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন