নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি উদ্ভট কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত রাষ্ট্রপ্রধান কে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু একেবারে শুরুর দিকেই থাকবেন। রোজ রোজ তিনি এমন সব টুইটের ঝড় বইয়ে দিচ্ছেন যে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, ট্রাম্পের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?
সাধারণ মানুষ না হয় উল্টা-পাল্টা অনেক কিছুই ভেবে থাকেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাঘা বাঘা সব গোয়েন্দারা সম্প্রতি মার্কিন সিনেটে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তাতে এটা অনেকটা স্পষ্টভাবেই উঠে এসেছে যে, ট্রাম্প আকাশ কুসুম ভাবছেন।
শীর্ষ গোয়েন্দাদের ওই প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প যে টুইট করেছেন তা আবারও প্রশ্ন জাগায়, তার মাথা ঠিক আছে তো? তিনি টুইট বার্তায় গোয়েন্দা প্রধানদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘যাও, স্কুলে ফিরে যাও।’ কিন্তু দেশের শীর্ষ গোয়েন্দাদের ওপর কী নিয়ে এতো খেপলেন ট্রাম্প?
গোয়েন্দারা তাদের প্রতিবেদনে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র সমূলে বিনাশ করবে না। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কেবল আংশিকভাবে কিছু অস্ত্র ধ্বংস করবে। অথচ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবারই বলেছেন, তার প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দেশটিকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করছে।
ট্রাম্প ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি বলেও উল্লেখ করে থাকেন। দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন তিনি। অথচ মার্কিন শীর্ষ গোয়েন্দারা বলছেন, ইরান বড় কোনো হুমকি নয়। তারা পারমাণবিক অস্ত্রও তৈরি করছে না। ব্যাস! এতেই ক্ষেপে গেছেন প্রেসিডেন্ট। আর টুইট বার্তায় তাদের তুলোধুনো করে ছেড়েছেন।
কাউকে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করে ট্রাম্পের টুইট অবশ্য নতুন কিছু নয়। এটা তিনি অহরহই করে থাকেন। বিরোধী দলের হিলারি ক্লিনটন, বারাক ওবামা তো বটেই জন ম্যাককেইন, মিট রমনির মতো নিজ দলের প্রবীণ নেতারাও ট্রাম্পের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার হয়েছেন।
একজন রাষ্ট্র প্রধানের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা তো হতেই পারে। কিন্তু তার জবাবে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের রাষ্ট্রপ্রধান ন্যুনতম শিষ্টাচারের বালাই না করেই সমালোচকদের তুলোধুনো করতে পারেন কি? এ কারণেই প্রশ্ন ওঠে ট্রাম্প মানসিকভাবে সুস্থ আছেন তো?
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র চীন শি জিনপিং অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আসাম বাঙালি মুসলমান
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।