নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
একসময় তিনি ছিলেন মিয়ানমারের নন্দিত নেত্রী। বিশ্বব্যাপী তার নামে ধন্য ধন্য করতো সবাই। কিন্তু এই চিত্র বদলাতে খুব বেশি সময় লাগেনি। কপালের ফেরে নয়, বলা চলে নিজেই নিজেকে নন্দিত থেকে নিন্দিত আর জননেত্রী থেকে ক্ষমতালিপ্সু শাসকে পরিণত করেছেন। তিনি অং সান সু চি।
বলা হয়, ক্ষমতায় টিকে থাকতেই সু চি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। সব সময়ই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনকি নিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আইনজীবী উ কো নি সামরিক বাহিনীর ইন্ধনে খুন হলেও এ বিষয়ে কোনো কথাই তোলেননি সু চি। এই খুনের দুই বছর পর্যন্ত এর কোনো বিচার এমনকি সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করেননি তিনি। তবে সম্প্রতি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যেতে শুরু করেছেন তিনি।
সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব তুলেছেন সু চি। এমনকি দুই বছর আগের উ কো নি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন। এসব ঘটনা আভাস দিচ্ছে যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী আর সু চি মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাবেক সেনাপ্রধান একটি রাজনৈতিক দলও গঠন করেছেন। সু চি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর হলেও দেশটির ক্ষমতার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ তার হাতে নয়। সেনাবাহিনী এখনও সরকার পরিচালনায় প্রভাব বিস্তার করে। আগামী নির্বাচনের ফলাফলও নিশ্চিতভাবেই সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। এ কারণে নির্বাচনে জয় পাওয়াটা সু চির জন্য কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া দেশের ক্ষমতায় এসে গত চার বছরে তিনি নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি। বরং সাধারণ জনগণের পক্ষে কথা না বলে সেনাবাহিনীর সুরে সুর মেলানোয় তার সমর্থনে ধস নেমেছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে একটাই প্রশ্ন উঠছে যে, সু চির দিন কি ফুরিয়ে এসেছে? পরবর্তী নির্বাচনে কি ভরাডুবি হতে যাচ্ছে তার?
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন