নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০১৯
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সন্ত্রাসবাদ দমনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন একটা সন্দেহ নেই। ক্ষমতায় এসেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদমুক্ত রাখতে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্টে নিষিদ্ধ করেছিলেন। অভিবাসীরাই যুক্তরাষ্ট্রের বড় হুমকি এই যুক্তি দিয়ে তিনি অভিবাসননীতি কঠোর করতেও সদা তৎপর। সন্ত্রাসবাদ দমনে খড়্গহস্ত এই প্রেসিডেন্ট কি এবার শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধেই অভিযানে নামবেন? কারণ মার্কিন একটি গবেষণা সংস্থা বলছে, গত ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ৭১ ভাগ হামলাই ঘটিয়েছে শ্বেতাঙ্গরা। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে শ্বেতাঙ্গদের ওপরই নজরদারি বাড়ানো উচিত নয় কি?
সারাবিশ্বেই একটি সাধারণ ধারণা হলো যে, মুসলিম উগ্রপন্থী কিংবা অশ্বেতাঙ্গরাই বিশ্বের বেশিরভাগ সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। আর শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সন্ত্রাসবাদী চিন্তা-চেতনা নেই বলেই মনে করি আমরা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই ধারণা একেবারেই ভুল বলে উল্লেখ করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা সংস্থা অ্যান্টিডিফেম্যাশন লিগ। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে যতোগুলো সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ৭১ শতাংশই চালিয়েছে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীরা। এর বিপরীতে মুসলিম চরমপন্থীরা হামলা চালিয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ।
অ্যান্টিডিফেম্যাশন লিগ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের তুলনায় গতবছর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। যার মধ্যে অধিকাংশই চালিয়েছে শ্বেতাঙ্গরা।
দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস অব অস্ট্রেলিয়া নামের আরেকটি গবেষণা সংস্থা বলছে, সারা বিশ্বেই শ্বেতাঙ্গদের সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। সিডনি-ভিত্তিক সংস্থাটির ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাস সূচক ২০১৮’ এ বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে উগ্র ডানপন্থী দল ও ব্যক্তিরা ১১৩টি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। এর মধ্যে শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই হামলা হয়েছে ৫৯টি। এগুলোর অধিকাংশই পরিচালিত হয়েছে মুসলিমবিরোধী ভাবাবেগে আক্রান্ত উগ্র ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গদের দ্বারা।
বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গরা যে কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে গ্লোবাল টেরোরিজম ডাটাবেজে। এই ডাটাবেজের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তার দুই-তৃতীয়াংশই চালিয়েছে মুসলিমবিদ্বেষী, ইহুদিবিরোধী, ফ্যাসিস্ট এবং বর্ণবাদী চিন্তাধারায় প্রভাবিত ব্যক্তিরা।
‘বৈশ্বিক সন্ত্রাস সূচক ২০১৮’ এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় নয়টি সন্ত্রাসী হামলায় সাতজনের মৃত্যু হয়। এর সবগুলোর জন্যই দায়ী শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীরা। এই প্রতিবেদনে বুলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর শুরুতে উত্তর আমেরিকায় অনেক সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে মুসলিম জিহাদি দলগুলোর সম্পৃক্ততা ছিল। কিন্তু গত দুই বছরে এই চিত্র একেবারেই পালটে গেছে। মুসলিম কিংবা অশ্বেতাঙ্গ কেউ নয়, বরং উগ্র ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গরাই এখন আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংকল্পবদ্ধ ট্রাম্প কি এই রিপোর্টগুলো দেখছেন? এবার কি তিনি দেশকে নিরাপদ রাখতে শুধু মসজিদ নয় বরং অন্য উপাসনালয়গুলোর ওপরও নজরদারি বাড়াবেন?
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র চীন শি জিনপিং অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আসাম বাঙালি মুসলমান
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।