নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০১৯
দীর্ঘ ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধকালীন সময়ে একের পর এক ধাক্কা সামলেছে শ্রীলঙ্কা। তামিল গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি তো হয়েছেই দেশটির অর্থনীতিও বারবার বাধার মুখে পড়েছে। সেই যুদ্ধের ভয়াবহ অতীত পেছনে ফেলে একটু একটু করে ঘুরে দাড়িয়েছিল দেশটি। কিন্তু ঠিক সেই সময়টাতেই আবারও অশান্ত হয়ে উঠলো শ্রীলঙ্কা। ইস্টার সানডে’র উৎসবের দিনে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় তিন শতাধিক নিরীহ মানুষ। তিনটি গির্জা এবং তিনটি ফাইভ স্টার হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু কেন এই হামলা? শান্ত-সুনিবিড় দেশ শ্রীলঙ্কাই কেন বারবার আক্রান্ত হচ্ছে?
১৯৮৩ সালে শ্রীলঙ্কার তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এক হামলার মধ্য দিয়ে দেশটির রক্তাক্ত ইতিহাসের সূচনা হয়েছিল। এরপর ২৬টি বছর ধরে নানা চড়াই উতরাই পেরোতে হয়েছে তাদের। দেশটির আয়ের একটি অন্যতম উৎস হলো পর্যটন খাত। যুদ্ধ ও আতংকের কারণেই এই খাতটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। ২০০৯ সালে এই গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে। তামিল বিচ্ছন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকার শান্তি চুক্তিতে পৌঁছায়। প্রশ্ন উঠছে, সেই শান্তি চুক্তি কী আসলেই কার্যকর হয়েছে? তামিল বিচ্ছন্নতাবাদীরাই কী নতুন করে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলো? নাকি এর পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গগোষ্ঠী? এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তাই রহস্য আরও দানা বাঁধছে। শ্রীলঙ্কায় হামলার সঙ্গে কি আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্র যোগসাজশ থাকতে পারে?
গৃহযুদ্ধ শেষে গত দশ বছরে রাজনৈতিক কিছু টানাপোড়েন সত্ত্বেও ঘুরে দাড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দেশটির পর্যটন খাত চাঙা হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আবারও দেশটিতে অশান্তি ছড়িয়ে পড়লো। আজকের নৃশংস হামলায় ৩৫ জন বিদেশি নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কাই বেশি। এর ফলে আবারও আতঙ্কের দেশে পরিনত হলো শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এই আতঙ্কের পাশাপাশি একটা হাহাকারও বেরিয়ে আসছে যে, বারবার কেন শ্রীলঙ্কাই আক্রান্ত হচ্ছে? শান্ত- নিরিবিলি এই দেশটিকে বারবার কেন অস্থির করে তোলা হচ্ছে?
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র চীন শি জিনপিং অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মন্তব্য করুন