নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২০ মে, ২০১৭
আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছু মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব থাকে। যোগাযোগ থেকে শুরু করে খাবারের মেন্যু সব কিছুতেই থাকে তাঁদের প্রভাব। ভারতের এমনই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর একটি তালিকা প্রকাশ করে ইন্ডিয়া টুডে। চলতি বছরের তালিকায় দেশটির ৫০ জন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে তারা। ইন্ডিয়া টুডে’র প্রকাশিত সেই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের এই বিশেষ ধারাবাহিক আয়োজন।
১৯৮০ সাল। ভারতের অর্থনীতি অবস্থা ছিল করুণ। তিনি লাভজনক একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ ছেড়ে নিজের ব্যবসা শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। আজ তিনি ভারতের অন্যতম প্রাইভেট ব্যাংক কোটাক মাহিন্দ্রার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি উদায় কোটাক।
উদায় কোটাকের মাহিন্দ্রা ব্যাংক ২০১৪ সালে বিশ্বের ৪র্থ বড় প্রাইভেট ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি ২০১৫-১৬ সালে ৯৫১৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। ২০১৫ সালে তিনি সুনীল মিত্তালকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষুদ্রপ্রদত্ত ব্যাংকের শুরু করেন। উদায় কোটাক বর্তমানে তাঁর কোম্পানির জীবন বীমা ব্যবসাকে গত বছরের চেয়ে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছেন।
২২ মার্চ ২০০৩ সালে তাঁর কোটাক মাহিন্দ্রা ফাইন্যান্স ভারতের প্রথম কোম্পানি হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ল্যাইসেন্সসহ অনুমোদিত হয়।
উদায় কোটাক গুজরাটি লোহানা জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হন। তাঁর পরিবারের ৬০ জন সদস্য এক ছাদের নিচে বাস করতেন। তিনি কাজের ক্ষেত্রে একে বলেছেন পুঁজিবাদ এবং বাসস্থানের ক্ষেত্রে বলেছেন সমাজতন্ত্রবাদ।
অতীতে ক্রিকেট খেলা এবং সেতার বাজানোর প্রতি উদায় কোটাকের ঝোঁক ছিল। কিন্তু গণিতে মেধাই তাকে এই ক্যারিয়ার বেছে নিতে আগ্রহী করে তোলে।
উদায় কোটাকের সহধর্মিণীর নাম পল্লবী কোটাক। উদায় কোটাকের দুই ছেলের একজন জয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন। আর এক ছেলে ধাওয়াল কোটাক ফাউন্ডেশন ‘মিড ডে মিল’ প্রোগ্রামে কাজ করেন।
ইন্ডিয়া টুডে সাময়িকী ২০১৭ সালে উদায় কোটাককে ভারতের ৫০ জন প্রভাবশালী ব্যাক্তির তালিকায় ৭ নম্বরে রাখা হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন