ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:২২ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

বিভিন্ন জরিপ আর ম্যাগাজিনের কল্যাণে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের নামধাম, সম্পদের হিসাব সবকিছুই  জানা আমাদের। কিন্তু ব্যক্তিগত সফলতা ছাপিয়ে পুরো পরিবারকে নিয়েই সফল হয়েছেন যারা এমন কারও খোঁজ কি রাখি আমরা? সারাজীবন পরিশ্রম করে সম্পদের পাহাড় গড়া অবশ্যই কঠিন কাজ। কিন্তু সেসব সম্পদ রক্ষা করার জন্য যোগ্য উত্তরসূরি তৈরি করা এবং বংশানুক্রমিকভাবে সম্পদ ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন কাজ। যেসব মানুষের সন্তানেরা যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে পিতার ব্যবসা ধরে রাখতে পেরেছে, পরবর্তীতে তারাই বিশ্বসেরা হয়েছে সেরকম ১০টি পরিবার নিয়েই এই প্রতিবেদন-

ওয়াল্টন


যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিবার বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার। বিশ্ববিখ্যাত রিটেইল শপ ‘ওয়ালমার্ট’-এর মালিক এরাই। সারা বিশ্বের ২৭টি ভিন্ন ভিন্ন দেশে ১১ হাজারেরও বেশি শাখা আছে ওয়ালমার্টের। তাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। ১৯৬২ সালে স্যাম ওয়ালমার্টের প্রথম শপটি চালু করেন। বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাদ দিলে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। তাদের কর্মীর সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি।

মার্স


এই পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস চকলেট ও ক্যান্ডি। প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্কলিন ১৯১১ সালে সর্বপ্রথম এই ব্যবসা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেয় তার সন্তান ফরেস্ট। তার সময়কালে বিশ্ববিখ্যাত চকলেট ‘মার্স বার’ এবং ‘মিস্টার এন্ড মিসেস’ প্রক্রিয়াজাত শুরু হয়। তার তিন সন্তান ফরেস্ট জুনিয়র, জ্যাকুলিন এবং জন বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের মালিক। শুধু মানুষের খাবারই নয়, কুকুরের খাবারের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড পেডিগ্রি কোম্পানির মালিকও এই মার্স পরিবার। মার্স পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা। সম্পত্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্স পরিবার।

কচ


যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহৎ বেসরকারি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ‘কচ ইন্ডাস্ট্রি’র মালিক এই পরিবার। এদের আয়ের উৎস তেল, রিয়েল এস্টেট, র‍্যাঞ্চিং, কেমিক্যাল, সার ইত্যাদি। প্রকৌশলী ফ্রেড সি কচ এই সম্পদের ভিত্তি স্থাপন করেন। ১৯৪০ সালে তিনি একটি তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এটি পরবর্তীতে খুব শক্তিশালী মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে পরিণত হয়। তাদের পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। সম্পদের হিসেবে তাদের অবস্থান তৃতীয়।

আল সৌদ


সমগ্র সৌদি আরবের অর্ধেকের চেয়েও বেশি পরিমাণ সম্পদের মালিক সৌদি রাজপরিবার। সেই অষ্টাদশ শতক থেকে সৌদি আরব শাসন করছে এই পরিবার। ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে তাদের সম্পদের পাহাড়। এই সম্পদের সবচেয়ে বড় উৎস তেলের খনি। এছাড়াও আয়ের উৎস হিসেবে আছে জায়গা, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা, মূল্যবান ব্যবসায়িক চুক্তি ইত্যাদি। সৌদি আরবের রাজ পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭ লাখ ১১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা।

শানেল

সম্পদের হিসেবে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্সের শানেল পরিবার। মূলত ফ্যাশনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এই পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা।

হার্মেস

পোশাক, জুয়েলারি, ঘড়ি, সুগন্ধী, লেদারের সামগ্রী তৈরি করে প্যারিসের এই প্রতিষ্ঠানটি ১৮৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা থিয়েরি হার্মেস। হার্মেস পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।

অ্যানহিউসার-বাস্ক

সংস্থাটি যৌথ উদ্যোগে পরিচালনা করে ভ্যান ডম, ডি স্পোয়েলবার্ক, ডি মেভিয়াস পরিবার। এটি একটি বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা। তাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা।

বোহেরিংগার

এটি একটি জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। যৌথ উদ্যোগে এই ব্যবসা চালায় বোহেরিংগার এবং ভন বমব্যাক পরিবার। তাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।

আম্বানি


১৯৫৭ সালে রিলায়্যান্সের যাত্রা শুরু হয়েছিল ধীরুভাই আম্বানীর হাত ধরে। তার মৃত্যুর পর ব্যবসা সামলান দুই ছেলে মুকেশ ও অনিল অম্বানী। সম্পত্তির হিসেবে এই পরিবারের স্থান নবম। মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা।

কারগিল


এই পরিবারে ১৪ জন বিলিয়নিয়ার সদস্য আছে। সংখ্যার দিক থেকে এই পরিবারেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার আছে। খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ তাদের আয়ের উৎস। ১৮৬৫ সালে উইলিয়াম ওয়ালেস কারগিলের হাত ধরে কারগিল ইনকর্পোরেটেডের যাত্রা শুরু হয়। ১৯০৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানের সব সম্পত্তি তার চার সন্তানের মাঝে ভাগ করে দেন তিনি। সন্তানরাও বাবার মতো পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠানটিকে আরো দূরে নিয়ে যায়। এখন এই কোম্পানিটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানির মাঝে একটি। তাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ লাখ ৫ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।

বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ববিদ্যালয়   ইসরাইল   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে: ম্যাখোঁ

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে। ইউরোপের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিতে প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মহাদেশের মার্কিনিদের অধীন হওয়া উচিত হবে না। এ সময় তিনি বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় অবস্থানের রূপরেখা প্রদান করেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউরোপের সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপীয় একাডেমি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনোভাবে সফল হতে দেওয়া যাবে না।

ম্যাখোঁ বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই কাজে দেবে না। কয়েক দশক ধরে এ খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

ম্যাখোঁ আরও বলেন, অধিক পরিমাণে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। এটি দ্রুত করতে হবে। আর ইউরোপীয়দের জন্য এসব প্রস্তুত করতে হবে। ইউরোপকে দেখাতে হবে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অধীন নয়।

বর্তমানে মার্কিন সামরিক ছত্রছায়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই বলে অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তা মনে করেন।


ইউরোপ   ধ্বংস   ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ   প্রতিরক্ষা শিল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের ওপর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ড্রোন ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। 

বিবিসি জানায়, ইরানের ড্রোনের ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া এই পদক্ষেপ ইরানের এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইরানি মনুষ্যবিহীন আকাশযান গোপনে বিক্রির সুবিধা ও অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে। 

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানি পণ্য চালানের সঙ্গে জড়িত দুটি কোম্পানি ও একটি জাহাজকেও টার্গেট করেছে ওয়াশিংটন।

১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

গত ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের ১৬ জন ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরানের ড্রোন কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।


ইরান   যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: ভোট দিলে বিনামূল্যে দেওয়া হবে মদ

প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। মোট সাত ধাপে ৪১ দিনব্যাপী ভোট নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ চলছে। 

ভারতে ভোটাভুটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা গেলও এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যায় কর্ণটকের বেঙ্গালুরুতে। সেখানে ভোটাররা ভোট দিতে তেমন একটা আসেন না।

তবে ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সেজন্য সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ডেক অব ব্রিয়ুস নামের একটি জনপ্রিয় মদের দোকান ঘোষণা দিয়েছে, ভোট দিয়ে এসে যে প্রথম ৫০ জন কাস্টমার তাদের দোকানে আসবেন তাদের বিনামূল্যে মদ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এছাড়া ভোটারদের ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পিসি রাও সংবাদমাধ্যম বেঙ্গালুরু মিররকে বলেছেন, 'ভিন্ন ভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁ ভিন্ন সেবা দেবে। কিছু জায়গায় বিনামূল্যে কফি দেওয়া হবে, কোথাও দোসা দেওয়া হবে। কিছু হোটেল-রেস্তোরাঁ ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার সরবরাহ করবে।'

শুধুমাত্র যে খাবারের দোকান ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে তাই নয়। ট্যাক্সি কোম্পানি এমনকি একটি  অ্যামিউজমেন্ট পার্কও ভোটারদের জন্য বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে। তবে এসব সেবা পেতে হলে ভোট দেওয়ার প্রমাণ স্বরূপ কালো মার্ক দেখাতে হবে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরুর মধ্যাঞ্চলে ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। উত্তর ব্যাঙ্গালুরুতে ভোট গ্রহণের হার ছিল ৫৪ দশমিক ৭। যেখানে পুরো দেশে গড় ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬৮ শতাংশ।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   মদ   নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: রাহুল-শশীদের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে আজ। এই পর্বে মোট ৮৮টি রাজ্যের ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে লড়াই হবে। যেখানে মোট ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ভোটার নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করবেন।

দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনি লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর, বিদায়ি সংসদের স্পিকার ওম বিড়লাসহ ভারতের একাধিক হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বলিউডের ড্রিমগার্ল হেমামালিনীর মতো গ্ল্যামার দুনিয়ার মহিরুহ। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন অ্যানি রাজা, নবনীত রানা, অরুণ গোভিল ও প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা।   

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের ঘোষণার সময় দ্বিতীয় দফায় ৮৯টি আসনে ভোটগ্রহণের ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল লোকসভা আসনে বিএসপি প্রার্থী অশোক ভালভির আচমকা মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। তাই দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। 

দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে রাজ্যের উত্তরাংশের পাহাড়প্রধান এলাকা দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে। 

দ্বিতীয় দফায় ভারতের যে ১৩ রাজ্যের ৮৮টি আসনে ভোট হচ্ছে। সেগুলো হলো- ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীর। 

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফা নির্বাচনে পুরো রাজ্যে ৬০ থেকে ৭৯ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারু-এই তিন কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৭৭ শতাংশ। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের চা-বাগানপ্রধান এলাকা জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছেন, এই নারীরা সবাই তার দলকেই ভোট দিয়েছেন। 

এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। চলবে প্রায় দুই মাস। ভোটপর্ব শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে। ওইদিন জানা যাবে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপির নরেন্দ্র মোদির সরকার ফের ক্ষমতায় আসছে, না রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে।

দ্বিতীয় দফার ভোটে সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়ানাড় লোকসভা আসন থেকে ফের নির্বাচনে লড়ছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিআই-এর অ্যানি রাজা এবং এনডিএ-এর কে সুরেন্দ্রন। কংগ্রেসের মুকেশ ধানগার উত্তরপ্রদেশের মথুরা লোকসভা আসন থেকে অভিনেত্রী-বর্তমান সংসদ-সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী হেমামালিনীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিদায়ি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আবারও রাজস্থানের কোটা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে প্রহ্লাদ গুঞ্জালকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংসদ-সদস্য শশী থারুর ফের কেরালার তিরুবনন্তপুরম লোকসভা আসনের প্রার্থী। বিজেপি তার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে রাজীব চন্দ্রশেখর এবং বামপন্থি পানিয়ান রবীন্দ্রনকে।


লোকসভা নির্বাচন   নির্বাচন   ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন