নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ২৪ অগাস্ট, ২০১৯
ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও প্রবীণ বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির মৃত্যুতে দেশটির জাতীয় রাজনীতির এক বিশাল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো। অরুন জেটলিকে বলা হতো, ভারতীয় রাজনীতির ‘ট্রাবলশুটার’ বা ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’। কিন্তু তিনি জিনে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে প্রবল মোদি ঝড়ের মধ্যেও তিনি অমৃতসর কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির সেই দলের প্রতিনিধি যারা পর্দার পেছনে থেকে নিজেদের মেধাকে দেশ পরিচালনায় কাজে লাগিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক তার জীবনের কয়েকটি অধ্যায়।
বাণিজ্য থেকে আইনে
অরুণ জেটলি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। স্কুল, কলেজ জীবনে তার পরীক্ষার রেজাল্ট ছিল খুব ভালো। প্রথমে বাণিজ্য বিভাগে পড়া শুরু করেছিলেন তিনি। বাণিজ্যে স্নাতক হওয়ার পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি প্রথিতযশা আইনজীবী হয়েছিলেন।
ছাত্রজীবনেই রাজনীতি
ছাত্র জীবনেই রাজনীতির প্রতি আগ্রহ বাড়ে অরুন জেটলির। যোগ দেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি হয়েছিলেন তিনি।
ইন্দিরা গান্ধি বিরোধী আন্দোলন
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধি ভারতে যখন জরুরি অবস্থা জারি করেন, তখন আন্দোলন করে জেলও খেটেছিলেন তিনি। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি দিল্লি বিদ্যার্থী পরিষদের সভাপতি হন। একই সঙ্গে হন সর্বভারতীয় সম্পাদক।
২৮ বছর বয়সে বিজেপি সভাপতি
১৯৮০ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে রাজধানী দিল্লিতে বিজেপি’র সভাপতি হন তিনি।
রাজনীতির মাঠ+সুপ্রিম কোর্ট
অরুন জেটলি একই সঙ্গে রাজনীতির মাথ এবং সুপ্রিম কোর্ট দুটোই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। বিজেপির অন্যতম কাণ্ডারি তো বটেই দেশের প্রথম সারির আইনজীবীও ছিলেন তিনি।
বাজপেয়ির মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী
অটলবিহারী বাজপেয়ীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন জেটলি। ২০০০ সালে বাজপেয়ির মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী হন তিনি।
রাজ্যসভায় বিজেপি নেতা
২০০৯ সালে রাজ্যসভায় বিজেপির নেতা হন জেটলি। প্রমোদ মহাজনের মৃত্যুর পরে তিনি হয়ে ওঠেন বিজেপির অন্যতম জাতীয় মুখ।
বিজেপির অন্যতম নীতি নির্ধারক
২০১৪ সালের নির্বাচনে জেটলি ছিলেন বিজেপির অন্যতম নীতি নির্ধারক। সে বারই তিনি জীবনে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে অমৃতসর থেকে লড়াই করেন। কিন্তু হেরে যান কংগ্রেসের অমরিন্দর সিংয়ের কাছে।
বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি
অন্য ভারতীয়দের মতো অরুন জেটলিও ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমী। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এর সহ সভাপতি ছিলেন তিনি।
শারীরিক অসুস্থতা
প্রতাপশালী রাজনীতিক অরুন জেটলি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ্ ছিলেন। তিনি কিডনি ও হার্টের জটিলতায় ভুগছিলেন। গতবছর তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন জেটলি। সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেননি।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলি এক গায়িকাকে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুইডেন। বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে। ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশটির মালমো শহরের রাস্তায় নামে। এ প্রতিবাদে অংশ নেন বিশ্বব্যাপী পরিচিত পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গণহত্যায় অভিযুক্ত কোনো দেশের প্রতিযোগী এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে না। খবর বিবিসির।
পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতা। ইউরোভিশন সং কনটেস্ট চলাকালে যদি হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানায়, তাহলে তা আয়োজকদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে ও পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে। এক বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তিনি চান ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলকে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক। যেমনটি রাশিয়াকে করা হয়েছিল ইউক্রেনে পুরোদস্তুর রুশ আগ্রাসন শুরুর পর।
সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা ও কেফিয়াহ নিয়ে রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। সে সময় তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে ও ফিলিস্তিনি পতাকার রঙের স্মোক ফ্লেম জ্বালায়। প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন, তারা শনিবার (১১ মে) ফাইনালের আগে আবারও মিছিল করবেন।
জানা গেছে, বুধবার রিহার্সাল করার সময় থেকেই দুয়োধ্বনি শুনে আসছিলেন গোলান। তবে তার বক্তব্য ছিল, তিনি তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত ও কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের পর ‘হারিকেন’ নামক একটি গান গেয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেন গোলান। জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গোলানকে তার গানের নামও বদল করতে হয়েছে। প্রথমে তার গানের নাম ছিল ‘অক্টোবর রেইন’।
গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাসের চালানো হামলার সঙ্গে মিল থাকায় গোলানকে তার গানের নাম বদল করতে বলা হয়। গানের এ প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা হলো ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)। ইবিইউ জানিয়েছে, ইউরোভিশন হলো অরাজনৈতিক সংগঠন।
কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এ বছরের প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনি পতাকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, রাশিয়া ও বেলারুশ যদি নিষিদ্ধ হতে পারে, তাহলে ইসরায়েল কেন নিষিদ্ধ হতে পারবে না।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় গোলানকে শুভকামনা জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সুইডেনে সফলভাবে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলিদের মন জয় করে নিয়েছেন এ গায়িকা।
মন্তব্য করুন
প্রায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে এখন পর্যন্ত গাজার হাজারো হাসপাতাল, বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। এই আগ্রাসনে শত শত মসজিদও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত বহু ইমাম এবং ধর্মবিষয়ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৩০০ ইমাম ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। এছাড়া তারা ৫০০ এর অধিক মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে অসংখ্য মসজিদ। এ তালিকায় ঐতিহাসিক আল ওমারি মসজিদও রয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেতনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের এ বর্বরতা থেকে রেহায় পায়নি গির্জাও। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলায় ঐতিহাসিক সেন্ট প্রোফাইরিস গির্জাসহ আরও তিনটি গির্জা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাসকে ভেঙে দিতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। তাদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ।
তিনি জানান, ধ্বংসপ্রায় মসজিদেই তারা নামাজ আদায় করছেন। এছাড়া সেখানেই নতুন উদ্যোমে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমও চালু করেছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আমরা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য পাশে চায়। বিশেষ করে আরব বিশ্বের ইসলামী ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমাদের আহ্বান হলো আমাদের জনগণের ওপর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে কাজ করুন।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস হয়েছে সাধারণ পরিষদে। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। পরে বিপুল ভোটে এটি পাস হয়। রায়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিন প্রস্তাবের পক্ষে সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।
বিপুল ভোটে প্রস্তাব পাস হওয়ায় ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার দাবি আরও জোড়ালো হলো। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য এখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত মাসে ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই সেই আবেদন নবায়ন করে পুনরায় জমা দেয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই আজ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব হওয়ায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কিছু অতিরিক্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে ফিলিস্তিন। যেমন, সাধারণ পরিষদের অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘের অন্য সদস্যদের মতো একটি আসন পাবে তারা। তবে ভোট প্রয়োগের কোনো ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে না।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বিস্তৃত করে চলেছে ইসরায়েল। বিষয়টিকে বেআইনি বলে মনে করে জাতিসংঘ। তাই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে বারবার চাপ দিচ্ছে ফিলিস্তিন।
ফিলিস্তিন জাতিসংঘ যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অরবিন্দ কেজরিওয়াল লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলি এক গায়িকাকে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুইডেন। বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে। ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশটির মালমো শহরের রাস্তায় নামে। এ প্রতিবাদে অংশ নেন বিশ্বব্যাপী পরিচিত পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গণহত্যায় অভিযুক্ত কোনো দেশের প্রতিযোগী এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে না। খবর বিবিসির।