ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সন্তানের ক্ষুধা মেটাতে মাথার চুল বিক্রি; অত:পর নতুন জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

‘আমার সাত বছর বয়সী ছেলে কালিয়াপ্পান স্কুল থেকে ফিরে খাবার চায়। তারপর সে ক্ষুধায় কাঁদতে শুরু করে,’ বলছিলেন প্রেমা সেলভাম।

কিন্তু ৩১ বছর বয়সী এই মা, যে ভারতের তামিলনাড়ুর সালেম জেলায় বাস করেন, ছেলেকে খেতে দেয়ার মতো তার কাছে কিছু ছিল না এবং তিনি অসহায় বোধ করছিলেন। এমনকি গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার তিনি কিছুই রান্না করেননি, কারণ তার কাছে রান্না করার মতো কিছু ছিল না।

এ ধরণেরই কয়েকটি বেদনাদায়ক ঘটনার পর, প্রেমা তার সহ্যের চরম সীমায় পৌছান। এই সব ঘটনা তাকে কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে ধাবিত করে, এরমধ্যে একটি পদক্ষেপের কারণে তার স্থানীয় সম্প্রদায় অভাবনীয় প্রতিক্রিয়া দেখায়।

হৃদয় ভেঙ্গে গিয়েছিল

‘বাচ্চাদের খেতে দেয়ার মতো কোনো খাবার আমার কাছে ছিল না। এটা আমাকে কষ্ট দিয়েছিল। এটা আমার হৃদয় ভেঙ্গে দিয়েছিল। আমার মনে হচ্ছিল, আমি যদি আমার বাচ্চাদের খাবার দিতে না পারি তাহলে বেঁচে থেকে কী হবে?’ বিবিসিকে বলছিলেন তিনি।

কোনো কিছু বিক্রি করে অর্থ আয় করার মতো কোনো সম্পদ, গয়না, মূল্যবান জিনিস কিংবা রান্নাঘরের তৈজসপত্রও ছিল না প্রেমার কাছে।

তিনি বলেন,‘আমার কাছে ১০ রূপির একটা নোটও ছিল না। আমার কাছে শুধু প্লাস্টিকের কয়েকটি বালতি ছিল।’

এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে, তার কাছে কিছু একটা আছে যা তিনি বিক্রি করতে পারেন।

ওজন করে চুল বিক্রি

‘একটা দোকানের কথা আমার মনে ছিল যেটি চুল কিনতো। আমি সেখানে গিয়ে আমার পুরো মাথার চুল ১৫০ রুপিতে বিক্রি করে দেই,’ প্রেমা বলেন।

সারাবিশ্বেই মানুষের চুল কেনা-বেচা হয় এবং ভারত শীর্ষ রপ্তানিকারক। প্রার্থনা পূরণ হওয়ার বিনিময়ে অনেক হিন্দু পূণ্যার্থী মন্দিরে তাদের চুল দান করে থাকেন। ব্যবসায়ীরা সেগুলো কিনে নিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে থাকে।

স্বামীর আত্মহত্যা

চুল বিক্রি করে যে অর্থ তিনি পেয়েছিলেন তা দিয়ে হয়তো একটি বড় শহরে মাঝারি মানের একটি রেস্তোরায় দুপুরের খাবার কেনা সম্ভব। কিন্তু গ্রামে সেই অর্থ দিয়ে তিনি বেশ কিছু জিনিস কিনতে পেরেছিলেন।

তিনি বলেন,‘আমার তিন সন্তানের জন্য ২০ রুপি করে আমি তিন প্যাকেট ভাত কিনি।’

তিনি তার সন্তানদের সাথে ভাগাভাগি করে সেই খাবার কিছুটা খেয়েছিলেন। কিন্তু এটা ছিল ক্ষণিকের আনন্দ মাত্র। প্রেমা জানতেন যে, তিনি নিজের শেষ উপায় ব্যবহার করে ফেলেছেন এবং পরের বেলা তিনি কিভাবে তার পরিবারকে খেতে দেবেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

বছরের পর বছর ধরে তিনি তার স্বামীর সাথে একটি ইটের ভাঁটায় কাজ করতেন এবং বেঁচে থাকার মতো পর্যাপ্ত অর্থ আয় করতেন তারা। তার স্বামী নিজের ইটের ভাটা শুরু করার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি এবং এর পরিবর্তে হতাশা ভর করেছিল।

প্রেমার স্বামী কখনোই পর্যাপ্ত অর্থ জোগাড় করতে পারেননি এবং তিনি মরিয়া হয়ে গিয়েছিলেন। একপর্যায়ে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে সাত মাস আগে তিনি আত্মহত্যা করেন। চুল বিক্রির পর এবং আর কোন উপায় না থাকায়, প্রেমাও তার স্বামীর মতো একই পথ অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন।

প্রেমার আত্মহত্যার চেষ্টা

‘আমি একটি দোকানে কীটনাশক কিনতে যাই। কিন্তু তার করুণ অবস্থা দেখে দোকানদার তাকে তাড়িয়ে দেয়। তিনি বাড়ি ফিরে এসে অন্য কোন উপায় খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি করবী গাছের বীজ তুলে সেগুলো পিষে মিশ্রণ তৈরি করতে শুরু করেন। ভাগ্যক্রমে প্রেমার বোন বাড়ির পাশেই বসবাস করা এক বোন তাকে সেই বিষাক্ত মিশ্রণ খেতে বাধা দেয়। বোনকে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে প্রেমা বলেন, তার স্বামীর ধার করা অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার চাপ তাকে দুর্বল করে তুলেছে ‘

ভারী কাজ

স্বামীর মৃত্যুর পর প্রেমাই এখন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তিনি তার স্বামীর মতোই ইট তৈরির কাজ করেন। এটি শারীরিক পরিশ্রমভিত্তিক কাজ হলেও এতে কৃষিকাজে নিযুক্ত শ্রমিকের তুলনায় বেশি মজুরী পাওয়া যায়।

‘কাজে গেলে আমি দিন প্রতি ২০০ রুপি করে পাই যা আমার পরিবার চালানোর জন্য যথেষ্ট,’ প্রেমা বলেন।

কাজে যাওয়ার সময় তিনি সাধারণত তার ছোট দুই ছেলেকে সাথে করে নিয়ে যান, কারণ স্কুলে যাওয়ার মতো বয়স হয়নি তাদের।

কিন্তু চুল বিক্রির আগে তিন মাস ধরে তিনি প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন। তার মানে হচ্ছে, সে সময় তিনি এত বেশি অর্থ আয় করতে পারতেন না।

‘আমি অনেক ইট একসাথে বহন করতে পারতাম না। জ্বরের কারণে বেশিরভাগ সময় আমি বাড়িতেই থাকতাম।’

পাহার সমান ঋণ

প্রেমা ধারের অর্থ শোধ দিতে পারতেন না। যখন তার ঋণদাতারা অর্থের জন্য চাপ দিতো, তার হতাশা আরো বেড়ে যেতো। তিনি পড়াশুনা জানতেন না এবং সরকারের স্কিম যা তার মতো মানুষদের সহায়তায় দেয়া হতো সে সম্পর্কে তার কোন ধারণাও ছিল না। ভারতের ব্যাংকিং ব্যবস্থা জটিল সব নিয়ম সম্বলিত হওয়ার কারণে তা থেকে কম সুদে ঋণ পাওয়া দরিদ্র সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য খুবই কঠিন।

প্রেমা এবং তার স্বামী স্থানীয় ঋণদাতা এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। এসব ঋণ ছিল অনিরাপদ এবং তা শোধ করার প্রক্রিয়াও ছিল খুবই ব্যয়বহুল। প্রেমা যেহেতু বারবার অসুস্থ হয়ে পড়তেন তাই তার আয় দিন দিন কমতে থাকলো। যা তাকে গভীর হতাশায় ডুবিয়ে দেয়। এরপরই প্রেমা তার চুল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে সাহায্য

প্রেমা যখন তার স্বাস্থ্যের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌছান, তখন একজন ভাল দানশীল ব্যক্তি তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। এরপরই ভাগ্য ফিরে আসে প্রেমার।

‘আমি প্রেমা সম্পর্কে একটি ইটের ভাঁটার মালিকের নিকট থেকে জানতে পারি,’ বলেন বালা মুরুগান। প্রেমার সংগ্রাম তাকে তার পরিবারের খারাপ সময়গুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বালা জানেন যে কিভাবে দারিদ্র্য মানুষকে হতাশায় ডুবিয়ে দেয়।

‘আমার বয়স যখন ১০ বছর, তখন আমার পরিবারে খাবারের সংকট ছিল। আমার মা তাদের পুরনো বই আর খবরের কাগজ কেজি দরে বিক্রি করে দিয়ে সেই অর্থ দিয়ে চাল কেনেন।’

এমন মরিয়া অবস্থায় তার মা নিজে আত্মহত্যা করতে এবং তার পরিবারকেও মেরে ফেলতে চেয়েছিল। তিনি স্মৃতিচারণ করেন, কিভাবে তার মা তাদেরকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। ‘আমার মা প্রথমে কয়েকটি ওষুধ খায় এবং পরে যখন আমার বোন ওষুধ খেতে যায় তখন মা তাকে থামিয়ে দেয়।’

শেষ মুহূর্তে গিয়ে তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। পরিবারের সদস্যরা তার মাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় এবং তার মায়ের জীবন রক্ষা হয়। এ ঘটনার পর, বেশ কয়েক বছরের চেষ্টায় বালা দারিদ্র্যকে জয় করতে সক্ষম হযন এবং এখন তার একটি কম্পিউটার গ্রাফিক্স সেন্টার রয়েছে।

আন্তরিক পরামর্শ

বালা প্রেমাকে তার নিজের জীবনের ঘটনা বলে এবং তাকে আশান্বিত হওয়ার কথা বলেন। তিনি প্রেমাকে খাবার কেনার জন্য কিছু অর্থ দেয়। এর পর পুরো ঘটনাটি বালা ফেসবুকে লেখেন।

‘একদিনের মধ্যে আমি এক লাখ ২০ হাজার রুপি জোগাড় করি। যখন আমি প্রেমাকে জানাই সে খুবই খুশি হয় এবং বলে যে এতে তার বেশিরভাগ ঋণ শোধ হয়ে যাবে।’

কিন্তু প্রেমার অনুরোধে তহবিল সংগ্রহ বন্ধ করা হয়।

‘প্রেমা বলে যে, সে (প্রেমা) কাজ করে বাকি ঋণ শোধ করবে,’ বলেন বালা। এখন তাকে প্রতিমাসে বিভিন্ন ঋণদাতাকে ৭০০ রুপি করে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। জেলা কর্তৃপক্ষও তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে এবং আশ্বাস দিয়েছে যে, তাকে দুধ বিক্রির ডিলারশীপ দেয়া হবে।

দুঃখজনক ভাবে, প্রেমার গল্পটিই একমাত্র ঘটনা নয়। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও, লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিনের খাবার যোগাড় করতেই হিমশিম খায়। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব মতে, নাইজেরিয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চরম দারিদ্র্য আক্রান্ত মানুষদের (যাদের দৈনিক আয় ১.৯০ ডলারের কম) বাস ভারতে। প্রেমাকে চারজনের খাবার যোগাড় করতে হয় এবং যেদিন সে আয় করে সেদিনও তার পারিশ্রমিক জনপ্রতি ৭২ সেন্টেরও কম হয়। সে দরিদ্রদের মধ্যেও দরিদ্র।

নতুন জীবন

বালা মুরুগান প্রেমাকে তার সাহায্য দেয়া অব্যাহত রেখেছে।

‘এখন আমি বুঝি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আমি বাকি ঋণ শোধ দেয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।’

প্রেমা বলেন যে, তিনি অচেনা মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে অত্যন্ত খুশি এবং তিনি এটাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এটা তাকে তার শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএস



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ শুক্রবার

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোট পর্ব শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে আগামীকাল ভোটগ্রহণ হবে।

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। 

১৯ এপ্রিল ভোট ছিল ১৭ রাজ্য ও ৪ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০২ আসনে। প্রথম ধাপে ভারতে ভোট পড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। ব্যতিক্রম বাংলা। প্রথম ধাপে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৭ শতাংশ। ১৯ এপ্রিল জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন।


লোকসভা   নির্বাচন   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের জন্য বড় সুসংবাদ

প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যেসব মুসল্লি ওমরাহ পালন করতে চান তাদের বড় সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, এখন থেকে যে কোনো ভিসা নিয়ে সৌদিতে আসলেই ওমরাহ করা যাবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র ওমরাহ ভিসার প্রয়োজন হবে না। 

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় আগতরা (সৌদি আরবে) এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম এবং ই-ভিসাসহ সব ভিসায় সৌদিতে প্রবেশ করে ইচ্ছা করলেই ওমরাহ করতে পারবেন। তারা বলছে, "আপনার ভিসার ধরন যাই হোক না কেন, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন। 

এদিকে, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। আর এর মাধ্যমে মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।


ওমরাহ   সৌদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ২০ জনকে জীবিত কবর দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল  এবং গাজা সিটির আল শিফা হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। গণকবর থেকে এখন একের পর এক মরদেহ বের করা হচ্ছে। যেগুলোর বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে। 

ফিলিস্তিন সিভিল ডিফেন্সের সদস্য মোহাম্মদ মুঘাইয়ের জানিয়েছেন, এসব গণকবরে পাওয়া মরদেহের অন্তত ২০ জনকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার আলামত পেয়েছেন তারা।  

তিনি বলেছেন, ১০টি মরদেহের হাত বাধা ছিল। অন্যদের শরীরে মেডিকেল টিউব সংযুক্ত ছিল। বিষয়টি নির্দেশ করছে তাদের খুব সম্ভবত জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়া হয়েছে। 

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের গণকবর থেকে শিশুদের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। মোহাম্মদ মুঘাইয়ের শিশুদের বিকৃত মরদেহের ছবি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, গণকবরে শিশুরা কেন ? এসব প্রমাণ নির্দেশ করছে ইসরায়েলি সেনারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।

দুই সপ্তাহ আগে খান ইউনিস থেকে সরে যায় দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরপর সেখানে ফিরে যান সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। তারা গিয়ে দেখতে পান খান ইউনিসকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদাররা। তাদের বর্বরতা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। সাধারণ মানুষকে হত্যা করে হাসপাতালের পাশেই পুঁতে রেখেছে তারা।


গাজা   কবর   ইসরায়েল   মরদেহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজে হামলার দাবি হুতির

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এডেন উপসাগর ও ভারত মহাসাগরে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

পার্স টুডে বলছে, বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে হুতির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার তথ্য জানিয়ে বলেন, এডেন উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ মেয়ারস্ক ইয়র্কটাউন ও একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হয়েছে। এছাড়া ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এমএসসি ভেরাক্রুজে হামলা করা হয়েছে। এ দুটি অপারেশনই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান জেনারেল সারি। 

এদিকে আরব নিউজ জানিয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান আমব্রে বলছে, এডেন বন্দরের দক্ষিণ পশ্চিমে হামলা হয়েছে। আর মার্কিন কর্তৃপক্ষ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ইয়েমেনের উপকূলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট হুতিদের চারটি ড্রোন এবং একটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।


ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা লজ্জা পাই: শাহবাজ শরিফ

প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শিল্প প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা লজ্জা পাই বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি অধিবেশন চলার সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ কথা বলেন।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন বেশ ছোট ছিলাম তখন আমাদের বলা হতো এটি (বাংলাদেশ) আমাদের কাঁধের বোঝা। আজ আপনারা সবাই জানেন সেই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। এ সময় শাহবাজ আরও বলেন, ‘আমরা যখন তাদের (বাংলাদেশ) দিকে তাকাই তখন আমরা লজ্জাবোধ করি।’

এদিন পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচির সিন্ধু সিএম হাউসে অর্থনীতির উন্নতির উপায় খুঁজতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। ব্যবসায়ী নেতারা এ সময় অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় শাহবাজের সংকল্পের প্রশংসা করলেও, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের ফলে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দেশের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করারও পরামর্শ দেন করাচির ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করারও অনুরোধ জানান।


শাহবাজ শরিফ   পাকিস্তান   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন