নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫১ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২০
করোনা হাসপাতালে দম ফেলার ফুরসত্ ছিল না ভারতের মহারাষ্ট্রের দুই জুনিয়র চিকিৎসকের। অঙ্গরাজ্যটির রাজধানী শহর মুম্বাইয়ের সিওন হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে পিছিয়ে যায় তাদের বিয়েও।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এরমধ্যে মুম্বাইয়ের অবস্থা সবচেয়ে বেশি নাজুক। ফলে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পরস্পরকে আপন করে নিতে পারছিলেন না ডা. রিম্পি নাহারিয়া (২৯) ও ডা. সারজেরাও সোনুনে (৩০)।
করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে বারবার পিছিয়ে যায় এ দুই অ্যানাসথেসিওলজিস্টের বিয়ে। অবশেষে ঠিক হলো বিয়েটা করেই ফেলবেন তারা। তবে বিয়ের সব আয়োজন হবে তাদের কর্মস্থল হাসপাতালেই।
রিম্পি ও সারজেরার বিয়ের গায়ে হলুদ উপলক্ষে ফুল দিয়ে সাজানো হয় হাসপাতালের হোস্টেলের অষ্টম তলা। করোনায় যখন হাসপাতালে শুধুই মৃত্যু আর কান্নার আহাজারি, সেখানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে আনন্দের এক টুকরো বাতাস বয়ে আনল এই বিয়ের অনুষ্ঠান।
চিকিৎসক জুটির বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৩০ জুন তাদের সহকর্মীরা ফুল ও আলোয় সাজিয়ে তুলে হাসপাতাল। অর্ডার দেওয়া বিশেষ খাবারদাবারের।
হরিয়ানার পাত্রী রিম্পি বলেন, আমরা কখনও বিরাট ধূমধাম করে বিয়ে করতে চাইনি। কিন্তু বিয়েতে বিশেষ একটা কিছু করতে চেয়েছিলাম। এই ভাবেই আমাদের বন্ধুরা আমাদের বিয়েটাকে স্পেশাল করে তুলল।
এমডি কোর্স শেষ করে মে মাসে বিয়ে করার কথা ছিল দুইজনের। সেই সময়েই ভারতজুড়ে থাবা বসায় করোনাভাইরাস। ফলে বিয়েট বাতিল করে দিতে হয় তাদের।
ডাক্তার বর সারজেরাও বলেন, যে মহামারিতে সারা পৃথিবী আক্রান্ত, তা যে কবে শেষ হবে, কবে এর থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে, তার কিছুই এখনও বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। সেই কারণেই বিয়েটা সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত।
বিয়ের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র চীন শি জিনপিং অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আসাম বাঙালি মুসলমান
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।
বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইল বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।