ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর মিছিলে ২ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:২৭ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৪৭। এর মধ্যে মারা গেছে ২ লাখ ১৯৭ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ৮৬ জন। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৪। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১৪ হাজার ১৬৫ জন।

অন্যদিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ লাখ ১ হাজার ৩৩৭। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৩৭ জন। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৬৮৫। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনেই মারা গেছে ১ হাজার ১৪৪ জন। দেশটির সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া। অপরদিকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে নিউইয়র্কে। ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬০১। এর মধ্যে মারা গেছে ১৪ হাজার ৬১৫ জন। টেক্সাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৪ হাজার ৮১৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭৩০ জনের। 

ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪৬। এর মধ্যে মারা গেছে ১২ হাজার ৭৮৮ জন। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৩৩ হাজার ১৪১ জন। 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোভিশন সং কনটেস্টে ইসরায়েলি গায়িকা, বিক্ষোভে উত্তাল সুইডেন

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলি এক গায়িকাকে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুইডেন। বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে। ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশটির মালমো শহরের রাস্তায় নামে। এ প্রতিবাদে অংশ নেন বিশ্বব্যাপী পরিচিত পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গণহত্যায় অভিযুক্ত কোনো দেশের প্রতিযোগী এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে না। খবর বিবিসির।

পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতা। ইউরোভিশন সং কনটেস্ট চলাকালে যদি হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানায়, তাহলে তা আয়োজকদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে ও পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে। এক বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তিনি চান ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলকে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক। যেমনটি রাশিয়াকে করা হয়েছিল ইউক্রেনে পুরোদস্তুর রুশ আগ্রাসন শুরুর পর।

সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা ও কেফিয়াহ নিয়ে রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। সে সময় তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে ও ফিলিস্তিনি পতাকার রঙের স্মোক ফ্লেম জ্বালায়। প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন, তারা শনিবার (১১ মে) ফাইনালের আগে আবারও মিছিল করবেন।

জানা গেছে, বুধবার রিহার্সাল করার সময় থেকেই দুয়োধ্বনি শুনে আসছিলেন গোলান। তবে তার বক্তব্য ছিল, তিনি তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত ও কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের পর ‘হারিকেন’ নামক একটি গান গেয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেন গোলান। জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গোলানকে তার গানের নামও বদল করতে হয়েছে। প্রথমে তার গানের নাম ছিল ‘অক্টোবর রেইন’।

গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাসের চালানো হামলার সঙ্গে মিল থাকায় গোলানকে তার গানের নাম বদল করতে বলা হয়। গানের এ প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা হলো ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)। ইবিইউ জানিয়েছে, ইউরোভিশন হলো অরাজনৈতিক সংগঠন।

কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এ বছরের প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনি পতাকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, রাশিয়া ও বেলারুশ যদি নিষিদ্ধ হতে পারে, তাহলে ইসরায়েল কেন নিষিদ্ধ হতে পারবে না।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় গোলানকে শুভকামনা জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সুইডেনে সফলভাবে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলিদের মন জয় করে নিয়েছেন এ গায়িকা।


সুইডেন   বিক্ষোভ   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে এখন পর্যন্ত গাজার হাজারো হাসপাতাল, বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। এই আগ্রাসনে শত শত মসজিদও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত বহু ইমাম এবং ধর্মবিষয়ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৩০০ ইমাম ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। এছাড়া তারা ৫০০ এর অধিক মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে অসংখ্য মসজিদ। এ তালিকায় ঐতিহাসিক আল ওমারি মসজিদও রয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেতনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের এ বর্বরতা থেকে রেহায় পায়নি গির্জাও। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলায় ঐতিহাসিক সেন্ট প্রোফাইরিস গির্জাসহ আরও তিনটি গির্জা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে।

ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাসকে ভেঙে দিতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। তাদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ।

তিনি জানান, ধ্বংসপ্রায় মসজিদেই তারা নামাজ আদায় করছেন। এছাড়া সেখানেই নতুন উদ্যোমে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমও চালু করেছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আমরা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য পাশে চায়। বিশেষ করে আরব বিশ্বের ইসলামী ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমাদের আহ্বান হলো আমাদের জনগণের ওপর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে কাজ করুন।


গাজা   ইসরায়েল   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস

প্রকাশ: ০৭:৫৫ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস হয়েছে সাধারণ পরিষদে। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। পরে বিপুল ভোটে এটি পাস হয়। রায়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিন প্রস্তাবের পক্ষে সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।

বিপুল ভোটে প্রস্তাব পাস হওয়ায় ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার দাবি আরও জোড়ালো হলো। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য এখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত মাসে ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই সেই আবেদন নবায়ন করে পুনরায় জমা দেয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই আজ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব হওয়ায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কিছু অতিরিক্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে ফিলিস্তিন। যেমন, সাধারণ পরিষদের অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘের অন্য সদস্যদের মতো একটি আসন পাবে তারা। তবে ভোট প্রয়োগের কোনো ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে না।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বিস্তৃত করে চলেছে ইসরায়েল। বিষয়টিকে বেআইনি বলে মনে করে জাতিসংঘ। তাই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে বারবার চাপ দিচ্ছে ফিলিস্তিন।


ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুইজ্জুর দাবির মুখে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার ভারতের

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দাবির মুখে দেশটি থেকে ভারতের সব সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লি। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মালদ্বীপ সরকার ভারতকে শুক্রবারের (১০ মে) মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সামরিক সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে ভারত। এর আগে, সোমবার (৬ মে) রাতে অর্ধেকের বেশি সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। দেশটিতে অবস্থান করছিল ৮০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা।

গত বছর নির্বাচনী প্রচারে ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে বড় জয় পান মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। ভারতের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের অভিযোগও তোলে মুইজ্জু সরকার। ক্ষমতায় এসেই নয়াদিল্লিকে দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেয়ার বার্তা দেন তিনি। বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে দেশটি।

মোহাম্মদ মুইজ্জু   নয়াদিল্লি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভোটের আগে জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি (মদ) নীতি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আগামী ১ জুন পর্যন্ত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়েছে। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাকে এ জামিন দিয়েছেন। 

জামিন আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১ জুন লোকসভা ভোটের পর ২ জুন তাকে ফের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

শীর্ষ আদালত বলেছে, আগামী দুই জুন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ফের আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে তার জামিন আদেশের বিস্তারিত শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

গত ২১ মার্চ আবগারি নীতি দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তখন থেকে তিনি তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন।

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে নিজের গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন কেজরিওয়াল। তবে ক্ষমতাসীন বিজেপি এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

তবে লোকসভার আরো চার ধাপ নির্বাচন বাকি থাকায় কেজরিওয়ালের জামিন এবং প্রচারে অংশ নেওয়ার শুরুর অপেক্ষায় দিল্লির রাজনীতিতে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের ভোটে কেজরিওয়ালকে প্রচারে নামতে দেওয়ার জন্য জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করা হয়। তবে আদালত সেই আবেদনের জরুরি শুনানিতে রাজি না হয়ে দুই সপ্তাহ পর তারিখ ধার্য করেছে।

আর এরি মধ্যে শুরু হয়ে যায় ভারতের লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয় দফার ভোট হয়ে গেছে। অবশ্য জামিনের পাওয়ায় আরো চর দফা ভোটের প্রচারে নামতে পারবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য কেজরিওয়ালের জামিন চেয়ে আদালতে দেওয়া পিটিশনের বিরোধিতা করে ইডি। সংস্থাটি আদালতে জানায়, নির্বাচনে প্রচার করতে পারা মৌলিক, সাংবিধানিক এমনকি আইনি কোনো অধিকারের মধ্যে পড়ে না।

বৃহস্পতিবারও ইডির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার শুনানি বিরোধিতা করে বলা হয়, যে কোনো ধরনের ‘বিশেষ ছাড়’ দেওয়া হলে তা ‘আইনের শাসন ও সমতার’ প্রতি হুমকি সৃষ্টি করবে।

কেজরিওয়ালকে ২১ মার্চ গ্রেপ্তার করে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজির করা হলে আদালত তাকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলো।

ওই সময় ইডির হাতে গ্রেপ্তারি ও নিম্ন আদালত থেকে হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে তিহার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন