ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৪ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

করোনাভাইরাস মহামারীতে ভারত নবম মাস অতিক্রম করতে চলেছে। এরই মধ্যে দেশটিতে পাঁচ মিলিয়নের বেশি নিশ্চিত কোভিড-১৯ কেস নিশ্চিত হওয়া গেছে। শনাক্তের দিক থেকে আমেরিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় সব্বোর্চ অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮০,০০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। ভারতের একজন সরকারী বিজ্ঞানী বিবিসিকে জানান ‘সংক্রমনের উচ্চ ধারা’ সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে। তবে সান্ত্বনার ‍দিকটি হলো মৃত্যুর হার বর্তমানে ১.৬৩% যা উচ্চ আক্রান্ত অনেক দেশের থেকে কম।

করোনা রোগী বাড়া কমার বিষয়টি করোনা পরীক্ষার হারের ওপর নির্ভর করে। তবে ভাইরাসটি যে হারে ছড়াচ্ছে তাতে বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ।

প্রথম মিলিয়ন করোনারোগী শনাক্তে ভারতের সময় লেগেছে ১৭০ দিন। সর্বশেষ মিলিয়ন করোনারোগী শনাক্তে সময় লেগেছে মাত্র ১১ দিন। এপ্রিলে যেখানে গড় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো ৬২ সেখানে সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭,০০০ এরও বেশি।

গত সপ্তাহে ভারতে প্রতিদিন ৯০,০০০ এর বেশি করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন গড়ে এক হাজার জন। সাতটি রাজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংক্রমণ বাড়লেও ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে কর্মক্ষেত্র, গণপরিবহনসহ অনান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর লকডাউন মানুষকে বাড়িতে থাকতে, ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল। লক্ষ লক্ষ অনানুষ্ঠানিক শ্রমিক যারা শহরগুলিতে চাকরি হারিয়েছিল তারা পায়ে হেঁটে. বাসে চড়ে এবং ট্রেনে বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছিল ।

এখন পর্যন্ত পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি ভারতীয়কে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে এবং প্রতিদিন এক মিলিয়নেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনও বিশ্বের সবচেয়ে কম পরীক্ষার হারের তালিকায় রয়েছে দেশটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতের আসল সংক্রমনের হার অনেক বেশি। এই পরিস্খিতিতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।  

মহামারীটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োস্টাটিক্স এবং মহামারীবিদ্যার অধ্যাপক ভামার মুখোপাধ্যায় বিবিসিকে বলেন,"আমি মনে করি ভারত ‘হার্ড ইউমিনিটির’ পথে যাত্রা শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত নই যে প্রত্যেকে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্বসহ অনান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করছে কিনা," যদি সকলে মাস্ক পড়া, সামাজিক দুরত্ব মেনেচলাসহ অনান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

তবে, বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ একমত যে কয়েকটি শহর যেখানে সংক্রমণ অতিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে তার একটি অংশ আংশিক বা পুরোপুরি  লকডাউনের আওতায় আনলে আরও ভাল হত।  

বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেছেন, "লকডাউন ব্যর্থ হয়েছিল কারণ গোটা দেশ জুড়ে প্রচুর লোক ঘরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিল, কারণ এছাড়া তাদের কোন বিকল্পও ছিল না। ফলস্বরূপ, ভারতের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

শীত যত ঘনিয়ে আসছে ভারতে করোনা নিয়ে ততই উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে এখন ১৫,০০০ এরও বেশি কোভিড-১৯ চিকিত্সার সুবিধা সম্বলিত এক মিলিয়নেরও বেশি বিছানা রয়েছে। মাস্ক,পিপিই এবং ভেন্টিলেটর এর কোন সংকট নেই বলে জানা গেছে। অক্সিজেন নিয়ে কিছুটা সমস্যা থাকলেও তা অচিরে কেটে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় গণকবর: প্রায় ৪০০ মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে। 

চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।


গাজা   গণকবর   মরদেহ   উদ্ধার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনে নিয়ে ভারতীয়দের উদাসীনতা

প্রকাশ: ০৩:০৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। মোট সাত ধাপে ৪১ দিনব্যাপী ভোট নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ চলছে।  

এই পর্বে মোট ৮৮টি রাজ্যের ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে লড়াই হবে। যেখানে মোট ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ভোটার নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করবেন। 

১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে শুরু হয়েছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। প্রথম পর্বের নির্বাচনে ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ঠিক একই আসনে ২০১৯ সালের নির্বাচনে এবারের তুলনায় চার শতাংশ বেশি ভোট পড়েছিল। ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) এই তথ্য জানিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, ভোটার তালিকা আরও স্বচ্ছ করা দরকার। আর ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। 

প্রথম ধাপের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে মোট ভোটার ছিল ১৬ কোটি। ভোট পড়েছে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ যদিও ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রগুলোতে ভোট পড়েছিল ৭০ শতাংশ। ইসিআই বলছে, তামিলনাড়ু ও উত্তরাখণ্ডসহ ১৯টি কেন্দ্রে আগের নির্বাচনের তুলনায় এবার কম ভোট পড়েছে। 
 
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, তামিলনাড়ুতে ৩ শতাংশ কম ভোট পড়েছে, আর উত্তরাখণ্ডে ভোট কম পড়েছে ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। ভোটের হার কমেছে রাজস্থানেও। সেখানে ভোটের হার কমেছে ৬ শতাংশ। ভোটার উপস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে কম ছিল উত্তর প্রদেশ ও বিহারের কেন্দ্রগুলোতেও।  

সব মিলিয়ে বলা যায়, সামগ্রিকভাবে ভোটার উপস্থিতি কমে গেছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মত রাজনৈতিক দলগুলোরও তেমন কোন মাথাব্যাথা নেই। 

ভোটার উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মাথাব্যাথা না থাকলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন এটাকে 'উল্লেখযোগ্য পতন' বলে অভিহিত করেছে। একই সঙ্গে উদ্বেগ ও আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে। 
 
শুধু উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা জানানোই শেষ কথা নয়। এর পেছনে কারণ উদঘাটন করার চেষ্টা করছেন এবং তা সমাধানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করেছেন।

বিশ্লেকেরা বলছেন, ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়ার একটা বড় কারণ হতে পারে মাত্রাতিরিক্ত গরম ও তাপপ্রবাহ। বেশ কয়েকটি এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দেওয়া ছিল সত্যিই কষ্টকর। অনেকেই এই কষ্ঠ মানতে চাননি। তাই ভোট দিতেও যাননি। অনেক ভোটার অভিযোগ করে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেছেন, 'ভোটকেন্ত্রে পান করার মতো পানির ব্যবস্থাও ছিল না। তীব্র গরমে গলা শুকিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন অনেক ভোটার।' 

বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এখানে ভোটারদের উপস্থিতি বরাবরই কম থাকে। তাই দ্বিতীয় দফার ভোটে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। 

ডেক অব ব্রিয়ুস নামের একটি জনপ্রিয় মদের দোকান ঘোষণা দিয়েছে, ভোট দিয়ে এসে যে প্রথম ৫০ জন কাস্টমার তাদের দোকানে আসবেন তাদের বিনামূল্যে মদ দেওয়া হবে।

এছাড়া ভোটারদের ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার, ভিন্ন ভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁ ভিন্ন সেবা, কিছু জায়গায় বিনামূল্যে কফি, আবার কোথাও দেওয়া হবে দোসা । 

শুধুমাত্র যে খাবারের দোকান ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে তাই নয়। ট্যাক্সি কোম্পানি এমনকি একটি  অ্যামিউজমেন্ট পার্কও ভোটারদের জন্য বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে।

তবে এসব করে কি আসলেও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো সম্ভব? রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ভোটারদের উদাসীনতা কিভাবে সাম্লাবে নির্বাচন কমিশন! রাজনৈতিক দলগুলো হয়তো মানতে চাইবে না, কিন্তু সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যায়, প্রচলিত দল কিংবা নেতাদের প্রতি তাদের মোটেও আস্থা নেই। যার প্রতি আস্থা নেই, তাকে জিতিয়ে আনার জন্য এত কষ্ট করে রোদে পুড়ে ভোট দিতে যাবে কোন আহাম্মক? 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত-বিশ্লেষণগুলো পড়লেও এর সত্যতা মেলে। বেশির ভাগ বিশ্লেকের মতে, রাজনৈতিক দলগুলো এবার প্রচারের ক্ষেত্রে বহু ধরনের বিভাজন সৃষ্টি করেছে। বিরোধীদের গালিগালাজ করে শুধু বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। এসব ভালো চোখে দেখেনি সাধারণ ভোটার। তাছাড়া অনেক নেতার দল বদল করা স্বভাবকেও ভালোভাবে গ্রহণ করেনি ভোটারেরা।

লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।

বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ববিদ্যালয়   ইসরাইল   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে: ম্যাখোঁ

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে। ইউরোপের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিতে প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মহাদেশের মার্কিনিদের অধীন হওয়া উচিত হবে না। এ সময় তিনি বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় অবস্থানের রূপরেখা প্রদান করেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউরোপের সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপীয় একাডেমি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনোভাবে সফল হতে দেওয়া যাবে না।

ম্যাখোঁ বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই কাজে দেবে না। কয়েক দশক ধরে এ খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

ম্যাখোঁ আরও বলেন, অধিক পরিমাণে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। এটি দ্রুত করতে হবে। আর ইউরোপীয়দের জন্য এসব প্রস্তুত করতে হবে। ইউরোপকে দেখাতে হবে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অধীন নয়।

বর্তমানে মার্কিন সামরিক ছত্রছায়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই বলে অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তা মনে করেন।


ইউরোপ   ধ্বংস   ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ   প্রতিরক্ষা শিল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের ওপর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ড্রোন ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। 

বিবিসি জানায়, ইরানের ড্রোনের ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া এই পদক্ষেপ ইরানের এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইরানি মনুষ্যবিহীন আকাশযান গোপনে বিক্রির সুবিধা ও অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে। 

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানি পণ্য চালানের সঙ্গে জড়িত দুটি কোম্পানি ও একটি জাহাজকেও টার্গেট করেছে ওয়াশিংটন।

১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

গত ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের ১৬ জন ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরানের ড্রোন কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।


ইরান   যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন