নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৫ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধ ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিতর্কিত নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চল নিয়ে সংগঠিত দুই দেশের এই যুদ্ধ এরই মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধে সোমবার পর্যন্ত উভয়পক্ষের ৮৪ জন সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১১ জন বেসামরিক নাগরিক (আজারবাইজানের ৯ জন, আর্মেনিয়ার ২ জন)। এ নিয়ে মোট ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আর্টসান হোভান্নিসায়ান অভিযোগ করেছেন, ‘আজারবাইজান বাহিনী কারবাখ ফ্রন্ট লাইনের দক্ষিণ এবং উত্তর-পূর্ব সেক্টরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২০০ সেনা আহত হয়েছেন। অনেকের আঘাত সামান্য হওয়ায় তারা পুনরায় যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে আজারবাইজানের প্রসিকিউটররা বলেছেন, আর্মেনিয়ান বাহিনীর সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যায় আজারবাইজানের অঞ্চলে গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন।
এক বিবৃতিতে আজারবাইজানের প্রসিকিউটররা বলেছেন, আর্মেনিয়ান বাহিনীর সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যায় আজারবাইজানের অঞ্চলে গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন। এ যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন এবং সংলাপে বসতে দুই দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতারাও এই পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর দেশ দুটি স্বাধীন হয়। গত চার দশক ধরে নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চল নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে আছে দুই প্রতিবেশী। নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইনের অংশ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও আর্মেনিয়ার নৃগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়ে গেছে এলাকাটি।
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র চীন শি জিনপিং অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মন্তব্য করুন