নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭
সাম্প্রতিক সময়ের ইউরোপ তথা বিশ্ব ইস্যু নিয়ে আলোচনায় শুরুতেই আসবে কাতালোনিয়া সংকট। স্বাধীন হতে চায় কাতালোনিয়া। এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্পেন। বর্তমানে তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক বেশ জটিল। সংক্ষেপে জানা যাক কাতালোনিয়ার বর্তমান সংকট:
কাতালোনিয়া কী?
স্পেনের উত্তর-পূর্বের একটি অঞ্চল কাতালোনিয়া। নিজস্ব ভাষা, পার্লামেন্ট, পতাকা এবং জাতীয় সংগীত পর্যন্ত আছে কাতালানদের। কাতালোনিয়ায় এমনকি নিজস্ব পুলিশ বিভাগও আছে। আর স্কুল, স্বাস্থ্যসেবার মতো অনেক গণসেবামূলক কার্যক্রম কাতালোনিয়ার মাধ্যমেই পরিচালিত হয়।
তবে এখানেই কাতালোনিয়ার পরিচয় শেষ নয়। গত এক হাজার বছর ধরে স্পেনের সবচেয়ে সম্পদশালী এবং উৎপাদনশীল অঞ্চল এই কাতালোনিয়া।
কেন এই সংকট
কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টে গত ১ অক্টোবর এক গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতার প্রস্তাব গ্রহণ করে, যদিও তা বাতিল করে দেয় স্পেনের আদালত। স্পেনের সরকার শুরু থেকে কাতালোনিয়ার গণভোটের বিপক্ষে ছিল। গণভোটের সময় পুলিশ কাতালানদের বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে ভোটদাতাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ভোটে কাতালোনিয়াবাসীর অংশগ্রহণ ছিল ৪৩ শতাংশ। আর এই ভোটদাতাদের ৯০ শতাংশই স্বাধীনতার পক্ষে মত দিয়েছে।
একনজরে ১ অক্টোবরের কাতালান গণভোট
স্বাধীনতার পক্ষে ((নীল)) ভোট দিয়েছে ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮ জন।
স্বাধীনতার বিপক্ষে (লাল) ভোট দিয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৭ জন।
সাদা ব্যালট বা বাতিল ভোট (সবুজ) ৬৪ হাজার ৬৩২টি।
ভোট দেয়নি (ছাইবর্ণ) ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৩৪৭ জন।
দুই পক্ষের বক্তব্য
কাতালোনিয়ার নেতারা জনসমক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় তবে এর বাস্তবায়নের কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি। কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুজেমন স্পেন থেকে অঞ্চলের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসতে চান। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় কাতালোনিয়া সরকারের কাছে জানতে চেয়ে তারা প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে কিনা।
পরবর্তীতে কী হতে পারে
কাতালোনিয়ার উত্তরের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। এই উত্তরের ওপর নির্ভর করেই মাদ্রিদ সরাসরি ওই অঞ্চলের শাসনভার গ্রহণ করতে পারে। এতে বর্তমানে থাকা অনেক সুবিধাই হারাতে পারে কাতালোনিয়া। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ বর্তমানে কাতালানরা যেসব গণসেবা কার্যক্রমে স্বাধীনতা ভোগ করছে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এই সংকট কেন গুরুত্বপূর্ণ
কাতালোনিয়া সংকট সশস্র সংগ্রামের রূপ নিবে এমন ধারণা অমূলক। এমন কোনো সংকেতও দেখা যাচ্ছে না। তবে কাতালোনিয়া এবং স্পেনের অর্থনীতিতে যে ক্ষতিগ্রস্ত তা নিশ্চিত। একই সঙ্গে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে ইউরোজোনে।
একই সঙ্গে কাতালোনিয়ার অবস্থা থেকে সতর্ক হয়ে যাবে ইউরোপের স্বাধীনতাকামী অন্যান্য অঞ্চল।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন