নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৭ পিএম, ১৮ জুন, ২০২১
লড়াই–সংঘাত, নির্যাতন–নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার শিকার হয়ে বিশ্বে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা গত এক দশকে দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছরের শেষ নাগাদ এমন মানুষের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ২৪ লাখ (৮২ দশমিক ৪ মিলিয়ন)।
শুক্রবার (১৮ জুন) জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে গত বছর আমাদের অধিকাংশ মানুষের চলাচল বাস্তবিক অর্থেই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যেই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে অতিরিক্ত ৩০ লাখ (৩ মিলিয়ন) মানুষ।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বিষয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর যে অতিরিক্ত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের প্রায় ৭০ শতাংশই উদ্বাস্তু হয় মাত্র পাঁচটি দেশ থেকে। দেশগুলো হলো সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান ও মিয়ানমার।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, বাস্তুচ্যুতির শিকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে নতুন করে যেসব অঞ্চল ভূমিকা রাখছে, তার মধ্যে উত্তর মোজাম্বিক, পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল ও ইথিওপিয়ার তাইগ্রে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া উদ্বাস্তুর সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই ভূমিকা রাখছে আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার দীর্ঘদিনের সংঘাত।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘উদ্বাস্তু হওয়ার ক্রমবর্ধমান ধারা দুর্ভাগ্যজনকভাবে অব্যাহত আছে। তাই আমরা যদি বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা হালনাগাদ করি, তবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা উল্লিখিত ৮ কোটি ২৪ লাখের সঙ্গে যুক্ত হবে। তাতে মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।’ তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শিকার মানুষের প্রায় ৪২ শতাংশ শিশু।
বৈশ্বিক রাজনীতিতে লোকরঞ্জনবাদ ও জাতীয়তাবাদের ধারণার উত্থান ঘটার মধ্যে বিশ্বনেতাদের প্রতি ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া লোকজনকে অস্পৃশ্য হিসেবে বিবেচনা না করার আহ্বান জানান। কেননা, উদ্বাস্তু হয়ে আসা ব্যক্তিরাও মানুষ। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢলের পেছনে উদ্দেশ্য যা–ই থাকুক না কেন, তাঁরা অন্য সবার মতোই পূর্ণ মর্যাদা পাওয়ার অধিকারী।
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন