নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ২১ জুলাই, ২০২১
ইউক্রেনকে এড়িয়ে সরাসরি জার্মানিতে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে প্রায় প্রস্তুত এক পাইপলাইন৷ এই বিতর্কিত প্রকল্প নিয়ে মতবিরোধ কাটাতে জার্মানি ও আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে৷
একদিকে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের বেড়ে চলা সংঘাত, অন্যদিকে সে দেশ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরাসরি গ্যাস আমদানির তোড়জোড় – এমন বৈপরীত্য সামলাতে জার্মানি হিমসিম খাচ্ছে৷ বিশেষ করে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে সে দেশের মধ্য দিয়ে পশ্চিম ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের কতটা লাভ হবে, সেই বিষয়টিও ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ নামের প্রকল্পের উপর কালো ছায়া ফেলেছে৷ সে ক্ষেত্রে ইউক্রেন আর ‘ট্রানজিট ফি’ বাবদ কোনো অর্থ পাবে না৷
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমল থেকেই দলমতনির্বিশেষে আমেরিকার রাজনীতিকরা এই প্রকল্প বর্জন করার জন্য জার্মানির উপর চাপ দিয়ে আসছিল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি এমনকি খোদ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দলের মধ্যেও এই প্রকল্পের বিরোধীর সংখ্যা কম নয়৷ ম্যার্কেল নিজে এই প্রকল্পকে বাণিজ্যিক হিসেবে গণ্য করে প্রকল্পের কাজ শেষ করার উপর জোর দিয়ে আসছেন৷ এবার আমেরিকার সঙ্গে রফার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠায় বাল্টিক সাগরের নীচ দিয়ে গ্যাস পাইপলাইনের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শেষ হতে পারে৷ উল্লেখ্য, প্রায় ১,১০০ কোটি ডলার মূল্যের এই পাইপলাইনের প্রায় ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে৷
জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে শেষ ওয়াশিংটন সফরে ম্যার্কেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কিত এই প্রকল্প নিয়ে একটা রফার চেষ্টা শুরু করেছিলেন৷ এবার সেই বোঝাপড়া সম্পর্কে আরও খবর জানা যাচ্ছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র রয়টার্স, এপি ইত্যাদি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, যে রাশিয়া যদি ইউক্রেন বা পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি মস্কোর বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপ নিতে পারবে৷ বাইডেন প্রশাসন প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা চাপানোর অধিকারও ছাড়বে না৷ এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় এই বোঝাপড়া চূড়ান্ত রূপ পাবে৷ সেইসঙ্গে জার্মানি একশো কোটি ডলার অংকের নতুন এক তহবিলে অর্থ দিয়ে ইউক্রেনকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াশিংটন এখনো এই পাইপলাইন প্রকল্পকে জার্মানি ও ইউরোপের জন্য খারাপ চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে৷ তবে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সেই প্রকল্প বন্ধ করার সম্ভাবনা কম৷ তার চেয়ে হাতিয়ার হিসেবে রাশিয়ার জ্বালানি প্রয়োগের সম্ভাবনা বন্ধ করার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন৷ প্রাইস অবশ্য জার্মানির সঙ্গে সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেন নি৷ জার্মানি কিছু প্রস্তাব পেশ করেছে বলে তিনি স্বীকার করেন৷ মার্কিন সংসদে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান দলের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে বোঝাপড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন৷ সব পক্ষ রাজি হলে এমনকি বুধবারই জার্মানির সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে কিছু সূত্র মনে করছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।
বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইল বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে। ইউরোপের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিতে প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মহাদেশের মার্কিনিদের অধীন হওয়া উচিত হবে না। এ সময় তিনি বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় অবস্থানের রূপরেখা প্রদান করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউরোপের সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপীয় একাডেমি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনোভাবে সফল হতে দেওয়া যাবে না।
ম্যাখোঁ বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই কাজে দেবে না। কয়েক দশক ধরে এ খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
ম্যাখোঁ আরও বলেন, অধিক পরিমাণে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। এটি দ্রুত করতে হবে। আর ইউরোপীয়দের জন্য এসব প্রস্তুত করতে হবে। ইউরোপকে দেখাতে হবে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অধীন নয়।
বর্তমানে মার্কিন সামরিক ছত্রছায়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই বলে অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তা মনে করেন।
ইউরোপ ধ্বংস ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিরক্ষা শিল্প
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ড্রোন ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
বিবিসি জানায়, ইরানের ড্রোনের ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া এই পদক্ষেপ ইরানের এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইরানি মনুষ্যবিহীন আকাশযান গোপনে বিক্রির সুবিধা ও অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানি পণ্য চালানের সঙ্গে জড়িত দুটি কোম্পানি ও একটি জাহাজকেও টার্গেট করেছে ওয়াশিংটন।
১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
গত ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের ১৬ জন ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরানের ড্রোন কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে।