ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেগাসাসের জন্য অনেক মানুষ রাতে ভালো করে একটু ঘুমাতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৮ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

ইসরায়েলের সাবেক সাইবার গোয়েন্দাদের হাত ধরে ২০১০ সালে গড়ে ওঠা এনএসও গ্রুপ এবার তাদের নির্মিত বিতর্কিত সফটওয়্যার পেগাসাসের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে এ ধরনের প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ার কারণেই বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে এবং রাস্তায় নিশ্চিতে চলাচল করতে পারে।

আজ শনিবার (২৪ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বের প্রভাবশালী ১৭টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি একযোগে এই খবর প্রকাশ করে যে এনএসএ গ্রুপের তৈরি এই সফটওয়্যার ব্যাবহার করে বিশ্বের অন্তত ৪৫টি দেশে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। এর ফলে নড়েচড়ে বসে বিশ্ব।

২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে এনএসও গ্রুপ বলেছিল, গুরুতর অপরাধ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধের বাইরে কাজে লাগানোকে এর অপব্যবহার হিসেবে বিবেচনা করে তারা, চুক্তিতেও তার উল্লেখ রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল, ‘কোনো ধরনের অপব্যবহার ধরতে পারলে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এই প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য মানবাধিকার রক্ষা, তার মধ্যে রয়েছে জীবনযাপনের অধিকার, নিরাপত্তা, ব্যক্তির চলাচলের স্বাধীনতা। সে কারণে আমরা ব্যবসা ও মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের নির্দেশনার মূলনীতিগুলো মেনে চলার চেষ্টা করেছি, যাতে সব মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের পণ্যগুলো পরিচালিত হয়, সে জন্য এই প্রচেষ্টা।’

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, নজরদারির এই প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করে না। এ ছাড়া গ্রাহকদের সংগৃহীত তথ্য তাদের দেখার সুযোগ নেই।

এনএসও গ্রুপের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ রাতে ভালোভাবে ঘুমাচ্ছে এবং রাস্তায় নিরাপদে চলাচল করছে। এ জন্য পেগাসাস ও এ ধরনের প্রযুক্তিকে ধন্যবাদ। কারণ, সেগুলো বিশ্বজুড়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ ও শিশু যৌন নিপীড়ক চক্রকে প্রতিরোধ ও তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানে সাহায্য করছে। এসব চক্র এনক্রিপটেড অ্যাপগুলোর ছায়ায় থেকে গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

ওই মুখপাত্র আরও বলেন, বিশ্বের আরও অনেক সাইবার ইন্টেলিজেন্স কোম্পানির সঙ্গে মিলে এনএসও বিভিন্ন দেশের সরকারকে সাইবার জগতে গোয়েন্দাগিরির টুল সরবরাহ করেছে। কারণ, সারা বিশ্বের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অন্ধকারে ছিল। তাদের কাছে এমন কোনো সমাধান ছিল না, যাতে তারা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নজরদারি করতে পারে।

‘একটি নিরাপদ বিশ্ব’ গড়তে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্ট করছেন বলে দাবি করেন এনএসও গ্রুপের ওই মুখপাত্র।

ভারতের কাছে এই স্পাইওয়্যার বিক্রি করা হয়েছে কি না, সে বিষয় নিশ্চিত বা নাকচ কোনোটিই সে সময় করেনি এনএসও গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল, ‘সন্ত্রাস ও গুরুতর অপরাধ বিষয়ে অনুসন্ধান এবং তা প্রতিরোধের লক্ষ্যেই সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকেই তাদের পণ্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।’

সাম্প্রতিক বিতর্কের মধ্যে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে ইসরায়েল সরকার। তা ছাড়া এই স্পাইওয়্যার ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়ার পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে এনএসও গ্রুপের প্রধান নির্বাহী শালেভ হুলিও বলেছেন, ‘তদন্ত হলে খুবই খুশি হব। কারণ, আমরা নিজেদের বিষয় স্পষ্ট করার সুযোগ পাব।’

এনএসও গ্রুপের গ্রাহক বিভিন্ন কর্তৃত্ববাদী দেশের সেনাবাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থা। বিভিন্ন ব্যক্তির ফোনে আড়ি পেতে তাঁদের সংগৃহীত তথ্য ইসরায়েলি গোয়েন্দারা ‘ব্যাকডোর’ দিয়ে দেখতে পান বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৬২ ডিগ্রি তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে ব্রাজিলে!

প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের শুরুতেই রেকর্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটির রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিন্তু মানুষ এখন প্রায় সাড়ে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে।

সোমবার(১৮ মার্চ) দেশটিতে গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে সোমবার সকালে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দফতর বলেছে, মানুষ যে উত্তাপ অনুভব করছে তার বিচারে ফিলস লাইক টেম্পারেচার ৬২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তীব্র গরমের কারণে রিও ডি জেনেরিওতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ ও বেশ কিছু অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে শত শত মানুষ ভিড় জমিয়েছেন কোপাকাবানা ও ইপানেমা সমুদ্র সৈকতে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শুধু আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড করা তাপমাত্রা দিয়ে গরমের তীব্রতা বিচার করলে হবে না। এর সঙ্গে আদ্রতাসহ বেশ কিছু জিনিস বিবেচনায় নিতে হবে। সেসব জিনিস বিবেচনায় নিলে রিও ডি জেনেরিওর মানুষ এখন প্রায় সাড়ে ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভব করছে।

তবে, ব্রাজিলের একদিক তীব্র তাপে পুড়ে গেলেও দেশের দক্ষিণাঞ্চল ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত। দেশটির আবহাওয়া সংস্থা মেটসুল জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহটি দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সপ্তাহজুড়েই তীব্র ঝড়–বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 


তাপমাত্রা   ব্রাজিল   আবহাওয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ৩ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষ-অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে: আইপিসি

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

টানা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার এই হামলার জেরে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজার ফিলিস্তিনিরা ‘দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের একটি সংস্থা।

সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি সংস্থা মন্তব্য করেছে, গাজার ফিলিস্তিনিরা ‘দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে বলে । এমন অবস্থায় গাজার বিপর্যয়কর খাদ্য ঘাটতির মানে আরও ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু আসন্ন।

এমনকি দুর্ভিক্ষ-অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন ৩ লাখ ফিলিস্তিনি। এই অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে ভূখণ্ডটিতে যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড-সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার কিছু অংশে চরম খাদ্য ঘাটতি ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধের কারণে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ করা না হলে সেখানে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু আসন্ন বলে আইপিসি সোমবার জানিয়েছে।

জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার তথ্যের ওপর নির্ভর করে প্রস্তুত করা নিজেদের মূল্যায়নে ইন্টিগ্রেটেড ফুড-সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশের ৭০ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে মারাত্মক স্তরের খাদ্য ঘাটতিতে ভুগছে। মূলত কোনও অঞ্চলে ২০ শতাংশ মানুষ এই মাত্রায় খাদ্যসংকটে থাকলে তাকে দুর্ভিক্ষ বলে বিবেচনা করা হয়। আর গাজার এই অঞ্চলে সেই অবস্থার ৩ গুণেরও বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছেন।

আইপিসি বলেছে, তাদের কাছে মৃত্যুর হারের পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তবে সংস্থাটির অনুমান, দুর্ভিক্ষের কারণে যে হারে মানুষ মরতে শুরু করে, গাজায়ও সেই পরিস্থিতি শুরু হয়ে যাবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্ষুধা, অপুষ্টি আর বিভিন্ন রোগে সাধারণত প্রতি ১০ হাজার জনে দুজন মারা যায়। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টিতে এ পর্যন্ত ২৭ জন শিশু ও তিনজন প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যু হয়েছে।

আইপিসি বলছে, ‘দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন, তার মধ্যে গাজার সমগ্র জনসংখ্যার জন্য মানবিক সহায়তার প্রবেশের পাশাপাশি ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড শুরুর করাটা উল্লেখযোগ্য এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও প্রয়োজন।’

সংস্থাটি বলছে, সব মিলিয়ে গাজার ১১ লাখ মানুষ খাদ্যের ‘বিপর্যয়কর’ ঘাটতিতে রয়েছে এবং ভূখণ্ডটির প্রায় ৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।

মূলত গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের এই আশঙ্কার ফলে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। ইইউর পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল ব্রাসেলসে এক কনফারেন্সে বলেছেন, ‘গাজায় আমরা এখন আর দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নেই। আমরা দুর্ভিক্ষের ভেতরেই রয়েছি... অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইসরায়েল দুর্ভিক্ষকে উস্কে দিচ্ছে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, বোরেলের উচিত ‘ইসরায়েলে আক্রমণ করা বন্ধ করা এবং হামাসের অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া’।

এর আগে ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) জানায়, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে।

সংস্থাটি সতর্ক করে আরও জানায়, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরলস ইসরায়েলি বোমা হামলার সম্মুখীন হওয়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আইপিসি রিপোর্টকে ‘ভয়ঙ্কর অভিযোগ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজার সমস্ত অংশে সম্পূর্ণ এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, তিনি সতর্কতার সাথে প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করবেন। তিনি বলছেন, এটি স্পষ্ট সেখানে স্থিতাবস্থা টেকসই নয়। দুর্ভিক্ষ এড়াতে আমাদের এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।


গাজা   ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ   দুর্ভিক্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজা চার্লসের ভুয়া মৃত্যুর খবর

প্রকাশ: ১১:৩৮ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি মারণব্যধি ক্যান্সার ধরা পড়েছে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। তবে, এরই মধ্যে রাজা চার্লসের মৃত্যুর ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে রুশ গণমাধ্যমে। পরে অবশ্য রাজার বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি বিবৃতি দিয়েছে মস্কোর ব্রিটিশ দূতাবাস।

সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে ডেইলি মেইল জনিয়েছে, সোমবার রাশিয়ার গণমাধ্যম ও তাদের পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে রাজা তৃতীয় চার্লসের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘গ্রেট ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ৭৫ বছর বয়সে মারা গেছেন’।

এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে রাজার আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে বাকিংহাম প্যালেসের দেয়া একটি ভুয়া বিবৃতিও ভাইরাল হয়।

এ ঘটনার পর রাশিয়ায় অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাস তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে, ‘গ্রেট ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের মৃত্যুর খবরটি ভুয়া।’

এরপরই ইউক্রেনের ব্রিটিশ দূতাবাসও একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আপনাদের জানাতে চাই, রাজা তৃতীয় চার্লসের মৃত্যুর খবরটি ভুয়া।’

এদিকে অবশ্য খবরটি প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই স্পুটনিক আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে জানানো হয়, রাজা আসলে মারা যাননি। রাজপরিবারের ওয়েবসাইট বা ব্রিটিশ গণমাধ্যমে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।'

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে জানায়, রাজা তৃতীয় চার্লসের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। দ্রুতই তিনি সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। এ বিষয়ে তার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের রাজা হিসেবে অভিষেক হয় ৭৫ বছর বয়সী রাজা চার্লসের।
 


ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস   সম্প্রতি মারণব্যধি ক্যান্সার   ভুয়া মৃত্যুর খবর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাখাইনের রাথিডং শহর দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের কাছ থেকে রাখাইন রাজ্যের রাথিডং শহর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। দুই সপ্তাহের তুমুল লড়াইয়ে টিকতে না পেরে গত রোববার রাতে জান্তা বাহিনীর অন্তত ২০০ সেনাসদস্য অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে গেছেন।

এদিকে গত রোববার রাতে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে রাখাইনে ৩৩ মিনিটে ২১টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কেঁপে ওঠে এপারের টেকনাফ সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম।

মিয়ানমারের নির্বাসিত সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী গতকাল সোমবার রাথিডং শহর আরাকান আর্মির দখলে যাওয়ার খবর জানায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেতার ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’ও এই খবর জানিয়েছে।

ইরাবতীর খবরে আরাকান আর্মির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জান্তাবাহিনী তাদের দখলে থাকা এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কন্সক্রিপশন (সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য) আইনের আওতায় যোগ দেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। স্থল ও সমুদ্রপথের পাশাপাশি আকাশপথেও বোমাহামলা চালাচ্ছে। তবে রাথিডংয়ে টিকতে পারেনি জান্তা বাহিনী। আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা লড়াইয়ে হেরে জান্তার তিনটি আলাদা পদাতিক বাহিনীর সদর দপ্তরে মোতায়েন করা অন্তত দুই শ সেনা সদস্য নৌকাযোগে পালিয়েছেন। যাওয়ার সময় অস্ত্রশস্ত্র ফেলে গেছেন তাঁরা।
এদিকে, প্রথম আলোর টেকনাফ প্রতিনিধি স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে রাখাইনে গত রোববার সন্ধ্যায় আরাকান আর্মি নাকপুরা এলাকার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সেক্টরে হামলা চালায়। বিজিপিও পাল্টা জবাব দেয়।



মিয়ানমার   জান্তা সরকার   রাখাইন রাজ্য   রাথিডং শহর   দখল   আরাকান আর্মি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান-আফগানিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলা

প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

ইসলামাবাদভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব পিস স্টাডিজের (পিআইপিএস) পরিচালক মুহাম্মদ আমির রানা বলেছেন, রমজান মাসে পাকিস্তান তালেবান বা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর আক্রমণ চালানো অস্বাভাবিক কিছু নয়।

তিনি বলেন, যেকোনো হুমকির বিষয়ে পাল্টা জবাব দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে সামরিক বাহিনী। টিটিপির (পাকিস্তান তালেবান) মদদদাতা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে আফগান তালেবানের। তাদের নিজস্ব সদস্যরা পাকিস্তানের ভেতরে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার উদাহরণ রয়েছে।

ইসলামাবাদে নিযুক্ত এক পশ্চিমা কূটনীতিক আলজাজিরাকে বলেছেন, মনে হচ্ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা সম্পর্কের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, একটা বিষয় নিশ্চিত যে পাকিস্তান ও আফগান তালেবানের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। পাক সরকার ভেবেছিল যে তারা বিচক্ষণ বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে।

২০২১ সালে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। দুই মুসলিম প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। ২০২২ সালের এপ্রিলে কাবুল জানায়, দেশটির পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তানি বিমান হামলায় ৪৭ জন নিহত হয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সকালে সীমান্ত এলাকায় লুকিয়ে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা পাকিস্তানি তালেবানের কমান্ডারদের আস্তানা নিশানা করে পাকিস্তানি বাহিনী প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। কারণ এই সংগঠন সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও মদদ দিয়ে যাচ্ছে।

তবে গত শনিবার (১৬ মার্চ) আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় একটি সামরিক চৌকিতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় সাত পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে নবগঠিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জয়শ-ই-ফুরসান-ই-মুহাম্মদ। সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন পাকিস্তানি তালেবানের নেতা হাফিজ গুল বাহাদুর। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলার সঙ্গে সোমবারের পাকিস্তানের হামলার যোগসূত্র রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলা আফগান মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের বেশিরভাগই আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত হচ্ছে।

তবে ইসমলাবাদের এমন একটি অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে আসছে আফগান তালেবান সরকার। তারা বলছে, পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশে সাধারণ মানুষের বাড়িতে হামলা করেছে। এই হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে।

পরবর্তীতে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সোমবার সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের কুররাম জেলা হাসপাতাল প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তের ওপার থেকে গোলাবর্ষণে পাকিস্তানের অন্তত চার বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে।

এক পাকিস্তানি কর্মকর্তা আলজাজিরাকে বলেছেন, সকাল থেকে মর্টার শেল ছোড়া শুরু হয়। এটা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। আমরা একটি জেলা হাসপাতালে চারজন আহত বেসামরিক নাগরিককে পেয়েছি। তাদের সবার অবস্থা সবাই স্থিতিশীল। চিকিৎসা দিয়ে তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কুররাম জেলার সামরিক সূত্রে জানা গেছে, গোলাগুলির কারণে কমপক্ষে তিন সেনা আহত হয়েছেন।



পাকিস্তান   আফগানিস্তান   পাল্টাপাল্টি হামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন