নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০২ অগাস্ট, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘করোনা সংকটের মধ্যেই বন্যা শুরু হওয়ায় মানুষ এখন দিশেহারা। বহু মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের খাবার নেই, থাকার জায়গা নেই। এর উপরে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগব্যধি। এই মানুষগুলোর দিকে সবাই একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করুন। প্রশাসনের পাশাপাশি ধনবান ব্যক্তিদের উচিৎ এই মানুষগুলোকে মাস্ক, বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার দিয়ে সাহায্য করা।’ বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একে করোনা, তার উপর বন্যা। সব মিলিয়ে একটা জটিল অবস্থা তৈরি হয়েছে। বহু মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে, অনেকে আবার নিজের ঘরেই বন্দি। অনেকে আবার দেখা যাচ্ছে গৃহ পালিত পশু নিয়ে একসঙ্গেই পানিতে ভাসছেন। খাবারের অভাবে দিন কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি পাওয়াটাও দুষ্কর। মানুষ বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার না পাওয়ার বিভিন্ন রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।’
প্রবীণ এই চিকিৎসক বলেন, ‘বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিভিন্ন অসুখ বিসুখের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। যেমন- টাইফয়েড, প্যারা টাইফয়েড, জন্ডিস, আমাশয় বা ডায়রিয়া জনিত রোগ, পেটের পীড়া ইত্যাদি হতে পারে। এ ছাড়াও বুকে ভাইরাল ইনফেকশন হতে পারে। নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, হাপানি বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, পানিবন্দি মানুষ এই সময়টায় নোংরা পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে তারা নানা রকম চর্মরোগেও ভুগতে পারে। চুলকানি, অ্যালার্জি এ ধরনের চর্মরোগ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে শিশুরা। বয়স্ক মানুষ এবং গর্ভবতী মায়েদের ঝুঁকিটা আরও বেশি।
প্রধানমন্ত্রীর এই মুখ্য চিকিৎসক বলেন, ‘বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোতে প্রশাসনকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও দেওয়া যেতে পারে। ওরস্যালাইন, কিছু ওষুধ তাদের ত্রাণের সাথে দেওয়া উচিৎ।’
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বন্যার মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করাটা অনেকের পক্ষেই অসম্ভব। তারপরও যতটা পারা যায় পরিষ্কার পানিতে গোসল করতে হবে। তাহলে চর্মরোগ এড়ানো সম্ভব হবে।’
করোনা মাঝে বন্যার্তদের করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, বন্যায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আছেন। করোনার ঝুঁকি নিয়েই এক সঙ্গে অনেক মানুষ থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। বাস্তবতার কারণেই সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মানাটা কঠিন। তারপরও সবাইকে যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব মানার চেষ্টা করতে হবে। মাস্ক পড়ে থাকতে হবে। প্রশাসনের এদিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি যারা ধনবান, হৃদয়বান ব্যক্তি আছেন, তাদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তারা চাইলেই বহু মানুষকে মাস্ক, খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করতে পারেন।
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘শুধুমাত্র প্রশাসন বা সরকারের পক্ষে পুরো বিষয়টা সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ যে যার মতো করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের একটু সাহায্য বিপর্যয়ের মাঝেও এই মানুষগুলোকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।