নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘ঈদুল আযহার পর থেকেই আমরা লক্ষ্য করছি করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছে। রাস্তায় ভিড় বাড়ছে। সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে মানুষ গা ঘেষাঘেষি করে চলাফেরা করছে। এমন অবস্থায় দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আসার শঙ্কা প্রবল হচ্ছে।’ বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। ঈদের পর তারা আবার কর্মস্থলে যোগ দিতে শহরমূখী হচ্ছে। এই আসা যাওয়ার পথে খুব কম মানুষই স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনেছে। ফলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকি ছিলই। আর এখন ঈদের পর আবারও কর্মব্যস্ত হচ্ছে শহরগুলো। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার প্রবণতাও বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধির প্রতিও উদাসীনতা চলে এসেছে। ফলে আমাদের দেশের করোনা সংক্রমণ আরও প্রকট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দেশে ঈদের আগেও পরীক্ষা বিবেচনায় প্রতিদিন ২০ শতাংশের বেশি মানুষ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছিল। সুতরাং ঈদের আগে সংক্রমণ কম ছিল সেটা বলার সুযোগ নেই। তার উপরে এখন মানুষের মধ্যে গা ছাড়া ভাব চলে এসেছে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ার বদলে খারাপ হতে পারে বলে মনে হচ্ছে।’
প্রবীণ এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্র, ইতালিসহ বেশ কিছু দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ এসেছে। এসব দেশে দেখা গেছে যে, সংক্রমণ যখন একটু কমতে শুরু করেছিল, তখনই মানুষ করোনা নিয়ে ভয়ডর ঝেড়ে ফেলে বাইরে বের হয়ে এসেছিল। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে প্রতিপালনও করেনি। এর ফলে সে সব দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও এখন দেখতে পাচ্ছি করোনা নিয়ে মানুষের ভয় কেটে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে মানুষ দেখছে, সংক্রমণের সংখ্যাখুব একটা বাড়ছে না, মৃত্যুও হচ্ছে একই হারে। তাছাড়া করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও একের পর এক সুখবর আসছে। এ বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এসব খবর মানুষের মধ্যে সাহস তৈরি করছে। এই সাহসটাই অনেক ক্ষেত্রে আমাদের উদাসীন এবং অসচেতন করে তুলছে। সমস্যাটা এখানেই।’
প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ‘এখন আমাদের অসচেতন এবং উদাসীন হওয়ার সময় নয়। বরং এখন আরও বেশি করে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কারণ অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজার হাট যান বাহন সবকিছুই এখন স্বাভাবিক নিয়মে চলতে শুরু করেছে। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি করে বাইরে বের হচ্ছে। ফলে এখন করোনা ছড়ানোর শঙ্কা আগের চেয়েও বেশি। এজন্য আমাদের প্রত্যেককে আরও সচেতন হতে হবে। মাস্ক পড়তেই হবে। সাবান পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার ২০ সেকেন্ড করে হাত ধুতে হবে। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্বটাও বজায় রাখতে হবে। এরপরও কারও যদি করোনার লক্ষণ উপসর্গ দেখা দেয় তাকে পরীক্ষা করাতে হবে। কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন আগের নিয়মেই প্রতিপালন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আমরা যদি শিথিলতা দেখাই সেটা হবে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনার সামিল।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।