নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন যে, বঙ্গবন্ধুই চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড মর্যাদা দিয়েছিলেন। এর আগে চিকিৎসকরা প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসার হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন না। বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় ডা. এবিএম আবদুল্লাহ এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর কারণেই চিকিৎসকদের আজকের এই অবস্থান হয়েছে। তিনি যেমন চিকিৎসকদের মর্যাদা দিয়েছিলেন তেমনি চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থাও করেছিলেন। ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন যে, আগে বাংলাদেশে চিকিৎসকদের জন্যে উচ্চ শিক্ষার কোন ব্যবস্থা ছিল না এবং উচ্চ শিক্ষার জন্যে তাঁদেরকে লন্ডন বা বিদেশের কোন দেশে যেতে হতো। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশেও এই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছিলেন এবং এই কারণে আজকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বা তৎকালীন পিজি হাসপাতালকে তিনি উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এই উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন বলেই আজ প্রচুর চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ হিসেবে বের হচ্ছেন এবং জনগনকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য প্রচুর চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী দরকার এবং আমাদের স্বাধীনতার পরপরই তিনি এই উদ্যোগটি এই কারণে গ্রহণ করেছিলেন।’
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন যে, জাতির পিতা চেয়েছিলেন চিকিৎসকরা গরীবের সেবা করুক, জনগনের সেবা করুক এবং তাঁদের মাঝে একটি মানবিক বোধ জাগ্রত হোক।
তিনি বলেন যে, আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখি তাহলে দেখবো যে, সেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, কার টাকায় তুমি ডাক্তার, কার টাকায় তুমি ইঞ্জিনিয়ার? গরীব মানুষের টাকায় এবং গরীব মানুষের জন্যে তিনি চিকিৎসকদের কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু একদিকে যেমন চেয়েছিলেন চিকিৎসকরা মর্যাদা পাক, চিকিৎসকরা দক্ষ হয়ে উঠুক, বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠুক। পাশাপাশি তিনি চেয়েছিলেন যে, এই চিকিৎসকরা যেন গরীব মানুষের জন্যে কাজ করে, গরীব মানুষের সেবা করেন। আর এজন্যেই বঙ্গবন্ধু একদিকে তৃণমূল পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবাকে বিস্তৃত করতে চেয়েছিলেন, অন্যদিকে তিনি বিশেষায়িত হাসপাতালের ব্যাপারেও পরিকল্পনা করেছিলেন।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘তিনি কতটা বিচক্ষণ ছিলেন যে তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে বাংলাদেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বিষয়টা ভেবেছিলেন। আবার বঙ্গবন্ধু থানা হেলথ কমপ্লেক্স যেটাকে আমরা উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স বলি, সেটিরও পরিকল্পনা করেছিলেন এবং সেটিও গঠন করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো তৃণমূলে আরো স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের সময়ের জন্য সেটি করতে পারেননি। তার এই তৃণমূলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতেন। আর এ কারণেই তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন।’
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, জাতির পিতার স্বাস্থ্য ভাবনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো জনগন। তিনি যেমন চেয়েছিলেন প্রচুর ডাক্তার হবে। ডাক্তাররা মর্যাদাবান হবেন। ডাক্তারদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এই ডাক্তাররা প্রান্তিক পর্যায়ের জনগনকে বিনামূল্যে সেবা দেবেন। রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। আর এটির জন্যই তিনি এক সুবিন্যাস্ত কর্মপরিকল্পনা এঁকেছিলেন। কিন্তু সেই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ণ করার আগেই পঁচাত্তরের ঘাতকরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে হয়তো আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।