নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৮ অক্টোবর, ২০২০
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন ‘ক্ষমতাসীন পিতার দম্ভেই ইরফান সেলিমের মতো দানব তৈরী হয়। এটা পিতার ব্যর্থতা, সরকার বা দলের নয়।’ দেশের সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ইরফান সেলিম কান্ড নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন ‘ইরফান সেলিম যে কান্ড করেছে, তা অনাকাংখিত, অনভিপ্রেত এবং ক্ষমার অযোগ্য। এই ঘটনার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠিনতম ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। আইনের দ্রুত এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তিনি অপকর্মকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।’ জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন ‘এটা কেবল হাজী সেলিম বা ইরফানের জন্য নয়, পুরো আওয়ামী লীগের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পষ্ট বার্তা। এরকম ক্ষমতার দম্ভে যারা দেখান, তাদের এখনই ভালো হয়ে যেতে হবে।’ নানক বলেন ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বার বার অপকর্ম, দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্সের কথা জানান দিচ্ছেন। কিন্তু ক্ষমতার দম্ভে আওয়ামী লীগের পরিচয় বহনকারী কিছু ব্যক্তির কানে যেন এই বার্তা যাচ্ছে না। যারা শেখ হাসিনার সংকেত বুঝতে পারেন নি, ইরফানের ঘটনায় হয়তো তাদের ঘুম ভাঙ্গবে।’
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি একদিকে যেমন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কাজ করছেন, অন্যদিকে তিনি দুর্নীতি, অনিয়ম বন্ধে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগে আওয়ামী লীগকে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন ‘শুধু আনুষ্ঠানিক মিটিং নয়, অপকর্মকারী দানবদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে এব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন ‘এব্যাপারে আমাদেরও ব্যর্থতা আছে। ইরফান একদিনে তৈরী হয়নি। তার অতীত কর্মকান্ড কেন আমাদের নজরে আসেনি, তা খতিয়ে দেখতে হবে। ঘটনা ঘটার পর কেন আমরা ইরফান, শাহেদ কিংবা পাপিয়াদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেই, সে ব্যাপারে আত্ম সমালোচনা করার সময় এসেছে।’ নানক বলেন ‘দলের ভেতর থেকে দলের পরিচয় ব্যবহার করে যারা অপকর্ম করছে, তাদের সাংগঠনিক নজরদারী এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আনতেই হবে।’ তিনি বলেন ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি বার বার ইরফানের মতো এসব দূর্বৃত্ত এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এখন আওয়ামী লীগকে অনুপ্রবেশকারী মুক্ত করার দায়িত্ব আমাদের।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।