নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৯ জানুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ কিংবা এর সহযোগী সংগঠনের সাথে যারা যুক্ত আছেন কিংবা তাদের পরিবারের কারও যদি কোনো অভিযোগ থাকে সেটা দলীয় ফোরামে আলোচনা করার সুযোগ আছে কিন্তু রাস্তায় মাইক লাগিয়ে বলার কিছু নেই। দলের উর্ধ্বে থেকে জাতির বিবেক সাজার সুযোগ নেই। দলীয় বিবেক, দলের ভেতরেই রাখতে হবে।
দলের উর্ধে গিয়ে নিজেকে তুলের ধরার প্রবণতা এবং আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য বাহাউদ্দিন নাসিমের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ বিবেকবান মানুষদের মূল্যায়ণ করে। কিন্তু দলের অনেকে আছেন যারা কিছু বিষয়কে এমনভাবে মানুষের সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন যেন তিনি ছাড়া আর কেউ ভালো মানুষ নয়। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ কিংবা আলোচনা করার সুযোগ আছে সেটা আওয়ামী লীগের দলীয় বিশেষ সৌন্দর্য। কিন্তু অনেকে নিজেকে সবচেয়ে ভালো দেখানোর জন্য দলীয় ফোরামে বলার কথা পাবলিকলি বলে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীরা দলীয় শৃঙ্খলায় আবদ্ধ।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের সকলেরই একটি সীমা-পরিসীমা আছে। সেই সীমার ভেতর দিয়েই আমাদের চলা, কথা বলা এবং বক্তব্যের জায়গাগুলোতে পেরিফেরির মধ্যে থেকেই করতে হবে। নিজেকে বিশেষভাবে প্রকাশ করার কোনো সুযোগ নেই। দলীয় নিয়মের বাইরে কেউ নয়। যদি কেউ দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে নিজেকে আলাদাভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে তাহলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেখানে কারও পরিচয় বিবেচ্য বিষয় নয়।
আওয়ামী লীগ দলীয় শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলার নীতি কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। অতীতে যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেছিলেন এবার তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল কাজেই দলীয় শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে যাবার সিদ্ধান্ত রয়েছে। আর এই শক্ত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আগামীতে আওয়ামী লীগ কীভাবে চলবে তার একটা নিদর্শন সৃষ্টি হচ্ছে।
বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কমিটি গঠন এবং মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। এর মাধ্যমে তৃণমূলে প্রভাব বলয় মুক্ত করে যোগ্য নেতাদের যোগ্য জায়গায় দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।