নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ১০ জানুয়ারী, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, যার জন্য ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলো সেদিন তিনি পাকিস্তানের জেলে। বাংলাদেশ স্বাধীন হলো কিন্তু দেশের মানুষের মধ্যে তখন শতভাগ বিজয় আনন্দ ছিলো না। তখনও অপেক্ষা ও উৎকণ্ঠা কাজ করছিলো। বঙ্গবন্ধু যখন স্বদেশের মাটিতে পা রাখলেন তখন থেকেই বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছিলো বাঙালি।
ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু কোথায় আছেন, কি অবস্থায় আছেন সেই খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না। যার কারণে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বিজয়ের আনন্দ ভোগ করতে পারছিলো না দেশের মানুষ।বঙ্গবন্ধুকে পাওয়ার ব্যাকূল আকাঙ্খা ছিলো সবার মাঝে। ৪টা জানুয়ারি ১৯৭২ সালে প্রথম খবর পাওয়া গেলো যে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেছেন। এই ধরনের একটা খবর আসলো কিন্তু জোড়ালো কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না কারণ পাকিস্তান সরকার এ ধরনের খবর বাইরে প্রকাশ করেনি। এর দুই একদিন পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর আসলো যে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। ৮ই জানুয়ারি একটা অসমর্থিত খবরে জানা গেলো বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান থেকে একটি বিমানে তুলে দেয়া হয়েছে কিন্তু বিমানটি কোন গন্তব্যে যাবে তা কেউ বলতে পারছিলো না। অবশেষে জানা গেলো লন্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দরে গিয়ে নেমেছেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। তারপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম খবর দিতে লাগলো বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ।
তিনি কলেন, ১০ জানুয়ারি। ১৯৭২ সালের এইদিনে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দান থেকে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ঠিক সেখানে এসেই স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম পা রাখার পর ভাষণ দিলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিন তিনি ভাষণে বলেছিলেন যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরোধীতা করেছিলো এখনও তারা বাংলাদেশে আছে এবং বাংলাদেশ নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র এখনও চলমান। তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
এপর ১১ জানুয়ারি তিনি গণতান্ত্রিক আদেশ ১৯৭২ জারি করলেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারর প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের দায়িত্বভার নিয়েছে। তার আগে তিনি ২ বার মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হলো কীভাবে তিনি বাংলাদেশ পরিচালনা করবেন। দীর্ঘ কারাবাস শেষে দেশের এসে পরিবারকে সময় দেয়ার পুসরত পেলেন না বঙ্গবন্ধু। ১২ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি আবু সায়েমকে দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ত্যাগের কারণে বাংলাদেশ যখন একটা অবস্থানে যাচ্ছিলো ঠিক তখন একদল জঘণ্য ব্যক্তিরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে। এরপর বাংলাদেশের দীর্ঘ পথচলা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।