নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, পরিবহন নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্য ও সমর্থনের কারণে চালকরা আবার বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আর এ কারণে বর্তমান সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি দুটোই বাড়ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে সড়কের নিরাপত্তা এবং সড়ক দুর্ঘটনার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। পাঠকদের জন্য ইলিয়াস কাঞ্চনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, পরিবহন নেতারা গাড়ি চালকদেরকে সড়ক আইনের বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে সড়ক আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল করে তুলছেন। আর এসব কারণে এই আইন না মানতে উৎসাহিত হচ্ছেন চালকরা। এভাবে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে থাকলে মানুষের চলাচলের জন্য সড়ক আবার অনিরাপদ হয়ে উঠবে। যদিও সরকার নিরাপদ সড়ক আইন করে মানুষের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছিলো কিন্তু পরিবহন নেতারা সেই আইন নিয়েও সমালোচনা করছেন। আর পরিবহন নেতাদের সমালোচনার কারণে আইন মানার বিষয়ে চালকদের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সরকার নিরাপদ সড়ক আইন পাস করে দেয়। কিন্তু পরিবহন নেতারা এই আইনের শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও সড়ক নিরাপদ করতে শিক্ষার্থীদের আবার প্রয়োজন। তারা সেসময় আন্দোলন করে দেখিয়েছিলো কীভাবে সড়ক নিরাপদ রাখতে হয়, কীভাবে নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতে হয়।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার কথা কম শোনা গেলেও গত কিছুদিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ করে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার মধ্যে যানবাহনে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ছিলো কিন্তু আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকে যাওয়ার কারণে চালকরা আবার রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ছাড়া তাদের এতোদিনের লোকসানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এখন দ্রুতগতিতে চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আবার সড়ক নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে।
বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে একটা মানবিক বিপর্যয় চলছে। এই পরিস্থিতিতে যদি সড়ক নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় তাহলে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। অন্যদিকে পরিবহন নেতারা বলছেন সড়ক পরিবহন আইনটি নাকি করা হয়েছে তখনকার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের খুশি করতে। এভাবে বিক্ষিপ্ত কিছু কথা বলে চলক-শ্রমিকদেরকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে মনে করে তিনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।