নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২১
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, লকডাউন দীর্ঘমেয়াদী হলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লাগবে এবং নিম্ন আয়ের মানুষের গতবারের মতো লকডাউন মেনে ঘরে বসে খাওয়ার মতো অর্থ নেই।
দ্বিতীয়বার লকডাউনে দেশের অর্থনৈতিক প্রভাবের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ (বিআইডিএস) এর জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ৭ দিনের লকডাউন যদি কঠোরভাবে পালন করা যায় তাহলে যে উদ্দেশ্যে লকডাউন দেয়া সেই উদ্দেশ্য হয়তো সফল হবে, সংক্রমণ কমিয়ে আনা যাবে কিন্তু লকডাউন যদি সিথিল হয় তাহলে শুধু অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিন্তু লকডাউনের সুফল আসবে না। তবে প্রথম ৭ দিনে সংক্রমণ যদি কিছুটা কমে তাহলে স্বাস্থ্যবিধি কঠোর করে লকডাউন তুলে নিলে অর্থনীতির জন্য ভালো সিদ্ধান্ত হবে। এক্ষেত্রে লকডাউন মানাতে কঠোর হতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামানো যেতে পারে।
এবারের লকডাউনে অর্থনৈতিক প্রণোদনার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রণোদনা দিয়ে লাভ হবে না। গত প্রণোদনাতে যাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের লোকসান হয়েছে তাদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য সহজ নিয়মে স্টাটাপ ক্যাপিটালের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন এনজিও, এসএমই ফাউন্ডেশন, বিসিকসহ এই ধরনের সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে। যদিও কিছুটা দুর্নীতি হবে কিন্তু ওই মানুষগুলোর হাতে কিছুটা হলের অর্থ পৌঁছবে। যেহেতু তাদের ব্যবসা পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে তাই তারা কোনো ব্যাংক ঋণের সুযোগ পায়নি ফলে এটি তাদের জন্য কাজে দেবে।
ড. নাজনীন আহমেদ আরও বলেন, প্রথম ধাপে করোনা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতি যখন দাঁড়াচ্ছে ঠিক তখন দ্বিতীয় ধাক্কা। প্রথম ধাপের লকডাউনে মানুষের কিছুটা সঞ্চয় ছিলো ফলে তা দিয়ে কিছুদিন ঘরে ছিলো কিন্তু এখন নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে কোনো সঞ্চয় নেই। তাই লকডাউন যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তাহলে তারা লকডাউন মানবে না জীবিকার জন্য বাইরে বেড়িয়ে আসবে। লকডাউন দেয়া হলো কিন্তু মানুষে ঠিকভাবে লকডাউন মানলো না আবার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও ঠিকভাবে চললো না এমনটা যদি হয় তাহলে আমাদের অর্থনীতির জন্য খুবই খারাপ হবে। তাই দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনে না গিয়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর দিকে জোর দেয়া দরকার বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।