নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১১ এপ্রিল, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান বলেছেন, করোনা সংক্রমণ কমাতে হলে মানুষকে দুই সপ্তাহের জন্য গৃহবন্দী করতে হবে। যদি সবাইকে দুই সম্পাহের জন্য গৃহবন্ধী করা যায় তাহলে করোনা সংক্রমণ কমবে এবং লকডাউনের উদ্দেশ্য সফল হবে।
কঠোর লকডাউনের সম্ভাবনা, চলমান করোনা পরিস্থিতি এবং করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আর্সলান। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিলো এবং পরবর্তীতে লকডাউন শিথিল করা হয়। আর এ কারণে সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে লকডাউন দিয়েছিলো সেটা সফল হয়নি এবং করোনা সংক্রমণ কমেনি। করোনা সংক্রমণ কমাতে হলে লকডাউনের সঙ্গে কোনো বিশেষণ যুক্ত করা যাবে না। যেমন শিথিল লকডাউন, কঠোর লকডাউন বলতে কিছু থাকবে না। শুধু একটাই ওয়ার্ড সেটা হচ্ছে ‘লকডাউন’। আর এটা করতে হবে সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে। আর এজন্য জনগণকে এক জায়গায় স্থির রাখতে হবে। গ্রামে যাওয়া, বেড়াতে যাওয়া কিংবা ভ্রমণ করতে দেয়া যাবে না। সবাইকে ঘরে থাকতে বাধ্য করতে হবে, আবদ্ধ থাকতে বাধ্য করতে হবে যাতে সংক্রমণ কমে আসে।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় এখন যে সিদ্ধান্তই নেয়া হোক না কেন সেই সিদ্ধান্তকে ধারন করতে হবে। না হলে শুধু বলা জন্য বলা, করার জন্য করা এমন মনোভাবে হলে কঠোর লকডাউন বা যাই দেয়া হোক না কেন সেগুলো কোনো কাজে আসবে না। এখন পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তার সবকিছু জনগণকে জানিয়ে তাদের মধ্যে করোনার প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে সিরিয়াসনেস আনতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে পরিস্থিতি কতোটা খারাপ। সাধারণ মানুষ নিজেরাই যখন বুঝবে যে পরিস্থিতি খারাপ তখন তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য হলে্ মানুষকে এক জায়গায় আবদ্ধ রখা কিন্তু তা যদি না করা যায় হালে এই লকডাউন কোনো কাজেই আসবে না।
হাসপাতালের অবকাঠামো যতোই বৃদ্ধি করা হোক তা কোনো কাজে আসবে না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন যে হারে রোগী সংক্রমিত হচ্ছে সেই তুলনায় হাসপাতালের অবকাঠামো বৃদ্ধি করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। এজন্য একটাই সমাধান আর তা হলো সংক্রমণ কমাতে হবে। সংক্রমণ কমলে হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে এবং যে অবকাঠামো আছে তা দিয়ে চিকিৎসা কর্যক্রম চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্মুখযোদ্ধাদের সবার আগে টিকা দেয়া দরকার। বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স, পুলিশ, মাঠ প্রশাসনসহ যারা করোনা মোকাবেলায় সামনে থেকে ভূমিকা রাখবেন তাদেরকে সবার আগে নিরাপদ থাকা দরকার। তারা যদি দ্বিতীয় ডোজের টিকা পান তাহলে তাদের মনোবল অনেক বাড়বে এবং তারা সামনে থেকে করোনা মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।