নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৫ জুন, ২০২১
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে নদী ভাঙন, জলোচ্ছাস এমনিতেই কমে আসবে। আমরা সেইভাবে স্থায়ী প্রকল্পগুলো করছি। বাঁধগুলো উচু করছি এবং প্রশস্ত করছি। নদী গুলোকে ড্রেজিং করা হচ্ছে। বনায়ন করা হচ্ছে যাতে পরিবেশ ঠিক থাকে।
দেশে বন্যার পূর্বাভাস, বন্যার ঝুঁকি, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন এবং নদী ভাঙনের নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য এ কে এম এনামুল হক শামীম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর প্রধান বার্তা সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান।
এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, বাংলাদেশে এপ্রিল মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বন্যার ঝুঁকি প্রতিবছরই থাকে। বন্যা, নদী ভাঙন, জলোচ্ছাস এগুলোর সঙ্গে যুদ্ধ করেই আমাদের বাঁচতে হচ্ছে। আমরা সব সময়ই বিশেষ করে এই কোভিডের মধ্যেও গত বছরও একেবারে মার্চ মাস থেকে পুরো কোভিডের মধ্যেই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কাজ করছি। আমি নিজেও বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। আমরা ঢাকার বাহিরে যাচ্ছি এই এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ করতে। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভিজিট করছি এবং নিজেদের ঝুঁকি নিয়েও করোনা মধ্যে নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো জায়গাতেই কাজ থেকে নেই। এখন তো করোনা থাকলেও একটু রিলাক্স আছে কিন্তু গত বছর এই সময়ে যে কঠিন অবস্থা ছিল, ঘরে বাহিরে মানুষ বের হতো না তখনও আমরা কাজ চালিয়ে গিয়েছি। গত বছরের মার্চ থেকে যখন করোনা নতুন শুরু হয় তখন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একেবারে প্রত্যেক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো কাজ হচ্ছে। সেসব এলাকাতে স্থায়ী প্রকল্প হচ্ছে। ১৯৯৫ সালে নদী ভাঙনের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর। আর এখন এই বছর আছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর। মানে নদী ভাঙন ৬ হাজার হেক্টরই কমে এসেছে।
তিনি বলেন, স্থায়ী প্রকল্পগুলো হলে এগুলো কমে যাবে এবং সর্বোপরি ডেল্টা প্ল্যান আছে। এই ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে নদী ভাঙন, জলোচ্ছাস এমনিতেই কমে আসবে। আমরা সেইভাবে স্থায়ী প্রকল্পগুলো করছি। বাঁধগুলো উচু করছি এবং প্রশস্ত করছি। নদী গুলোকে ড্রেজিং করা হচ্ছে। বনায়ন করা হচ্ছে যাতে পরিবেশ ঠিক থাকে।
তিনি বলেন, বন্যা দুর্গতদের বিষয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জেলা প্রসাশন এবং আমরা সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে এটির কাজ করি। পূর্বাভাস হলে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের সাইক্লোন সেন্টারে নেওয়া হয়। আগাম যা যা প্রস্তুতি সবই নেওয়া হয়। এখন তো আমাদের অনেক সক্ষমতা বাড়ছে। আমরা প্রায় এক সপ্তাহ আগে পূর্বাভাস পাই। একদম যথাযথ পূর্বাভাস পাই প্রায় তিন চারদিন আগেই। কোথায় আসবে, কোন জায়গায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে, কতটুকু পানি হবে এর যথাযথ পূর্বাভাসটা পাওয়া যায়। সেইভাবেই আমরা আগাম প্রস্তুতি সব সময়ই নেই এবং এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উপকূল অঞ্চল, হাওড় অঞ্চল সব বন্যার্ত জেলাগুলোতে, নদী ভাঙন কবলিত জেলাগুলোতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রাখি। সেটা এখনও অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।